<p>টোল আদায়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আনুষ্ঠানিকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। </p> <p>শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এরআগে এক্সপ্রেসওয়ের নতুন নামফলক উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা। </p> <p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম নিহত চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ওয়াসিম আকরামের স্মরণে ‘শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়াল সড়ক’ নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ করা হয়েছে। </p> <p>উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি প্রমুখ।</p> <p>উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করছি। যেন সারা দেশের মানুষ ও আগামী প্রজন্ম তাদের অবদানের কথা জানতে পারে, স্মরণ করতে পারে। চট্টগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রথম শাহাদাত বরণ করেছিলেন যিনি সেই ওয়াসিম আকরামের নামে এই উড়াল সেতু। আমরা সারা দেশে যারা এই জুলাই অভুত্থানে শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় স্মৃতি চিহ্ন তৈরি করছি। চট্টগ্রামের মানুষ সংগ্রামে শামিল হয়েছেন, আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সবসময় মনে রাখতে পারে তাদের অবদানের কথা এবং সেজন্যই এখানে আসা।</p> <p>এ দিকে উদ্ধোধনের পর চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথম টোল দিয়েছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এরপর সিডিএ চেয়ারম্যান মো. নুরুল করিমও টোল দিয়ে পার হন। </p> <p>জানা যায়, এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিয়ে ১০ ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে মোটরসাইকেল ও ট্রেইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এখনো এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো র‌্যাম্প (যানবাহন উঠানামা) চালু হয়নি। তাই একটি টোল হারই ধার্য করা হয়েছে। </p> <p>সিডিএ-এর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস সাংবাদিকদের বলেছেন, নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে চারটি টোল প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে। সেখানেই ওঠানামা করা সব গাড়ির টোল আদায় করা হবে। আপাতত সিডিএ টোল আদায় করবে। পরে টেন্ডারের মাধ্যমে আমরা অপারেটর নিয়োগ করব এই কাজের জন্য।</p> <p>উল্লেখ্য, নগরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে টাইগারপাস থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত অংশ ভার্চুয়ালি এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাড়ে ১৩ মাস আগে তড়িঘরি করে এক্সপ্রেসওয়ে উদ্ধোধন করা হলেও তখনও নির্মাণ কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় এতদিন যান চলাচল বন্ধ ছিল।</p>