ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে আহত ১৫

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে আহত ১৫
সংগৃহীত ছবি

নাটোরের বড়াইগ্রামে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমানসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার কয়েন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
ইসলামে দুগ্ধজাত প্রাণীর অধিকার

ইসলামে দুগ্ধজাত প্রাণীর অধিকার

 

আহতদের মধ্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (৩৫), স্বেচ্চাসেবক দলের কর্মী সাইফুল ইসলাম (৪২), রুবেল আলী (২৮), সোহেল রানা (২৬), শুভ আলী (২২), জিন্নাহ আলী (৫৫), আজগর আলী (৬৫), সানিফ হোসেন সুজন (২৮), যুবদলকর্মী হৃদয় হোসেন (২৫), সানাউল্লাহ (৫৫), উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক নাসিম হোসেন (২৭), সাইদুল ইসলামকে (৫৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান বিভিন্ন রকম অপকর্ম করে আসতেছিল। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয় তৈরির জন্য উপজেলার কয়েন বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিই। সেই কার্যালয় রবিবার সন্ধ্যায় উদ্বোধন করার সময় আতাউর রহমান ও তার লোকজন এতে বাধা দিয়ে আমাদের মারধর করে।

আরো পড়ুন
মৃত্যুর প্রায় পাঁচ মাস পর দাফন করা হচ্ছে হিজবুল্লাহ নেতা নাসরুল্লাহকে

মৃত্যুর প্রায় পাঁচ মাস পর দাফন করা হচ্ছে হিজবুল্লাহ নেতা নাসরুল্লাহকে

 

অভিযোগ অস্বীকার করে আতাউর রহমান বলেন, ‘ছাত্রলীগের কর্মীরা লিফলেট বিতরণ করছিল। আমার ছেলেরা তাদের পুলিশে সোপর্দ করলে মিজানুর রহমান সেই ছাত্রলীগকর্মীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে মারপিট করে।’

বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

আরো পড়ুন
প্লে অফে রংপুরের শক্তি বাড়াতে রাসেলসহ ৩ বিধ্বংসী ব্যাটার

প্লে অফে রংপুরের শক্তি বাড়াতে রাসেলসহ ৩ বিধ্বংসী ব্যাটার

 
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী কারাবন্দি সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী তামান্না শারমিনকে মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে নগরের বাকলিয়া থানায় মামলাটি করেন নিহত বখতিয়ার হোসেন মানিকের মা ফিরোজা বেগম। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।  

আরো পড়ুন
ওসমানীয় সাম্রাজ্যে ঈদ উৎসব কেমন ছিল?

ওসমানীয় সাম্রাজ্যে ঈদ উৎসব কেমন ছিল?

 

ওসি বলেন, ‘মামলার আসামিদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তারা কে কোথায় অবস্থান করছেন, সে বিষয় জানার চেষ্টা করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

জানা যায়, গত শনিবার (২৯ মার্চ) রাত পৌনে ৩টার দিকে নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল থেকে আট-নয় জন লোক এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে চট্টগ্রামের আরেক সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন বাবলাকে বহনকারী প্রাইভেটকার ঝাঁঝরা করে ফেলে। এতে সারোয়ারের প্রাইভেটকার চালক বখতিয়ার হোসেন মানিক (৩০) ও তার সহযোগী আবদুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। 

তবে অক্ষত ছিলেন সারোয়ার ও তার সহযোগী রবিউল ইসলাম রবিন, ইমন ও হৃদয়। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ রবিন ও হৃদয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

তবে সারোয়ার ও ইমন কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, তা জানাননি রবিন। নিহত ও আহতরা সবাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ঢল

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ঢল

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয় দিন সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্টসহ আশপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে লোকে-লোকারণ্য হয়ে ওঠে।

পর্যটকের কেউ কেউ সাগরের ঢেউয়ে শরীর ভিজিয়ে টিউব নিয়ে সাঁতার কেটে উপভোগ করছেন স্বচ্ছ সাগরের জলরাশি। আবার অনেকেই জেড স্কিতে চড়ে ঘুরে আসছেন ঢেউয়ের তালে তালে।

সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোরাফেরা, কিটকিটে বসে সাগরের শীতলতা উপভোগেও ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। ঈদ উৎসব ঘিরে কক্সবাজার সৈকতে ছিল সব বয়সী মানুষের আনন্দ-উল্লাস।

ঢাকা থেকে আগত পর্যটক সৈয়দ হোসেন বলেন, ‌‘সারা বছরই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকি তাই ঈদের টানা ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে।

’ 

সমুদ্রপারে ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে জলকেলিতে মেতে ছিলেন ফরিদপুর থেকে আগত পর্যটক প্রিন্স। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার এসে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মন একেবারে জুড়িয়ে যায়, তাই প্রতিবছর অন্তত একবার হলেও এখন আসার চেষ্টা করি।’

গাজীপুর থেকে থেকে এসেছেন মোহাম্মদ কবির। তিনি বলেন, ‘ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে আসছি।

সাগরের গর্জন শুনে আর সাগরের নীল জলরাশিরে পা ভেজাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত।’ 

কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘আজ ঈদের পরের দিন সকাল থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে তারকা মানের হোটেলগুলো প্রায় বুকিং রয়েছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হোটেল ভাড়া বেশি নিচ্ছেন।’

