<p style="text-align:justify">খুলনায় সোহাগ পরিবহনের হেলপার সাব্বির শেখকে (১৭) হত্যার দায়ে রিকশাচালক হাসান শেখকে (১৮) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">সোমবার (৬ জানুয়ারি) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরীফ হোসেন হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষেণার সময় আসামি হাসান শেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাসান শেখ নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার গোবরচাকা মোল্লাবাড়ী এলাকার নূর জামালের ভাড়াটিয়া সাঈদ শেখের ছেলে।</p> <p style="text-align:justify">আদালত সূত্র জানায়, সাব্বির শেখ বাগেরহাট জেলার বাঘরগঞ্জ বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সোহাগ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৭১৫৩) সিরিয়ালের হেলপার ছিলেন। ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা যাওয়ার জন্য দুপুর দেড়টার দিকে বাগেরহাট থেকে খুলনায় আসেন। ওইদিন দিবাগত রাতে ড্রাইভার মানিক মোল্লার সঙ্গে ঢাকায় যান তিনি। পরেরদিন বিকেলে খুলনায় ফিরে আসেন। ওইদিন রাত ১২টার দিকে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ের টাইগার গার্ডেনের সামনে ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি পরিষ্কার করে রাখার জন্য ড্রাইভার সাব্বিরকে গাড়িতে রেখে বাইরে চলে যান। সাব্বির এক বিকশাচালকের কাছে গাঁজা কেনার অনুরোধ করেন। কিন্তু গাঁজা না পেয়ে দুজনে চুক্তিতে বার্মাশীল মোড় থেকে মদ কেনেন। হেলপার সাব্বির চুক্তি অনুযায়ী বিকশাচালক হাসান শেখকে মদ না দিয়ে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিকশাচালক হাসান শেখ রিকশার সিটের নিচ থেকে ধারালো ছুরি বের করে সাব্বিরের গলা ও ডানহাতের কব্জির ওপর আঘাত করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হাসান শেখ গাড়ির একটি জানালা খুলে পালিয়ে যায়। পরদিন পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।</p> <p style="text-align:justify">এ ঘটনায় নিহত সাব্বির শেখের পিতা রফিকুল ইসলাম নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় হাসান শেখকে পুলিশ নগরীর গোবরচাকা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।</p> <p style="text-align:justify">মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাশ একই বছরের ২৫ এপ্রিল হাসানকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত বিভিন্ন কার্যদিবসে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজকে রায় দেন।</p>