ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬
সান্তাহার-রহনপুর রেলপথ প্রকল্প

শতবছর ধরে ঝুলে আছে প্রস্তাবের ফাইল

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
শতবছর ধরে ঝুলে আছে প্রস্তাবের ফাইল

শত বছর পার হলেও সান্তাহার-রহনপুর রেলপথ প্রকল্প চালু হচ্ছে না। প্রকল্পটি দেশের উত্তরাঞ্চলের বগুড়া, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মানুষের স্বপ্ন ও প্রাণের দাবি হলেও গুরুত্বপূর্ণ এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য কোনো সরকারই এগিয়ে আসেননি। বর্তমানে আঁতুড় ঘরে মৃত্যু ঘটেছে প্রকল্পটির।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, এই গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১০ সালের দিকে তৎকালিন ইস্টার্ন বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে একটি জরিপ পরচালনা করে।

জরিপ দলের নেতা ডেলগ্রীন তার রিপোর্টে অবিলম্বে এ রেলপথ নির্মাণের জন্য জোর সুপারিশ করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর থেকে উত্তরাঞ্চলের জনগনের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালিন পাকিস্তান সরকারের রেলওয়ে বোর্ড ১৯৬৩ সালে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে পুনরায় কাজ শুরু করেন। গঠিত জরিপ দলের তৎকালীন প্রধান মরহুম আশরাফ আলী ডেলগ্রীনের রিপোর্টের পক্ষে মতামত প্রকাশ করেন। আশরাফ আলী তার অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ১৯৪ পৃষ্ঠা লিখিত রিপোর্টে প্রকল্পের একটি ক্লু প্রিন্ট ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গভর্নরের নিকট হস্তান্তর করেন।
কিন্তু যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেও রেলওয়ে বোর্ড রহস্যজনকভাবে হঠাৎ করে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।

৬৬ মাইল দীর্ঘ বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার-চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলওয়ে প্রকল্পটি ব্রড ও মিটার গেজ দুই ধরনের লাইন নির্মিত হওয়ার কথা ছিল। নতুন এ রেলপথে ১১টি স্টেশন রাখার কথাও ছিল। এ ছাড়া ট্রেন চলাচলের জন্য দুটি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

স্বাধীনতার পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংসদে সে সময় মরহুম আবুল কালাম আজাদ ও মরহুম মোজাফ্ফর রহমান চৌধুরী এ প্রকল্পটির কথা সংসদে উপস্থাপন করেছিলেন।

সান্তাহার পৌসভার সাবেক মেয়র ফিরোজ মো. কামরুল হাসান বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদের বাজেট আলোচনায় সান্তাহার-রহনপুর রেলপথ প্রকল্পটি নিয়ে সেই সময় ব্যাপক আলোচনাও হয়েছিল। তবে রেলওয়ে কতৃপক্ষ উত্তরাঞ্চলের বগুড়ার আদমদীঘি, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।

সামাজীক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি এড. ডিএম আব্দুল বারী বলেন, সান্তাহার-রহনপুর রেলপথ নির্মাণের জন্য সর্বশেষ গত বছরের ৬ জুলাই সান্তাহার স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফরমে মানববন্ধন করা হয়েছে। একুশে পরিষদের উদ্যোগে এর আগেও বহুবার মানববন্ধন ও দাবি জানানো হয়েছে।

কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষ দেখবেন, এখানে আমারা শুধু মাত্র দায়িত্ব পালন করি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫

প্রথম পরীক্ষার দিনেই বাবা হারালেন নাহিদ

সদর দক্ষিণ-লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
সদর দক্ষিণ-লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
প্রথম পরীক্ষার দিনেই বাবা হারালেন নাহিদ
বাবার লাশের খাটিয়া কাঁধেধ এসএসসি পরীক্ষার্থী নাহিদ। ছবি : কালের কণ্ঠ

চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার হল থেকে বের হয়েই বাবার লাশের খাটিয়া কাঁধে তুলে নিলেন ছেলে নাহিদ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার হরিশ্চর ইউনিয়ন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে বের হয়ে তিনি নিজ গ্রাম বড় হাড়গিলায় গিয়ে বাবার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেন। তিনি এবছর স্থানীয় মাতাইনকোট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন।

এর আগে বুধবার রাত দেড় টায় নাহিদের বাবা আক্তার হোসেন (৪৫) কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে দাফনের সম্ভাবনা থাকলেও নাহিদ এসএসসি পরীক্ষার হলে যাওয়ায় দাফনের সময় পিছিয়ে দুপুর ২টায় দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন
মাদরাসা ছাত্রীদের আবাসিক কক্ষে সিসি ক্যামেরা, শিক্ষকের কক্ষে মনিটর

