ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার জন্মদিন আজ। ১৯৮২ সালের এই দিনে রাজশাহীতে জন্ম তার। অসাধারণ অভিনয় দক্ষতায় দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। নাটক ও চলচ্চিত্র দুই জায়গাতেই তিনি সমান জনপ্রিয় তিশা।
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার জন্মদিন আজ
অনলাইন ডেস্ক

১৯৮২ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে, রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়।
তিনিসহ রুমানা, নাফিজা ও কণা এ চারজন গঠন করেন ব্যান্ড দল অ্যাঞ্জেল ফোর।
১৯৯৮ সালে 'সাত প্রহরের কাব্য' নাটক দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় তার অভিষেক হয় তিশার। নাটকটি রচনা করেন অনন্ত হীরা আর পরিচালনা করেন আহসান হাবীব। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। একের পর এক জনপ্রিয় নাটক দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।
তিশার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে, নুরুল হুদা একদা ভালোবেসেছিল, অরণ্যে জ্যোৎস্না, লাইফ, পূর্ণদৈর্ঘ্য, এলোমেলো মন, মুনিরা মফস্বলে, ঈদের টিকিট, আরমান ভাই, আরমান ভাই কয়া পারছে, আরমান ভাই ফাইস্যা গেছে, আরমান ভাই বিরাট টেনশনে, আরমান ভাই দি জেন্টেলম্যান, আরমান ভাই হানিমুনে, মিথু্যক।
তিশা সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। দর্শকের বেশ প্রশংসাও পেয়েছেন। ২০১৬ সালে তার অভিনীত দুটি বাণিজ্যিক সিনেমা মুক্তি পায় 'অস্তিত্ব' ও 'ওয়েটিং রুম'। অস্তিত্ব সিনেমায় তিনি একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর চরিত্রে অভিনয় করেন। অনন্য মামুন পরিচালিত এ সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন আরিফিন শুভ। এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ৪১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।
২০১৭ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'ডুব' সিনেমায় একজন স্বনামধন্য পরিচালকের কন্যা চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন। একই বছর তিনি 'হালদা নদী' নিয়ে সচেতনতামূলক হালদা সিনেমায় হাসু চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা অর্জন করেন।
এছাড়া, 'থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার', 'টেলিভিশন'সহ আরো বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিশা।
তিনি মেরিল লিপজেলের বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের মাধ্যমে মডেল হিসেবে যাত্রা করেন। এরপর একে একে কোকা-কোলা, সিটিসেল ও কেয়া সাবানের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন।
তার অভিনয় দক্ষতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ মেরিল-প্রথম আলো, চ্যানেল আই, এনটিভি ও আরটিভি স্টার পুরস্কার অর্জন করেন।
২০১০ সালে তিনি টিভি ও চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
সম্পর্কিত খবর

