<p>ইনিংসের শুরুতেই শুধু হাসতে পেরেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। পরে দ্রুতই তাদের মুখ থেকে হাসি মিইয়ে গেছে। ফরচুন বরিশালের কাছে ৭ উইকেটের হারটা তাদের ক্ষত আরো দগদগে করে দিয়েছে।</p> <p>বরিশালের তৃতীয় জয়ের বিপরীতে যে তাদের টানা তৃতীয় হার। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। যার সর্বশেষ দুটিই ঘরের মাঠ সিলেটে। প্রতিপক্ষকে ১২৬ রানের টার্গেট দিয়ে জয় পাওয়া যে কঠিন তা ম্যাচ শেষেই প্রমাণিত হয়েছে।</p> <p>তবে শুরুটা ভালোই করেছিল সিলেট। দলীয় ৬ রানের মধ্যে বরিশালের ২ উইকেট তুলে নিয়ে। সর্বশেষ ম্যাচে অপরাজিত ৮৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা তামিম ইকবালকে ‘গোল্ডেন ডাকে’ ফিরতে বাধ্য করেন রাকিম কর্নওয়াল। আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে দ্রুত ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। এক ম্যাচ পর আজ আবারও সুযোগ পাওয়া শান্ত নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। সিলেটের বিপক্ষে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশের অধিনায়ক করতে পেরেছেন মাত্র ৪ রান।</p> <p>বোলিং ইনিংসে এতটুকুই আনন্দ ছিল সিলেটের বোলারদের। পরে গল্পটা শুধুই হতাশার। সেই হতাশা তাদের ‘উপহার’ দিয়েছেন দুই ব্যাটার কাইল মায়ার্স ও তাওহিদ হৃদয়। সিলেটের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১১৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় জয় এনে দিয়েছেন। যদিও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি হৃদয়। সেই হতাশার সঙ্গে ২ রানের জন্য ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপও তার মাঠ ছাড়ার সময় সঙ্গী হয়েছে। </p> <p>তানজিম সাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে হৃদয় ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৮ চার ও ২ ছক্কায়। অন্যদিকে ফিফটি করা মায়ার্স অপরাজিত থেকেছেন ৫৯ রানে। ১৯০.৩২ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৪ ছক্কার বিপরীতে ৫ চার হাঁকিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার।</p>