<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুষ্ক মৌসুম শুরুর আগেই উপকূলীয় উপজেলা রামপালের কয়েকটি এলাকায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলার একটি লবণাক্ত এলাকায় পুকুরের পানি শোধন করে প্রতি লিটার খাবার পানি এক টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পানি সংক্ষরণের জন্য ট্যাংক বিতরণ করছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে উজলকুড়, গৌরম্ভা, বাইনতলা (আংশিক) ও রামপাল সদর (আংশিক) ছাড়া পেড়িখালী, ভোজপাতিয়া, হুড়কা, মল্লিকেরবেড়, রাজনগর ও বাঁশতলী ইউনিয়নের মানুষ সারা বছর সুপেয় পানির সংকটে ভোগে। এসব ইউনিয়নে গভীর নলকূপ বসালেও তাতে মেলে না খাবার পানি। এসব ইউনিয়নের মানুষ পুকুরের পানি শোধন করে অথবা বৃষ্টির মৌসুমে পানি সংরক্ষণ করে রাখা পানি দিয়ে সারা বছর খাবার পানির চাহিদা পূরণ করে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ ফুল পুকুর নামের একটি পুকুরের পানি খাবার পানি হিসেবে ব্যবহার করছে। এ ইউনিয়নের কোথাও গভীর নলকূপে খাবার পানি পাওয়া যায় না। স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই পুকুরের পানি শোধন করে প্রতি লিটার এক টাকায় বিক্রি করছেন। পুকুরপারে বসানো পন্ড স্যান্ড ফিল্টার (পিএসএফ) থেকে আশপাশের মানুষ পানি সংগ্রহ করছে। তবে দীর্ঘদিনের ওই পিএসএফ ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ করছে স্থানীয় লোকজন। ওই পুকুরে পানি নিতে আসা এক নারী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুই কিলোমিটার পথ হেঁটে পানি নিতে এসেছি। এ পানি কতটা নিরাপদ, তা জানি না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় লোকজন জানায়, যাদের সামর্থ্য আছে তারা পানি কিনে খায়। আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা পুকুরের পানি ব্যবহার করে। পাশের ইউনিয়ন ভোজপাতিয়া, বাঁশতলী, মল্লিকেরবেড়, হুড়কা, রাজনগর, রামপাল সদরের মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানি পায় না। এসব ইউনিয়নের গভীর নলকূপ বসানো হলেও তাতে খাবার পানি পাওয়া যায় না। এসব ইউনিয়নের মানুষ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে ট্যাংকে রেখে সারা বছর সেই পানি পান করে। বর্ষাকালে পানির সংকট কিছুটা লাঘব হলেও গ্রীষ্ম মৌসুমে সংকট তীব্র হয়। শুধু খাবার পানি নয়, রান্নাবান্না, ধোয়ামোছা, গোসল সবই সারতে হয় নোনা পানিতে। নোনা পানির কারণে জমিতে ফসলও হয় না। পাকা ভবন নির্মাণ করলে তা লবণাক্ত হয়ে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা প্রকৌশলী ইমরান হোসেন বলেন, রামপাল উপজেলার ৭৫ শতাংশ এলাকার ভুগর্ভস্থ পানি খাবারযোগ্য নয়। এ উপজেলায় দুই হাজার ২২০টি গভীর নলকূপের মধ্যে পাঁচ শতাধিক নলকূপ অকেজো। গ্রীষ্ম মৌসুমে খাবার পানির সংকট দূরকরণে বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েকটি পুকুর খনন করা হয়েছে। এর পরও গ্রীষ্মকালে উপজেলার ৭০ শতাংশ মানুষ খাবার পানির সংকটে ভোগে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>