<p style="text-align:justify">ক্লোজ সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপনের ফলে চট্টগ্রামের পটিয়ায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধী শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারেও পুলিশ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে।</p> <p style="text-align:justify">তবে সিসি ক্যামেরাগুলো এখন চোরদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর পটিয়ায় সিসি ক্যামেরা চুরির একটি মামলার তদন্তে নেমে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ চুরির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেছে। সিসি ক্যামেরা চুরি করতে আসা চোরদের ছবি ও ফুটেজ সংরক্ষণ হয়ে যাওয়ার ফলে পুলিশ সহজেই তাদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">পটিয়া থানার সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মালিয়ারা গ্রামে কুয়েত প্রবাসী রফিকের নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে চারটি সিসি ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম চুরি হয়। পরদিন রফিকের ভাতিজা রিদুয়ান ইসলাম পটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।</p> <p style="text-align:justify">অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলামের নির্দেশনায় ও পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুরের নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রাজু আহমেদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। শনিবার রাতে আমজুর হাট এলাকা থেকে চুরির ঘটনায় জড়িত মো. নুর উদ্দিন হোসেন জাসেদ (৩৬) এবং মো. শাহেদুল আলম সাজু (২০) নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া চারটি সিসি ক্যামেরা, একটি মনিটর ও মেশিন উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৬০ হাজার টাকা।</p> <p style="text-align:justify">রবিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।</p> <p style="text-align:justify">অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, অপরাধীরা জানে সিসি ক্যামেরা থাকলে ধরা পড়তে হবে। তাই তারা ক্যামেরাগুলো টার্গেট করছে। তবে এতে তারা সুবিধা করতে পারবে না। ক্যামেরাগুলোর সুরক্ষার জন্য পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত।</p> <p style="text-align:justify">পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, সিসি ক্যামেরাগুলো অপরাধীদের জন্য ফাঁদ হিসেবে কাজ করছে। চোরেরা ক্যামেরা চুরির চেষ্টা করেও সফল হচ্ছে না, কারণ ক্যামেরা খোলার আগেই তাদের চেহারা রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে।</p>