আদালতে সাদিক এগ্রোর ইমরান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আদালতে সাদিক এগ্রোর ইমরান

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার বেলা ১ টা ২৩ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার ১৩৩ কোটি টাকা পাচার মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, ১৩৩ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত বছর কোরবানির ঈদে ইমরানের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় (প্রাথমিক দর) ছাগল কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন তৎকালীন এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। এর পর আলোচনায় আসে সাদিক অ্যাগ্রো।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঋণ জালিয়াতি

সাবেক ৭ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাবেক ৭ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডিতরা হলেন— সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, সাবেক ডিজিএম মো. সফিজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ডিএমডি মো. মাইনুল হক, সাবেক এজিএম সাইফুল হাসান, সাবেক জিএম ননী গোপাল নাথ, সাবেক এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, খানজাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আ. জলিল শেখ, পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও পরিচালক মীর মো. শওকত আলী। 

রায়ের আদেশে বলা হয়, সাত ব্যাংক কর্মকর্তার তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।

অপর চার আসামির পৃথক দুই ধারায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০৬ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এই অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন। 

এদিন জামিনে থাকা আসামি মহিদুর, সফিজ ও মাইনুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তবে অপর আট আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। 

জানা গেছে, খান জাহান আলী সোয়েটার্স লি. এর তাজুল ইসলাম, আ. জলিল শেখ, রফিকুল ইসলাম এবং মীর মোহাম্মদ শওকত আলীকে সোনালী ব্যাংক হোটেল শেরাটন শাখা থেকে প্রি শিপমেন্ট ক্রেডিট বাবদ ১০টি এলসি/কনট্রাক্টর প্রদর্শন করে এর বিপরীতে ১৪টি পিসির মাধ্যমে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ১৭ মে পর্যন্ত মঞ্জুরীকৃত পিএসসি লিমিট ৩০ লাখ টাকার বিপরীতে এক কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৩ টাকা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৪১৫ টাকা সমন্বয় করা হয়।

অবশিষ্ট এক কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ টাকা সমন্বয় করা হয় না। খান জাহান আলী সোয়েটার্স লি.-এর কর্মকর্তারা ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবৈধ সহযোগিতায় এই টাকা আত্মসাৎ করেন। 

এ ঘটনায় দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি রমনা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. নাজমুচ্ছাদাত। ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

বিচার চলাকালে আদালত ৬১ সাক্ষীর মধ্যে ৪১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মন্তব্য

সাবেক এমপি আফজাল ৭ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাবেক এমপি আফজাল ৭ দিনের রিমান্ডে
ফাইল ছবি

যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আফজাল হোসেনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আরো পড়ুন
যে কৌশলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে চান আ. লীগের পলাতক নেতারা

যে কৌশলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে চান আ. লীগের পলাতক নেতারা

 

এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের উপপরিদর্শক ফেরদৌস আলম তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। 

এর আগে ২৩ মার্চ মধ্যরাতে মেহেরপুর পৌর শহরের সরকারি কলেজ মোড়ের তাহের ক্লিনিকপাড়ার মামুন হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আফজাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে গত ২৫ মার্চ তাকে এ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন
ঢাকায় ২৪ ঘণ্টায় ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত

ঢাকায় ২৪ ঘণ্টায় ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত

 

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হয়। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়।

হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়। 

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে
সংগৃহীত ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর ও আইনজীবীদের মামলার শুনানির সময় গাউন পরতে হবে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) এ প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসি আছে, তাই এখানে গাউন পরতে হবে।’

এ ছাড়া নিম্ন আদালতের প্রতিটি কোর্টে যেন এসি থাকে, সেই ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে ট্রাইব্যুনাল। বলেন, ‘এটা (সব আদালতে এসির ব্যবস্থা করা) আমাদের হাম্বল রিকোয়েস্ট টু দ্য অথরিটি।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের আদেশ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৫ মার্চ বলা হয়, দেশব্যাপী তাপপ্রবাহের কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো। এ নির্দেশনা ৬ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

আজকে শুনানি চলার সময় বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নজরে আনেন প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন। তিনি গরমে গাউন না পরার বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা তুলে ধরেন এবং ট্রাইব্যুনালেও সেই নির্দেশনা মানতে হবে কি না, তা জানতে চান।

তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এখানে এসি আছে তাই গাউন পরতে হবে। তার পরও কেউ যদি গরমে এখানে গাউন পরতে অসুবিধা বোধ করেন আমাদের বললে সেটি আমরা বিবেচনা করব।’

মন্তব্য

আওয়ামীপন্থী ৬১ আইনজীবী কারাগারে, জামিন ১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আওয়ামীপন্থী ৬১ আইনজীবী কারাগারে, জামিন ১৯

হামলা, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় আওয়ামীপন্থী ৬৪ আইনজীবীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। 

রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদের মধ্যে তিনজন পালিয়ে যাওয়ায় ৬১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এ মামলায় ১৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

জামিন নামঞ্জুর হওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান মানিক, গাজী শাহ আলম, মাহবুবুর রহমান, আসাদুর রহমান রচি, ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের সাবেক পিপি নজরুল ইসলাম শামীম। জামিন পাওয়া আসামিদের মধ্যে আবু সাঈদ সাগর, শারমিন সুলতানা হ্যাপি, সালেহা আক্তার শিল্পী, জেসমিন আক্তার, তাসলিমা ইয়াসমিন নদী, শিখা ইসলাম, মিতা, শায়লা পারভীন পিয়া ও সালমা হাই টুনি রয়েছে।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার এজাহারনামীয় ১১৫ আইনজীবী হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পান।

এ অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ আগামীকাল সোমবার শেষ হবে। এ জন্য হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়া ৮৩ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া ৬৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তবে তিনজন আদেশ শুনে আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আসামিরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সম্মুখ থেকে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তারা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় ভুক্তভোগী আইনজীবী মামলা শুনানি শেষে করে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আসেন। তখন আসামি আনোয়ার শাহাদাৎ শাওন হেলমেট পরে পিস্তল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি তাক করেন।

আসামি ওয়াকিল রড দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। 

এ ছাড়া অন্য আসামিরা স্লোগান দিয়ে বাদীসহ অন্য আইনজীবীদের কিল-ঘুষি মারেন এবং  রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারাত্মক আঘাত করেন। আসামিরা বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের চেম্বার ভাঙচুর ও লাখ লাখ টাকার মূল্যে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান। আসামিরা আশপাশের আইনজীবীদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। আসামিরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির চেম্বার ভবন ও ভবনের গুরুত্বপূর্ন আসবাব ভাঙচুর করে এক কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেন। এ ঘটনায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামীপন্থী ১৪৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী বাবু।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