<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়াতের অর্থ : </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সে বলল, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সব কথাই আমার প্রতিপালক অবগত আছেন এবং তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।...হয় সে তা উদ্ভাবন করেছে, না হয় সে একজন কবি। অতএব সে আমাদের কাছে এক নিদর্শন, যেরূপ নিদর্শনসহ প্রেরিত হয়েছিল পূর্ববর্তীরা। তাদের আগে যেসব জনপদ আমি ধ্বংস করেছি তার অধিবাসীরা ঈমান আনেনি; তবে কি তারা ঈমান আনবে? (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৪-৬)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়াতগুলোতে অবিশ্বাসীদের প্রতারণামূলক নিদর্শন দাবির নিন্দা করা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষা ও বিধান</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১. মানুষকে আল্লাহমুখী করার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হলো মহান আল্লাহর গুণাবলি বর্ণনা করা। কোরআনের একাধিক আয়াতে যেমনটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২. অবিশ্বাসীরা কোরআনকে প্রথমে অলীক কল্পনা বলত। পরে যখন কোরআনের ভাষা, ভাষ্য ও তার প্রভাব অস্বীকার করতে পারল, তখন নবীজি (সা.)-কে কবি বলতে শুরু করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩. অবিশ্বাসীরা মহানবী (সা.)-এর কাছে অলৌকিক নিদর্শন চাইত তাদের বিশ্বাস অনুসারে। কেননা জাদুকররা অস্বাভাবিক বিষয় ঘটিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪. মুমিন প্রতিপক্ষের যুক্তির উত্তরে সমস্তরের যুক্তি দেবে। যেমন- মুশরিকরা অলৌকিক নিদর্শন কামনা করলে আল্লাহ নিদর্শন অমান্য করার কারণে তাদের ধ্বংস হওয়ার বিবরণ দেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫. আল্লাহ মুশরিকদের দাবি অনুসারে অলৌকিক নিদর্শন দেননি। যেন তা অস্বীকার করার কারণে তারা ধ্বংস হয়ে না যায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(আত-তাহরির ওয়াত-তানভির : ১৭/১৪)</span></span></span></span></p>
