<p>আয়াতের অর্থ : ‘এবং স্মরণ করো জাকারিয়ার কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একা রেখো না, তুমি শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী। অতঃপর আমি তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া...’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৮৯-৯০)</p> <p>আয়াতদ্বয়ে নবী-রাসুলদের তিনটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. কোরআনে নিঃসন্তান ব্যক্তিকে ‘একাকী’ বলা হয়েছে। যার দ্বারা বোঝা যায়, সন্তান মা-বাবার জন্য সঙ্গী ও সহযোগী স্বরূপ।</p> <p>২. কোরআনে বর্ণিত দোয়ার বাক্যগুলো থেকে বোঝা যায়, আল্লাহর কাছে যা চাওয়া হবে তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ আল্লাহর গুণবাচক নাম উল্লেখ করে দোয়া করা উত্তম। যেমন হে আল্লাহ! আমাকে উত্তম রিজিক দিন। কেননা আপনিই সর্বোত্তম রিজিকদাতা।</p> <p>৩. মা-বাবা শুধু আল্লাহর কাছে রক্তের উত্তরাধিকারী চাইবে না, বরং দোয়া করবে আল্লাহ যেন তাকে এমন সন্তান দেন যে ঈমান, আমল ও ইলমেরও (জ্ঞানের) উত্তরাধিকারী হবে।</p> <p>৪. নবী-রাসুল (আ.)-এর তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো : ক. সত্কাজে অগ্রগামী হওয়া, খ. আশা ও ভয় নিয়ে দোয়া করা, গ. আল্লাহর ভয় অন্তরে লালন করা।</p> <p>৫. সত্ কাজে অগ্রগামী হওয়ার অর্থ হলো, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা, যথাসাধ্য শক্তি-সামর্থ্য ব্যয় করা এবং আমলের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। (আত-তাহরির ওয়াত-তানভির : ১৭/১৩৫)</p>