গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পক্ষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী তন্ময় হাসান হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৩ সালে মেডিক্যাল সহকারীরা ‘ডাক্তার’ উপাধি ব্যবহারের অধিকার চেয়ে একটি রিট করেন। ১১ বছর ধরে এটি বিচারাধীন থাকায় আইনি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মেডিক্যাল সহকারীরা অবৈধভাবে ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করছেন। গত রবিবার থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

রামেকে কমপ্লিট শাটডাউন : রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট প্রত্যাহারের দাবি জানান। এতে সমর্থন দেন চিকিৎসকরা। রায় অনুকূলে না এলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

বগুড়ায় শান্তিপূর্ণ শাটডাউন : বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক জানান, ছয় মাস বা এক বছরের একটি প্রশিক্ষণ নিয়ে কেউ যাতে ডাক্তার বা চিকিৎসক লিখে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে, সে জন্যই এই আন্দোলন।

গতকাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি তুলে ধরেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। সুপ্রিম কোর্টের এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ট্রাইব্যুনাল গরমে গাউন পরা শিথিল করবে কি না জানতে চান।

তখন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখানে তো এসি আছে, তাই এখানে গাউন পরতে হবে। এসি থাকলে গাউন পরতে সমস্যা কী? তার পরও কেউ যদি গরমে গাউন পরতে অসুবিধা বোধ করেন, আমাদের বললে আমরা সেটি বিবেচনা করব।’

চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিম্ন আদালতের প্রতিটি কোর্টে যেন এসি থাকে, সেই ব্যবস্থা করা উচিত। সেখানে বিচারপ্রার্থী, আসামি, আইনজীবীসহ অনেক মানুষের উপস্থিতি থাকে।

ট্রাইব্যুনালে এ সময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও চিফ প্রসিকিউটরের পরামর্শক ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানও উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশির ভাগই উপস্থিত, আবার অনেক কক্ষে চেয়ার-টেবিল ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। কোলাকুলি করছেন একে অপরের সঙ্গে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার অফিস খুলেছে, তবে অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি উপভোগ করছেন।

গত সোমবার দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।