চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দুই শতাধিক করাতকলে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট চোরাই কাঠ চিরাই হচ্ছে। সমিল মালিক সিন্ডিকেটের সঙ্গে বন বিভাগের সমঝোতায় লাইসেন্সবিহীন এসব করাতকল চলছে।
বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিলে বনাঞ্চল দ্রুত ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।
সরেজমিন দেখা যায়, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের পাঁচটি রেঞ্জের ফটিকছড়ি উপজেলাধীন ১১টি বন বিটের ভেতরেই বেশির ভাগ করাতকলগুলো বসানো আছে।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল বসানোর নিয়ম নেই।
করাতকল মালিক আনোয়ার পাশা জানান, বন বিভাগের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল বসানো যাবে না মর্মে গেজেটের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেছে সমিল মালিক সমিতি।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের নারায়নহাট রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান করাতকলের সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অবৈধ করাতকল বন্ধে সহযোগিতা করবে।