<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন প্রেক্ষাপটে রেস্তোরাঁ বন্ধের পূর্ব ঘোষণা কবে থেকে বাস্তবায়ন করা হবে তা নিয়ে জেলার কমিটিগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন মালিকরা। তবে কবে থেকে রেস্তোরাঁ বন্ধ করা হবে তা জানা যাবে আগামী রবিবার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শুক্রবার বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। কালের কণ্ঠকে তিনি জানান, এখন জেলায় জেলায় কমিটিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। এরপর আগামী রবিবার সারা দেশের জেলা কমিটিগুলোর সঙ্গে একযোগে আলোচনাসভা করা হবে। তারপর কর্মসূচি কবে থেকে দেওয়া হবে তার ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে সরকারের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। সেখান থেকেও ইতিবাচক ফল আসতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুটি অধ্যাদেশ জারি করে। সেখানে রেস্তোরাঁর খাবারের বিলের ওপর আগের ৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। ওই অধ্যাদেশ জারি করার আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে ভ্যাটের হার আগের মতো ৫ শতাংশ রাখা না হলে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেছিলেন, রেস্তোরাঁ ব্যবসায় ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সম্পূরক শুল্ক (এসডি) নামে আরো একটি ১০ শতাংশ কর আগে থেকেই আছে। অর্থাৎ ভ্যাট ১৫ শতাংশ ও সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ১০ শতাংশ যোগ করা হলে রেস্তোরাঁর খাবারের ওপর ভোক্তাদের মোট ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। গুলশান-বনানীর মানুষ এই ভ্যাট দিতে পারলেও সাধারণ মানুষের পক্ষে এটা দেওয়া সম্ভব না। বিষয়টি অবাস্তব। পৃথিবীর কোথাও রেস্তোরাঁর খাবারের ওপর এত ভ্যাট নেই। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, সেখানে ভোক্তার কাছ থেকে কোনোভাবে ২৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করা সম্ভব না। চাইলেই খাবারের দাম বাড়ানো যায় না। অথচ গত সরকারের আমলে পরিষেবা ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। বেড়েছে শ্রমিকের মজুরিও। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জের তো আছেই। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতেই রেস্তোরাঁ ব্যবসা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেছে। এ অবস্থায় আবারও ভ্যাট বাড়ালে পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভ্যাট বাড়ানোর পর রেস্তোরাঁ বন্ধের কর্মসূচি নিয়ে ইমরান হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা সমিতির সদস্যদের নিয়ে মতবিনিময় করছি। এখন ফেনী আছি, সেখান থেকে চট্টগ্রাম যাব। আরো দুই দিন মতবিনিময় করে রবিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব। রবিবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডেকেছি। সেখানে সারা দেশের নেতারা যুক্ত হবেন। কেন্দ্রীয় কমিটি ও সারা দেশের নেতাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কর্মসূচি দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত সবার মতামত হচ্ছে ধর্মঘটে যাওয়া। এদিকে সরকারের ওপরের পর্যায় থেকেও আলোচনা হচ্ছে। দেখা যাক, তারা কী করে। যদি সরকার থেকে আমাদের পক্ষে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে রবিবারের পর আন্দোলনে যাব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>