মাদরাসা ছাত্রীদের আবাসিক কক্ষে সিসি ক্যামেরা, শিক্ষকের কক্ষে মনিটর

 

প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল কাদের ও রনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পরীক্ষার হল থেকে ফিরে নাহিদ জোহরের নামাজ আদায় করেন। এরপর বাবার লাশের খাটিয়া কাঁধে নিয়ে বাড়ি থেকে বড়হাড়গিলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে যান। জানাজা শেষে আবারও খাটিয়া কাঁধে নিয়ে শরীয়তের নিয়ম মেনে নিজের বাবার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।

জানাজার নামাজে ইমামতি করেন নাহিদের প্রতিবেশী মাওলানা জাকির হোসেন। জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন লালমাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোস্তফা কামাল খোকনসহ মাতাইনকোট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বড় হাড়গিলা গ্রামবাসী।

মাতাইনকোট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের স্কুল থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ছাত্র নাহিদ এর বাবা বুধবার রাতে ইন্তেকাল করেছেন। ছেলের পরীক্ষার কারণে সকাল থেকে পিছিয়ে দুপুরে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আমি তার বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

হরিশ্চর ইউনিয়ন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ ও এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ইলিয়াছ কাঞ্চন বলেন, ‘আজকে (১০ এপ্রিল) এসএসসির বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। আমাদের কেন্দ্রে ৫৮৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৮০জন অংশগ্রহণ করেছে। ৬জন ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। ছাত্রদের মধ্যে নাহিদ নামের একজন পরীক্ষার্থী বাবার মৃত্যুর পরও মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষার হলে এসেছেন।

শুনেছি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে বাবার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেছেন। আল্লাহ তার বাবাকে জান্নাত দান করুক।’    

এসএসসি পরীক্ষার্থী নাহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার বাবা ৪মাস ধরে টিবি রোগে আক্রান্ত। ঋণ করে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বাবার চিকিৎসার চেষ্টা করেছি। গত মঙ্গলবার বিকেলে নাকে মুখে রক্ত বের হতে থাকলে বাবাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। বুধবার সকাল থেকে আমি বাড়িতে থেকে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু রাত দেড়টায় বাবার মৃত্যুর খবর পাই। এরপর থেকে আর পড়তে পারিনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে বাবার নিথর দেহ বাড়ির উঠোনে একা রেখে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। পরীক্ষার হলে বসেও বাবাকেই ভাবছিলাম। কিছু লিখতে গেলেই খাতা দেখা যায় না, সাদা কাপড়ে মোড়ানো বাবার লাশ চোখে ভাসছিল। তারপরও কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। পরিবারে আমার মা রয়েছে। একমাত্র বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। আমার ছোট ভাইটি মাতাইনকোট উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ছে। বাবাহীন একটি অস্বচ্ছল পরিবার কিভাবে? সামনে পথ চলবে সেটাই ভাবছি। সবাই আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’

মন্তব্য

শরীরে আগুন দিলেন যুবলীগ নেতা, অতঃপর...

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
শেয়ার
শরীরে আগুন দিলেন যুবলীগ নেতা, অতঃপর...
সংগৃহীত ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পারিবারিক কলহে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দগ্ধ আশিকুর রহমান (৩৫) নামের এক যুবলীগ নেতার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। 

নিহত আশিকুর রহমান উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের দড়িগাঁও গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও সম্ভুপুরা ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। 

এলাকাবাসী জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে তার নিজ বসতঘরে নিজের শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন।

মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তার স্বজন এবং প্রতিবেশীরা জাতীয় বার্ন ইউনিট অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আরো পড়ুন
সৌদি আরবে গ্যাস পাইপ বিস্ফোরণে নিহত ২ বন্ধুর দাফন সম্পন্ন

সৌদি আরবে গ্যাস পাইপ বিস্ফোরণে নিহত ২ বন্ধুর দাফন সম্পন্ন

 

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান বলেন, ৩দিন আগে পারিবারিক কলহের জেরে যুবলীগ নেতা আশিকুর রহমান কেরোসিন ঢেলে শরীরে আগুন দিলে দগ্ধ অবস্থায় তাকে জাতীয় বার্ন ইউনিট অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু হয়েছে। 

মন্তব্য

খুলনায় সিটি কর্পোরেশনের অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় সিটি কর্পোরেশনের অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ
অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন

