<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লোহিত গ্রহ মঙ্গলের বুকে ভূগর্ভস্থ জলাশয় আর বিরল জাতের ম্যাগমা (ভূত্বকের নিচে থাকা গলিত শিলা) থাকা নিয়ে বিজ্ঞানীরা মোটামুটি একমত। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের রাইস ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক দাবি করেছেন, তাঁরাও মঙ্গলে পানি ও ম্যাগমার অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁদের গবেষণার ফল ভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত টানতে বাধ্য করেছে। কারণ মঙ্গলের ভূতাত্ত্বিক ও জলজ উপাদান নিয়ে বিজ্ঞানীদের প্রচলিত ধারণার সঙ্গে তাঁদের গবেষণার ফল এক রকম নয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষণার ফলটি প্রকাশিত হয়েছে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর্থ অ্যান্ড প্লানেটারি সায়েন্স লেটারস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সাময়িকীতে। এতে বলা হয়, মঙ্গলের দক্ষিণাঞ্চলীয় উচ্চভূমির গঠন হয়েছিল অন্য অঞ্চলের শত শত বছর আগে; এবং সেখানকার পুরু পৃষ্ঠতলে শুধু গলিত শিলাই নয়, বিশাল জলাধারও রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ভূতত্ত্ববিদ সিন তাই লি। তিনি বলেন, মঙ্গলের দক্ষিণাঞ্চলের কোনো কোনো এলাকায় পৃষ্ঠতলের পুরুত্ব ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তিন থেকে চার শ বছর আগে অঞ্চলটি বেশ উত্তপ্ত ছিল। আর এই পুরু পৃষ্ঠতলের নিচেই রয়েছে হিমায়িত পানির স্তর। সিন তাই লি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের গবেষণা এটাই বলছে, মঙ্গলের পৃষ্ঠতলের গাঠনিক বিন্যাস বর্তমানে প্রচলিত ধারণার চেয়ে অনেক বেশি গতিশীল ছিল। এখানে প্লেট টেকটনিক ছাড়াই গলিত শিলার পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ জলাধার সৃষ্টি হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষকদলের মডেলগুলো এটাই তুলে ধরছে যে মঙ্গলের পৃষ্ঠতলের সাধারণ গভীরতা ৫০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে। অন্যদিকে উচ্চতর তাপপ্রবাহের কারণে দক্ষিণ উচ্চভূমির পুরু ত্বক মঙ্গলপৃষ্ঠের বেশ কয়েক কিলোমিটার নিচে উল্লেখযোগ্য ভূগর্ভস্থ জলজ ধারণ টিকিয়ে রেখেছে। তাঁরা বলেন, দুটি জিনিসের উপস্থিতি প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি হলো তরল পদার্থ, দ্বিতীয়টি হলো গলিত শিলা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একজন গবেষক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গ্রানাইটকে যদি শুধু পাথর ভাবেন, তাহলে আপনার ধারণা ভুল হবে। কারণ গ্রানাইট পাথর হচ্ছে গ্রহটির তাপীয় ও রাসায়নিক বিবর্তনের প্রমাণ। পৃথিবীতে যেমন গ্রানাইট রয়েছে, মঙ্গলেও এর উপস্থিতি রয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নতুন এই গবেষণার আলাদা একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। সেটি হচ্ছে, পৃথিবীবাসী যদি কোনো দিন মঙ্গলের বুকে উপনিবেশ গড়ে তুলতে চায়, তাহলে তাদের মঙ্গলের কোন অঞ্চলটি বেছে নিতে হবে, যার মাধ্যমে মানুষ এই গ্রহটিতে গ্রানাইট পাথর আর চাপা পড়া জলাধার খুঁজে পেতে সহজ হয়। সূত্র : খালিজ টাইমস</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>