<p>কক্সবাজারের টেকনাফে ১ লাখ ইয়াবা, ১টি একনলা বন্দুক ও ১ রাউন্ড গুলিসহ এক রোহিঙ্গা পাচারকারিকে আটক করেছে বিজিবি। আটক রোহিঙ্গার নাম মো. নুর রশিদ (২৫)। এ সময় পাচারের কাজে ব্যবহৃত নৌকাটিও জব্দ করা হয়।</p> <p>মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে টেকনাফ সীমান্তের হ্নীলা ইউনিয়নের আনোয়ার প্রজেক্ট এলাকা থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। ধৃত রোহিঙ্গা যুবক টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-এ/১৩ এর মৃত সলিমুল্লাহর ছেলে।</p> <p>বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে আনোয়ার প্রজেক্ট নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে হ্নীলা বিওপির একটি দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে বিজিবি টহলদল তিনজন লোককে একটি কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেওড়া বাগানের দিকে আসতে দেখে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিদের মধ্যে নৌকায় থাকা ২ জন নাফ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।</p> <p>এ সময় অপর ১ জন চোরাকারবারিকে টহলদল নৌকাসহ আটক করতে সক্ষম হয়। পরে টহলদল নৌকাটি তল্লাশি করে চোরাকারবারির কাছ হতে ১টি ওয়ান শুটার গান (এলজি), ১ রাউন্ড গুলি এবং নৌকার পাটাতনে রক্ষিত দুটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে ১ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে কাঠের নৌকাটিও জব্দ করা হয়।</p> <p>আটককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি লেদা ক্যাম্পে অবস্থান করে দীর্ঘদিন থেকে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচারের সাথে জড়িত। এ ছাড়া তিনি ক্যাম্পের আবুল কালাম ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে।</p> <p>টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিব) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ এ বিষয়ে জানান, আটক আসামিকে জব্দ ইয়াবা অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নৌকাসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ থানায় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।</p>