কক্সবাজার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ সমুদ্র গোসল।

আর তাদের এইসমুদ্র গোসল নিরাপদ করতে কাজ করছে সী-সেইফ লাইফ গার্ড। সংস্থাটির ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আগত পর্যটকদের নিরাপদ সমুদ্র স্নান নিশ্চিত করতে সমুদ্রসৈকতের তিনটি জনপ্রিয় পয়েন্ট সুগন্ধা, কলাতলীও লাবণী পয়েন্টে লাইফ গার্ডের ২৭ জন সদস্য কাজ করছে। এছাড়া সমুদ্র স্নানে নেমে যাতে কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে সে জন্য আগত পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে।  

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মহমুদ বলেন, ‘কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পর্যটন এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।’ পর্যটকেরা কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন সে জন্য যা যা করার প্রয়োজন সব কিছু করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

মা-ভাই-বোনের অস্ত্রের আঘাতে প্রকৌশলী খুন

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
মা-ভাই-বোনের অস্ত্রের আঘাতে প্রকৌশলী খুন
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের রাউজানে মা, ভাই ও বোনের অস্ত্রের আঘাতে নুরুল আলম বকুল (৪১) নামের এক প্রকৌশলী নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেল ৩টার সময় রাউজান উপজেলার ১ নং হলদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডস্থ তিতা গাজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নুরুল অভিযুক্ত হত্যাকারী শহিদা বেগমের ছেলে। তার মা শহিদা বেগমের দুই ঘরের সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রকৌশলী নুরুল আলম বকুল গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে স্ত্রী ও সন্তানদের শহরে রেখে নিজ বাড়িতে আসে। ঈদের পরের দিন দুপুরে মা শহিদা বেগম, সৎভাই দিদার আলম, নাজিম উদ্দিন, মুন্নি আকতারের সঙ্গে জায়গাজমি ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ হয়। এক পর্যায়ে তারা বকুলের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা ও ছোট ভাই রাজু আহমেদ প্রথমে রাউজান উপজেলা হাসপাতাল পরে চমেক হাসপতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, সৎভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত হয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘আব্বা তো আর আইতো না, এর লাইগ্যা খালি মোবাইলো ছবি দেহি’

আলম ফরাজী, ময়মনসিংহ
আলম ফরাজী, ময়মনসিংহ
শেয়ার
‘আব্বা তো আর আইতো না, এর লাইগ্যা খালি মোবাইলো ছবি দেহি’
মোবাইলে বাবার ছবি দেখছে শিশু জান্নাতুল। ছবি : কালের কণ্ঠ

‘আম্মা আর বড় আব্বা (চাচা) খালি কয় আব্বা আসমানো গেছে, আইয়া পড়বো। অহন তো ঈদো গেছেগা, কই আইলো না তো। ঈদের আগে বেহেই (সবাই) আইবো কইছিন। বড় আব্বা নতুন জামা আনলেও আমার মন খারাপ।

পড়লে কী অইবো। আব্বা তো আর আইতো না। এর লাইগ্যা খালি মোবাইলো ছবি দেহি।’

পাঁচ বছরের মেয়ে জান্নাতুল জানে না তার বাবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন।

জান্নাতুল শহীদ হুমায়ুন কবীরের (২৫) মেয়ে। হুমায়ুন কবীর ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সাভার পূর্বপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে হুমায়ুনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জান্নাতুল হাতে মোবাইল। বসে বসে নিজের বাবার ছবি দেখছে সে।

গত বছরের ২০ জুলাই গাজীপুরের সাইনবোর্ড বাজারে অবস্থিত বড় ভাইয়ের দোকানের ভেতরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন হুমায়ুন।

বাড়ির বাইরে বসে শোনা যাচ্ছিল ভেতরে কারো আহাজারি। পরে জানা গেল, ঘরের ভেতরে বসে কাঁদছেন শহীদ হুমায়ুনের মা ফরিদা খাতুন। গতকাল ঈদের দিন এই আহাজারি আরো কয়েক গুণ বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন হুমায়ুনের স্ত্রী আয়েশা বেগম।

ফরিদা খাতুনের একটাই দাবি, তার সন্তান হত্যার বিচার।

তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানের তো কোনো দোষ ছিল না। তবে তাকে কেন হারাতে হলো।’

স্ত্রী আয়েশা জানান, প্রতি ঈদেই স্বামী তাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে যেতেন। দূরে কোথাও গিয়ে ছবি তুলতেন। এই ছবি নিজেদের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করতেন। এসব এখন শুধুই স্মৃতি। এখন আগের ছবি তার সম্বল। অবুঝ মেয়ের সামনে কাঁদতেও পারেন না আয়েশা।

শহীদ হুমায়ুনের বড় ভাই হযরত আলী জানান, গত বছরের ২০ জুলাই বিকেলে ভ্যানগাড়িতে করে পানের বস্তা আসে হুমায়ুনের দোকানে। পানের বস্তা দোকানে ঢুকিয়ে দোকান বন্ধ করেন হুমায়ুন। এ সময় ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে দোকানের সামনে লুটিয়ে পড়ে বাঁচও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। হুমায়ুন ভ্যানচালককে উদ্ধার করে তার (হযরত আলী) দোকানে ঢুকিয়ে ভেতর থেকে সাটার লাগিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ বাইরে থেকে সাটার খুলে ভেতরে অবস্থানরত দোকান কর্মচারীদের লক্ষ্য করে লাঠিচার্জ ও গুলি করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান হুমায়ুন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