<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">বন্যার পানিতে চলনবিলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে নির্বিচারে ডিমওয়ালা মাছ শিকার। এর মধ্যে বোয়াল, শোল, টাকি, শিং, মাগুর, পুঁটি ও টেংরা  মাছ অন্যতম। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">স্থানীয় লোকজন জানায়, বৃষ্টি হলেই মিঠা পানির মাছ ফাঁকা ফসলি মাঠে ডিম ছাড়তে এলেই শৌখিন মাছ শিকারি ও অসাধু জেলেদের শিকারে পরিণত হচ্ছে সেসব মাছ। তাদের অভিযোগ, প্রতিদিন চলনবিলের হাট-বাজারে প্রকাশ্যে এসব ডিমওয়ালা মাছ বিক্রি হলেও স্থানীয় মৎস্য বিভাগ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">তাড়াশ উপজেলার কোহিত গ্রামের মোজদার হোসেন বলেন, জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে ঝুমবৃষ্টির সময় চলনবিলে ডিমওয়ালা মাছ নিরাপদে ডিম ছাড়ার জন্য ফসলি মাঠে উঠে আসে। পাশাপাশি পুরুষ বোয়াল মাছ ডিমওয়ালা মাছের পেটে ডিমের থলিতে কামড় দেয়। মা মাছের ডিম ছাড়ার এ মুহূর্তকেই স্থানীয় ভাষায় মাছের </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.3pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">পীর লাগা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.3pt">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt"> বলা হয়। এ সময় দুর্বল মা মাছগুলো সহজেই ধরা পড়ে মাছ শিকারিদের হাতে। জানা গেছে, চলনবিলসংলগ্ন পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর ও নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় গত সাত দিনে বৃষ্টির ভেতর ডিম পাড়ার সময় অনেক ডিমওয়ালা মাছ শিকার করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ মহিষলুটি মাছের আড়তদার সুজন সরকার বলেন, প্রতিদিনই আড়তে ডিমওয়ালা মাছ, বিশেষ করে বোয়াল মাছ আনা হচ্ছে এবং তা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধু এ আড়তেই নয়, চলনবিলের বিভিন্ন হাট-বাজারে ডিমওয়ালা  মাছ বিক্রি সাধারণ বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ বলেন, চলনবিল একটি বড় এলাকা। তাড়াশের এই অংশে ডিমওয়ালা মাছ শিকারের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p>