<p>মোনাজাতের মাধ্যমে ঐতিহাসিক চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী অগ্রহায়ণ মাহফিল শেষ হয়েছে। আখেরি মোনাজাতে সারা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য নিরাপত্তা ও পুরো মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। </p> <p>শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সমাপনী অধিবেশন ও আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন লাখো মুসল্লি। </p> <p>এর আগে গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাদ জোহর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)-এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়। </p> <p>আখেরি বয়ানের পর পীর সাহেব চরমোনাই বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় তিনি মুরিদদের সঠিক পথে পরিচালিত হওয়া নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। </p> <p>এর আগে বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, ‘মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে অহরহ। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মতো মনে করতে হবে। সুতরাং তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আল্লাহর ভয় যার অন্তরে নেই ওই মানুষ এমনকি আলেম, মুফতি ও পীরের কোনো মূল্য নেই।’</p> <p>মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘নিজেকে নিজে ছোট মনে করতে হবে। আমিত্ব ভাব ও তাকাব্বুরি পরিত্যাগ করতে হবে। হিংসা-বিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে। ঘোড়ার মুখে যেভাবে লাগাম থাকে সেভাবে রাগের মুখে লাগাম লাগাতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে কলব পরিশুদ্ধ করতে হবে। গিবতের মতো গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালিমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। ছহিহ শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে হবে।’</p> <p>সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে চরমোনাই পীর মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তি, ওলামায়ে কেরাম ও গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান তিনি।</p>