এপ্রিল ফুল, কেন এদিন মানুষকে বোকা বানানো হয়
অনলাইন ডেস্ক

পয়লা এপ্রিল। মানুষকে বোকা বানানোর দিন। বছরের পর বছর ধরে এদিন বন্ধু-বান্ধব, ভাইবোন, কাছের মানুষ এবং সহকর্মীদের বোকা বানানো হয়। সহজ কথায় বলা যায়, নিরলস হাস্যরস উদযাপনের জন্য বরাদ্দ একটা দিন।
জীবনে অন্তত একবার বোধ হয় আমরা সবাই ‘এপ্রিল ফুল’ হয়েছি। মজার বিষয় হলো, এদিন বোকা হওয়ার পরেও কেউ রাগ করেন না, বরং নিজেই সেই খেলায় জড়িয়ে পড়েন।
আনন্দ, মজা, হাসিঠাট্টার মধ্য দিয়ে পালিত হতো এপ্রিল ফুল বলে। এদিন যেকোনো বয়সের মানুষ উৎসাহের সঙ্গে একে অপরকে বোকা বানানোর খেলায় অংশ নেয়।
এপ্রিল ফুলের ইতিহাস
‘এপ্রিল ফুলস ডে’র সূচনা ও ইতিহাস নিয়ে অনেক কাহিনি ও নানা মতভেদ প্রচলিত আছে।
কিভাবে শুরু হলো এপ্রিল ফুলস ডে
ক্যালেন্ডারের ৩২ মার্চ
কথিত আছে যে ১৩৮১ সাল থেকে এই দিনটি উদযাপন শুরু হয়। আসলে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় রিচার্ড ও বোহেমিয়ার রানি অ্যান বাগদানের ঘোষণা করেন। বাগদানের তারিখ রাখা হয়েছিল ৩২ মার্চ। মানুষ উদযাপন শুরু করেন।
ঠাট্টা-বিদ্রূপ শুরু
এই দিনটি ঘিরে আরো একটি বিশ্বাসও রয়েছে, আগে ফ্রান্সে এপ্রিলেই নববর্ষ উদযাপিত হতো। ১৫৮২ সালে চার্লস পোপ গ্রেগরি দ্বাদশ ফ্রান্সে পুরনো ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু করেন। তা সত্ত্বেও অনেকে পুরনো ক্যালেন্ডার অনুসরণ করতে থাকেন। এর পর থেকে ১ জানুয়ারিতে নতুন বছরের সূচনার দিন হিসেবে পালন হওয়া শুরু হয়।
তবে অনেকে এটি মানতে অস্বীকার করেন এবং এপ্রিল মাসেই বর্ষারম্ভের দিন পালন করতে থাকেন। যারা নতুন ক্যালেন্ডারকে সমর্থন করেছেন তারা এপ্রিলে নতুন বছর সমর্থনকারীদের ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা শুরু করেছিলেন। এই ব্যক্তিদের ‘এপ্রিল ফুল’ বলা শুরু হয় এবং এ জন্য এপ্রিলের প্রথম দিনেই ‘এপ্রিল ফুলস ডে’ হিসেবে প্রচলিত হয়।
রোমান উৎসব হিলারিয়া
কিছু মানুষ আবার এই দিনটিকে প্রাচীন রোমান উৎসব ‘হিলারিয়া’র সঙ্গে সংযুক্ত করেন। যেটি একটি হাসি ও মজার উৎসব। এমনকি এই উৎসবে সবাই অন্যকে বোকা বানানোর জন্য এবং বসন্ত উপভোগ করতে ছদ্মবেশে থাকতেন।
উপমহাদেশ উদযাপন শুরু
কিছু প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রিটিশরা ভারতে ১৯ শতকে এই দিনটি উদযাপন শুরু করে। যদিও গত কয়েক বছরে এটি উদযাপনের উন্মাদনা বেড়েছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সম্পর্কিত মিম মারাত্মকভাবে ভাইরাল হয়। তবে মজা করার সময় মাথায় রাখা জরুরি, আপনার কোনো কথা যেন অপর মানুষটিকে আঘাত না করে।
সূত্র : আজতক বাংলা

দুধ দিয়ে গোসল করলে কি কলঙ্ক মোছে?
অনলাইন ডেস্ক

দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার হিড়িক পড়েছে দেশে। এই নেতা দুধ দিয়ে গোসল করে আওয়ামী লীগ ছাড়ছেন, তো আরেক নেতা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ছাড়ছেন। সকালে যুবলীগ ছাড়ছেন আরেকজন। কিন্তু দুধ দিয়ে গোসল কেন? বিশেষ দুধ দিয়ে গোসল করে আলোচনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী।
দুধ দিয়ে গোসল করলে কী হয়?
বিগত কয়েক বছরে এমন অনেক নেতা দুধ দিয়ে গোসল করে হয় রাজনীতি ছেড়েছেন, নয়তো দল পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু এই খবরগুলোর আকর্ষণের জায়গা ছিলো দুধ দিয়ে গোসল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, রাজনীতির কলঙ্ক মুছতেই তারা গোসলে দুধের ব্যবহার করে পাক-পবিত্র হওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আসলেই কি দুধ কলঙ্ক মোছে?
ভারতীয় উপমহাদেশে দুধ দিয়ে গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হওয়ার ধারণা প্রাচীনকাল থেকে চলে এলেও আধুনিক বিজ্ঞানে যা ভিত্তিহীন।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে দুধ দিয়ে গোসলে কয়েকটি উপকারিতা পাওয়া যায়। তন্মধ্যে শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা আনা, একজিমা দূর করা, চুলকানি দূর হওয়াসহ নানা উপকারের উল্লেখ রয়েছে।

