<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নকশায় ত্রুটি, জমি অধিগ্রহণসহ নানা সংকটে নির্ধারিত মেয়াদে শেষ হয়নি খুলনার ভৈরব সেতু। শুধু তা-ই নয়, কাজ শুরুর সাড়ে তিন বছরে অগ্রগতি মাত্র ১৫ শতাংশ। ফলে এই সেতুটি কবে বাস্তবায়িত হবে আর মহানগরী খুলনার সঙ্গে দিঘলিয়া উপজেলা ও নড়াইল জেলার সরাসরি সংযোগ হবে, তা বলতে পারছে না কেউ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে স্থানীয় বাসিন্দারা দল-মত না দেখে দ্রুত সেতুটি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, সেতুটি বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘদিনের অবহেলিত কৃষিনির্ভর দিঘলিয়াসহ ভৈরবপারের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেতু প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, মহানগরী খুলনার সঙ্গে দিঘলিয়া, নড়াইলসহ আশপাশের এলাকার সংযোগ স্থাপনে ভৈরব নদের ওপর একটি সেতুর নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভৈরব সেতু</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন লাভ করে। স্টিল স্ট্রাকচারের ১.৩১৬ কিলোমিটার সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ৩০৩ কোটি টাকা, জমি অধিগ্রহণে ২৮১ কোটি টাকা ও বাকি বরাদ্দ সেতুসংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে ব্যয় হবে। ২০২০ সালের ২৭ জুলাই সেতু নির্মাণ কাজের দরপত্র আহবান করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে কাজটি বাস্তবায়ন করছে ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড (করিম গ্রুপ) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। জমি অধিগ্রহণের কাজ না হলেও ২০২১ সালের ২৪ মে দিঘলিয়া প্রান্তে ২৪ নম্বর টেস্ট পাইলিংয়ের নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন দফায় সময় বৃদ্ধির পর সর্বশেষ সেতুটি নির্মাণের শেষ সময় ছিল ২০২৪ সালের ৩০ জুন। কিন্তু নকশা পরিবর্তন ও জমি অধিগ্রহণ জটিলতার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি আগামী ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে গেল বছর প্রায় আট মাস কাজ বন্ধ ছিল, যা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এস এম নাজমুল সাংবাদিকদের জানান, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে তাঁদের কাজ করতে হয়েছে। সাড়ে তিন বছরে কাজের অগ্রগতি ১৫ শতাংশ। ২৮টি পিলারের মধ্যে ২০টির কাজ শেষ হয়েছে। নতুনভাবে আবার কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দ্বিতীয় দফায় ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p>