ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫
২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৬

ঈদ মানেই আনন্দ ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য

শেয়ার
ঈদ মানেই আনন্দ ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর আমাদের মাঝে হাজির হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই উপলক্ষে আমরা আনন্দে মেতে উঠি। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার মজাই আলাদা। ধনী-দরিদ্র মিলেই আমাদের সমাজ।

আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে, যারা ঈদের দিন কিছু ভালো খাবারের আয়োজন করতে পারে না, কিন্তু তারা নিজেরা, তাদের সন্তানরা কিছু ভালো খাবারের ইচ্ছা করেই থাকে। আমাদের উচিত তাদের জন্য কিছু করা। যারা দরিদ্র তাদের জন্য একটু সাহায্য করলেই আমাদের ঈদ হয়ে উঠবে কয়েক গুণ আনন্দের। সমাজের ধনী-দরিদ্র, বড়-ছোট সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়াই হোক আমাদের লক্ষ্য।

ঈদ সবার জীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ, শান্তি, আনন্দ ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য।

 মো. আশিকুর রহমান

শিক্ষার্থী, আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে

শেয়ার
কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে

কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশ। আর কৃষকরা হলেন অমূল্য রত্ন। তাঁরা আমাদের খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করেন। তবে আফসোস থেকে যায়, যুগে যুগে অবহেলিত থেকেছেন তাঁরা।

আধুনিক অর্থনীতি ও প্রযুক্তির উন্নতির পরও তাঁরা দরিদ্রতা, ঋণের বোঝা, ন্যায্যমূল্যের অভাব, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও নীতিনির্ধারকদের অবহেলার শিকার হচ্ছেন। কৃষি খাতে বিনিয়োগ কম থাকায় তাঁরা উন্নত প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের সুযোগ পান না। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন, অথচ উৎপাদন ব্যয় ক্রমেই বাড়ছে। সহজ শর্তে ঋণ না পেয়ে তাঁরা উচ্চ সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হন এবং দারিদ্র্যের চক্রে আটকে পড়েন।
এই সমস্যার সমাধানে সরকার ও সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানো, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষিকে সম্মানজনক পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং তরুণদের কৃষিতে আগ্রহী করে তুলতে কৃষিশিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষকদের উন্নয়ন ছাড়া সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তাই কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে’—এই সত্য উপলব্ধি করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

সফিউল ইসলাম

শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী

মন্তব্য

কীটনাশকের স্বাস্থ্যঝুঁকি

শেয়ার
কীটনাশকের স্বাস্থ্যঝুঁকি

কৃষকদের একটিই লক্ষ্য, কিভাবে অধিক পরিমাণে ফসল উৎপাদন করা যায়। এর জন্য বর্তমানে তাঁরা তাঁদের কৃষি ফসল নিরাপদ করা ও অধিক উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে শাক-সবজি বা ফসল রোগ ও পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য যথেচ্ছভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে যাচ্ছেন। কীটনাশক বা বালাইনাশক হলো বিষাক্ত পদার্থ, যা মানুষ, পশুপাখি, কৃষি, পরিবেশ, বাতাস, পানি, মাটি, আবহাওয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। প্রতিবছর দেশে ৩০ হাজার টনেরও বেশি কীটনাশক আমদানি করা হয়।

ডিডিটি ও ক্লোরিন গ্রুপের কীটনাশক দেশে নিষিদ্ধ হলেও চোরাই পথে এসব আসে অবাধে এবং ব্যবহার করা হয় বিপদের কথা না জেনে। কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারে ফসলের সঙ্গে সম্পর্কিত উপকারী পোকামাকড় ও মাটির ছত্রাক-ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে, যা প্রাকৃতিক খাদ্যচক্র ও জীববৈচিত্র্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এতে প্রাকৃতিক পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ ও পরাগায়ণের প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষিবিদদের মতে, রাসায়নিক বালাইনাশকের পরিবর্তে জৈব বালাইনাশক ও আইপিএম পদ্ধতির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব উপায়ে বালাই দমন করা সর্বোত্তম।
এতে অর্থের সাশ্রয় হবে, ফসলের উৎপাদন খরচ কমবে এবং মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষিত হবে।

ওসমান গণি

চান্দিনা প্রেস ক্লাব

মন্তব্য

চিংড়ির ওজন নিয়ে কারসাজি বন্ধ করুন

শেয়ার
চিংড়ির ওজন নিয়ে কারসাজি বন্ধ করুন

চিংড়ি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্য। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের চিংড়ির সুনাম থাকলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার লোভে চিংড়ির মাথায় কৃত্রিম উপাদান ভরে মাছের ওজন বাড়ানোর একটি অমানবিক পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। এই ধরনের কারসাজির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এসব উপাদানের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে মানুষের শরীরে লিভার, কিডনি ও হার্টের বিভিন্ন রোগ হতে পারে।

শুধু তা-ই নয়, অনেকে হরমোন ব্যবহার করে চিংড়ির দ্রুত বৃদ্ধির মতো অমানবিক প্রক্রিয়াও অবলম্বন করছে। এই স্টেরয়েডগুলো মানুষের শরীরে প্রবাহিত হলে প্রজননক্ষমতার সমস্যা, ইমিউন সিস্টেমের দুর্বলতার মতো হরমোনজনিত সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ জন্য দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, চিংড়িশিল্পের সুরক্ষা ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা রক্ষায় এই ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করা জরুরি। তাই চিংড়ি মাছে এই ধরনের অনিয়ম ও কারসাজি বন্ধ করতে হবে এবং এর সঙ্গে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস

শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ

 

মন্তব্য

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের ছয় লেন বাস্তবায়ন জরুরি

শেয়ার
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের ছয় লেন বাস্তবায়ন জরুরি

বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজারকে দেশের পর্যটনশিল্পের শীর্ষে নিয়ে যেতে হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের প্রধান সড়কের উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। এই ব্যস্ততম সড়কটি শুধু পর্যটকদের জন্য নয়, বরং কক্সবাজারের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতেরও প্রধান পথ।

ব্যস্ত এই সড়কে দুর্ঘটনার হার ক্রমেই বাড়ছে। ঈদের আগের তিন দিনে এই সড়কে প্রাণ হারিয়েছে ১৮ জনেরও বেশি মানুষ।

ঈদের দিন এক গ্রামেরই তিন যুবকের করুণ মৃত্যু হয়েছে। শুধু এ ঘটনাগুলোই নয়, প্রতিবছর শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে এই মহাসড়কে। অধিক যানবাহনের চাপ, সংকীর্ণ রাস্তা ও অনিয়ন্ত্রিত গতি এর প্রধান কারণ। ছোটবেলা থেকেই আমরা এই সড়কের দুর্ঘটনার ভয়াবহতা দেখে আসছি।
বিভিন্ন সময় সড়ক সংস্কার ও উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু এবার এই উদ্যোগকে বাস্তবে রূপ দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে এই সড়কের আধুনিকায়ন আবশ্যক।

আমাদের দাবি, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিকে দ্রুত ছয় লেনে উন্নীত করা হোক।

একটি সুপরিকল্পিত, প্রশস্ত ও নিরাপদ সড়ক শুধু দুর্ঘটনা কমাবে না, বরং পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা আশা করি, মাননীয় সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

ইমরান উদ্দিন

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