সড়ক ও ফুটপাত থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সংস্থাটি নগরীর দৌলতপুর ও খালিশপুর থানা এলাকায় অব্যাহত অভিযান পরিচালোনা করে।

সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, কেসিসি’র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণার নেতৃত্বে এ অপসারণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। 

আরো পড়ুন
মাদরাসা ছাত্রীদের আবাসিক কক্ষে সিসি ক্যামেরা, শিক্ষকের কক্ষে মনিটর

মাদরাসা ছাত্রীদের আবাসিক কক্ষে সিসি ক্যামেরা, শিক্ষকের কক্ষে মনিটর

 

অবৈধ দখল অপসারণকালে ফুটপাতের উপর ফ্রিজ ও জুস তৈরীর মেশিন রাখার অপরাধে যশোর রোডস্থ কোরিয়ান জুস এন্ড ফাস্টফুডের মালিক মাহী খানকে চার হাজার টাকা এবং হার্ডওয়্যার মালামাল ফুটপাতের উপর রেখে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে নিউ মোহাম্মাদিয়া হার্ডওয়্যারের মালিক মো. রহমতকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনাও অপসারণ করা হয়। 

কেসিসি’র এস্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। জনস্বার্থে এ অপসারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


 

মন্তব্য

মির্জাগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে হত্যা ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
শেয়ার
মির্জাগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে হত্যা ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ
ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যা ও ধর্ষণের চেষ্টাসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার (৭ এপ্রিল)  রাতে মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ঘটকের আন্দুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইব্রাহিম জোমাদ্দার বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) মির্জাগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেছেন। বুধবার (৯ এপ্রিল) বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে মির্জাগঞ্জ থানাকে এজাহার নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সোমবার রাতে দা, রামদা, জিআই পাইপসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগী ইব্রাহিম জোমাদ্দারের বাড়িতে ঢুকে প্রতিপক্ষের লোকজন। তারা বাড়িতে ঢুকে গােয়ালে রাখা একটি গরুর গলায় বাধা শিকল কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শব্দ শুনতে পেয়ে ইব্রাহিম জোমাদ্দার লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পান, দরজার সামনে দেশীয় অস্ত্রসহ কিছু লোক দাঁড়িয়ে আছেন। 

পরে অভিযুক্তরা ধারালাে অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইব্রাহিম জোমাদ্দারের মাথায় কোপ মারেন।

এতে ভুক্তভোগীর মাথায় জখম হয়। এ সময় ইব্রাহিম জোমাদ্দারের ডাক-চিৎকারে তার স্ত্রী শিউলি বেগম তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে তার মাথায় কোপ মারে দুর্বৃত্তরা। এতে শিউলি বেগমের মাথায়ও জখম হয়। শিউলি বেগম মাটিতে লুটিয়ে পরলে আসামিরা রামদা দিয়ে তার মাথায় ফের কোপ মারলে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।
এরপর আসামিরা  ইব্রাহিম জোমাদ্দারের ঘরে প্রবেশ করে আলমারি থেকে পুত্রবধূর স্বর্ণের রুলি, কানের দুল, স্বর্ণের চেইন ও আংটিসহ প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা মূল্যের মালামাল এবং নগদ ৫৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় আসামিদের মধ্যে দুইজন পুত্রবধূর ঘরে  ঢুকে  শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে।

এসময় আহতরা ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহযোগিতা চাইলে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আহতরা এখনও মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। 

আসামিরা হলেন-খালেক জোমাদ্দারের পুত্র কামাল জোমাদ্দার (৩৮) ,জসিম জোমাদ্দারের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৪০), মৃত হাসেম জোমাদ্দারের পুত্র মাজেদ জোমাদ্দার (৫০),গনি হাওলাদারের ছেলে মোশারেফ হাওলাদার (৪৫),শিরু ফকিরের ছেলে তৌহিদ (৪০), ওয়াজেদ ফরাজীর ছেলে বশির ফরাজী (৪৫),হামেল চৌকিদারের ছেলে রাসেল চৌকিদার (৩৫),আদম হাওলাদারের ছেলে হাবিব হাওলাদার (৫৫),কাছেম হাওলাদারের ছেলে মজিবুর হাওলাদার (৩৩), কামাল জোমাদ্দারের ছেলে মাইনুল জোমাদ্দার (১৯)।

অভিযুক্তরা সকলেই ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইব্রাহিম জোমাদ্দার বলেন, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। এলাকার এমন কোন অপকর্ম নাই যা তারা করে না। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ সর্বদা আতঙ্কে থাকে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হাওলাদার বলেন, আদালতের কাগজ এখনো হাতে পাইনি। পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