<p>ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মোস্তাকিম নামের ৯ মাসের একটি শিশু মৃত্যু মারা গেছে। রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ২টার দিয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে শিশুটি মারা যায়।</p> <p>এর আগে স্বর্দি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়ায়সহ মোস্তাকিমকে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলই শালশিরি ইউনিয়নের রংপুরিয়াবস্তির আব্দুল লতিফের ছেলে। </p> <p>স্থানীয়রা জানায়, শিশুটির মা বাবলি আক্তার। তার স্বামী অন্যত্র বিয়ে করলে বাবলির জায়গা হয় বাবার বাড়ির এলাকা পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা প্রধানপাড়া স্কুলের মাঠে। সেখানে একটি ঝুপড়ি ঘর তুলে সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পাড় করতেন তিনি। প্রচণ্ড শীতে শুক্রবার তার ছেলে স্বর্দি, জ্বর, কাশি ও ডায়রিয়ায় নিয়ে মোস্তাকিমকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। শনিবার মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন মারা যায় শিশুটি। বাড়িতে নিয়ে লাশ দাফন করারও পয়সা ছিল না তার। হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা টাকা পয়সা তুলে শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে দাফন করার ব্যবস্থা করে দেয়। <br />  <br /> প্রত্যেক মা-বাবাকে সন্তানকে নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, শিশু শুধু ডায়রিয়া নয়, শীতজনিত স্বর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। চিকিৎসাধীন মারা যায় শিশুটি। শীতে শিশুরা বেশি অসুস্থ হচ্ছে।</p> <p>হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে চলছে পৌষের শীতের দাপট। কুয়াশা কম থাকলেও ঠাণ্ডা বাতাসে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। শীতের তীব্রতা বেশি থাকছে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত। দিনে সূর্যের দেখা মেলায় মিলছে খানিক স্বস্তি। তাপমাত্রা অনুযায়ী বর্তমানে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তিন দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে প্রান্তিক এ জেলায়। রবিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে। এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় শ্রমজীবী মানুষরা কষ্টে পড়েছে। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এদিকে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ডায়রিয়া নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি ৪৫টি শিশুর বেশির ভাগই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত।</p>