<p style="text-align: justify;">বান্দরবান শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল ও নতুন কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে দুই পাহাড়ের পাথুরে ঢাল কেটে নির্মাণ করা টানেল আজ শুক্রবার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পরই টানেলটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। </p> <p style="text-align: justify;">টানেলটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। এটি দৈর্ঘ্যে মাত্র ৫২০ ফুট হলেও চালু হওয়ার দিক থেকে এটিই চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রথম সড়ক টানেল। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি শুক্রবার সকালে টানেলটি উদ্বোধন করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তরুণ প্রকৌশলীরা স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই টার্নেল নির্মাণ করেছেন।</p> <p style="text-align: justify;">শুক্রবার রাতে টানেলের পশ্চিম প্রান্তে গিয়ে দেখা যায়, উৎসুক জনতার ভিড়। চারপাশে রড-কংক্রিটের পুরু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা এই টানেল ২৫ ফুট চওড়া। ফলে দুটি বড় গাড়ি বা বাস দুদিক থেকে সহজেই চলাচল করতে পারছে। টানেলের ভেতরের অন্ধকার দূর করতে দিনে রাতে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা থাকায় টানেলটি হয়ে উঠেছে দর্শনীয় স্থান।</p> <p style="text-align: justify;">টানেল প্রকল্পের পরিচালক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত কালের কণ্ঠকে জানান, পাথুরে দুটি পাহাড়ের এই অংশ এক সময় ছিল মরণ ফাঁদ। বর্ষা মৌসুমে বড় বড় পাথর খণ্ড ভেঙে গড়িয়ে পড়তো। শক্ত পাথর কুঁচি, বালি আর রডের মাধ্যমে দুই ফুট পুরু দেয়াল ও ছাদ নির্মাণ করে এই বিপদসংকুল সংযোগ সড়কে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের পাশাপাশি এলাকাটিকে একটি দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পটে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">আবু বিন ইয়াছির আরাফাত বলেন, টানেল স্থাপনের কাজটি শেষ করতে আমাদের প্রায় আট বছর লেগে গেছে। পর্যায়ক্রমে ৫২০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই টানেলকে আরো বাড়িয়ে এক হাজার ফুট দীর্ঘ টানেল স্থাপনের চিন্তাভাবনা করছি আমরা।</p>