মেডুসা, গ্রিক পুরাণের এক অভিশপ্ত রূপসী

গ্রিক পুরাণের এক রহস্যময় চরিত্র মেডুসা। তার সৌন্দর্য একসময় দেবতাদের পর্যন্ত মুগ্ধ করেছিল। কিন্তু এক ভয়ংকর অভিশাপের কারণে তিনি পরিণত হন এক দানবীতে। যার চোখে তাকালেই মানুষ পাথরে পরিণত হয়।
মেডুসা মূলত একজন অসাধারণ সুন্দরী মানবী ছিলেন। তার সৌন্দর্যে বিমোহিত হন সমুদ্রের দেবতা পসেইডন। কিছু কাহিনিতে বলা হয়, পসেইডন তাকে এথেনার মন্দিরে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে দেবী এথেনা এতে রুষ্ট হয়ে মেডুসাকে শাস্তি দেন।
গ্রিক পুরাণে মেডুসার ভূমিকা
মেডুসার গল্প শুধু অভিশাপের নয়, প্রতিশোধ ও ক্ষমতারও। বহু বীর মেডুসাকে পরাজিত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পারসিয়াস মেডুসার মাথা কেটে ফেলে এবং সেটি একটি থলেতে করে নিয়ে যান। এই মাথা পরবর্তীতে বিভিন্ন যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, কারণ এটি তখনো পাথরে পরিণত করার ক্ষমতা ধরে রেখেছিল।
মেডুসার প্রতীকী গুরুত্ব
আজকের সমাজে মেডুসার গল্প নারীদের শক্তি, অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতীকি প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একসময় তাকে শুধু ভয়ংকর দানবী হিসেবে দেখা হলেও এখন অনেকেই মেডুসাকে এক নির্যাতিত নারীর প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখেন।
সংস্কৃতিতে মেডুসা
শিল্পকলা ও ভাস্কর্যে মেডুসার মুখ দেখা যায়, বিশেষ করে রেনেসাঁ যুগের চিত্রকলায়। ফ্যাশন ডিজাইনাররা মেডুসার প্রতীক ব্যবহার করেছেন। বিখ্যাত ব্র্যান্ড ভার্সাচির লোগোতে মেডুসার মাথা রয়েছে। অনেক সাহিত্য, সিনেমা ও ভিডিও গেমে মেডুসা চরিত্রটি এসেছে, যেখানে তাকে ভয়ংকর দানবী বা শক্তিশালী নারীর প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
সূত্র : ব্রিটানিকা

‘মেহেন্দি বাই মিমির’ আয়োজনে হতে যাচ্ছে ঈদ মেহেদী ফেস্ট
অনলাইন ডেস্ক

ঈদুল ফিতরের আনন্দে সবাইকে রাঙাতে রাজধানী ঢাকায় আয়োজন হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় মেহেদী উৎসব ‘ঈদ মেহেদী ফেস্ট ২০২৫’। ‘মেহেন্দি বাই মিমি’ আয়োজনে এই উৎসবে থাকছে তাদের সকল পণ্য কেনা, লাইভ মেহেদি পরিয়ে নেওয়ার সুযোগ। এই মেহেদী ডিজাইনগুলো একেবারেই নতুন এবং ভিন্ন মাত্রার।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু হলো অভিজ্ঞ কারিগরদের তৈরি অর্গানিক মেহেদি দিয়ে নকশা করা কারুকাজ নিজের হাতে নেওয়া।
‘ঈদ মেহেদী ফেস্ট ২০২৫’ মেহেদী প্রেমীদের জন্য একটি অসাধারণ সুযোগ, যেখানে তারা উপভোগ করতে পারবেন আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী মেহেদী ডিজাইনের এক চমকপ্রদ সমন্বয়। ফেস্টে অংশগ্রহণকারীরা পাবেন বিশেষ ঈদ স্পেশাল মেহেদী ডিজাইন, যা আপনাদের ঈদ উৎসবকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে।
উৎসবটি আগামী ২৯ ও ৩০ মার্চ সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট ইসিবি চত্ত্বরের ব্লুমুন টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হবে। যোগাযোগ করতে পারেন- ফোন: 09647000112, ইমেইল: mehendibymimi@gmail.com এবং ওয়েবসাইট: www.mehendibymimi.com।