<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় না মেনে কথিত কোটা পদ্ধতিতেই চলছে প্রশাসনের পদোন্নতি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে বাকি ২৫ ক্যাডারের ৫৩ হাজার কর্মকর্তার সংগঠন আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাদের অভিযোগ, একই বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও বিভিন্ন ক্যাডারের পদোন্নতি ও সুযোগ-সুবিধা প্রপ্তির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য চলছে। এরই মধ্যে ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, উপসচিব পদে বিদ্যমান কোটা বিলোপ ও সব ক্যাডারের মধ্যে সমতার বিধানসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারা বলেছে, আন্ত ক্যাডার বৈষম্যে পিষ্ট জনপ্রশাসনের আদার্স ক্যাডার কর্মকর্তারা। সব ক্যাডারের সুযোগ-সুবিধায় সমতা না আনা হলে প্রশাসনে অসন্তোষের সৃষ্টি হবে। এতে প্রশাসনিক কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দেবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০০৩ সালে দেওয়া এক রায়ে বলেছিলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যখন কোনো কর্মকর্তা উপসচিব হবেন, তখন তার পূর্ববর্তী ক্যাডার বিলুপ্ত হবে। তখন তিনি অন্যান্য উপসচিবের সঙ্গে একীভূত হবেন। উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশকালীন ক্যাডার বিবেচিত হবে না। এসব পদে সবাই সমঅধিকার নিয়ে পদোন্নতির যোগ্য হবেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিন্তু এই রায় না মেনে কথিত কোটা পদ্ধতিতেই চলছে প্রশাসনের পদোন্নতি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রশাসনে বিভিন্ন ক্যাডারের পদোন্নতি ও সুযোগ-সুবিধা প্রপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের নেতারা লিখিতভাবে কমিশনকে তা জানিয়েছেন। এসব বৈষম্যের মধ্যে যেগুলো আমলযোগ্য, সেসব বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ আকারে পেশ করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে অন্যান্য ২৫ ক্যাডারের বৈষম্য চলে আসছে। তা নিরসনে একাধিক কমিটি ও কমিশনের সুপারিশ হিমাগারে পড়ে আছে। অথচ প্রশাসনসহ সব ক্যাডারের কর্মচারী সরকারি কর্মকমিশনের একই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তবে ক্যাডারে ভিন্নতা থাকলেও চাকরির ১০ বছর পূর্ণ হলে যেকোনো ক্যাডারের কর্মচারী উপসচিব পুলভুক্ত হতে পারেন। আর এই পুলভুক্ত হলে তাদের প্রাথমিক যোগদানকৃত ক্যাডার পরিচিতি থাকে না। সবাই একই ক্যাডারভুক্ত গণকর্মচারী হিসেবে বিবেচিত হন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিন্তু সেটা মানা হচ্ছে না। উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডার এবং আদার্স ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা নেওয়া হয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে ২০০৩ সালে রায় দেন আপিল বিভাগ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য, ট্যাক্স, রেলওয়ে, আনসার, কাস্টমস, প্রকৌশলী, কৃষিবিদসহ প্রায় ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের উপসচিবের তদূর্ধ্ব যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিবের পদোন্নতির সময় কোটার ফাঁদে ফেলে বঞ্চিত করা হয়। আবার ২০০২ সালের পদোন্নতির বিধিমালা অনুযায়ী অন্যান্য ক্যাডার থেকে উপসচিব পুলে অন্তর্ভুক্ত ২৫ শতাংশ কর্মকর্তার পদোন্নতি দেওয়ার কথা থাকলে, সেটিও মানা হয় না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারা বলছেন, আদার্স ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে শূন্য পদ ছাড়া পদোন্নতি দেওয়া হয় না। পক্ষান্তরে প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতি দেওয়ার সময় পদ না থাকলেও দুই-তিন শ কর্মকর্তাকে একসঙ্গে পদোন্নতি দেওয়া হয়। অথচ আদার্স ক্যাডারের প্রায় ২০০ কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন কয়েক বছর আগে। এ ব্যাপারে উদাসীন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের একাধিক নেতা ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, উপসচিব পদে বিদ্যমান কোটা বিলোপ ও সব ক্যাডারের মধ্যে সমতার বিধানসহ আট দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুর রহমান নিজ দপ্তরে কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডিসেম্বর মাসেই প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডারের বঞ্চিত উপসচিবদের পদোন্নতি দেওয়া হবে। তাদের ১৯৪ জনের আবেদন দেওয়া আছে। তাদের সবাই তো যোগ্য না। বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট আছে। যোগ্যদের পদোন্নতি দেওয়া হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগেই এসএসবি হবে। তবে যাদের এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন) এবং ডিপি (ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং) রয়েছে,  তারা পদোন্নতি পাবেন না। পদোন্নতির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>