<p>মাথা ব্যথার অনেক কারণ ও অনেক ধরন আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে মাথা ব্যথাটা মানুষকে কাবু করে ফেলে, সেটা হচ্ছে মাইগ্রেনের ব্যথা। এটা মানুষের একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। মাইগ্রেনের ব্যথার সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।  কিন্তু কিছু কারণ বিজ্ঞানীদের জানা আছে।</p> <p><strong>কারণ</strong></p> <p><strong>জিনগত প্রভাব : </strong>পরিবারে কারো মাইগ্রেনের ইতিহাস থাকলে আপনিও এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।</p> <p><strong>নিউরোলজিক্যাল কার্যকলাপ : </strong>মস্তিষ্কের রাসায়নিক কার্যকলাপে ভারসাম্যহীনতা মাইগ্রেনের ব্যথার কারণ হতে পারে; বিশেষ করে সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে মাইগ্রেনের আশঙ্কা বাড়ে।</p> <p><strong>পরিবেশগত কারণ : </strong>আলো, শব্দ ও গন্ধের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা অনেক সময় মাইগ্রেনের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করতে পারে। অতিরিক্ত সূর্যের আলো, তীব্র গন্ধ বা জোরালো শব্দে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।</p> <p><strong>খাবার ও পানীয় : </strong>কফি, চকোলেট, অ্যালকোহল, প্রসেসড ফুড এবং অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবারও মাইগ্রেনের ট্রিগার হতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এ কারণেও মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে।</p> <p><strong>হরমোন পরিবর্তন :</strong> নারীদের পিরিয়ডের সময় হরমোনের তারতম্য ঘটে, তখন মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে।</p> <p><strong>জীবনযাত্রা ও মানসিক চাপ :</strong> অনিদ্রা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা মাইগ্রেনের ব্যথার একটি বড় কারণ হতে পারে।</p> <p><strong>বাঁচার উপায়</strong></p> <p><strong>নিয়মিত ঘুম : </strong>পর্যাপ্ত ও নিয়মিত ঘুম মাইগ্রেনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো ও জেগে ওঠার অভ্যাস করুন।</p> <p><strong>সুষম খাদ্য গ্রহণ : </strong>খাবারে ভারসাম্য বজায় রাখুন এবং খাবারের সময়সূচি মেনে চলুন। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথ্যা শুরু হতে পারে, তাই সময়মতো খাওয়া জরুরি।</p> <p><strong>স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ : </strong>স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মাইগ্রেনের অন্যতম উদ্দীপক। নিয়মিত যোগব্যায়াম বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে মানসিক চাপ কমানো যায়।</p> <p><strong>ট্রিগার চিহ্নিত করা : </strong>মাইগ্রেনের কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে এমন খাবার বা পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকুন।</p> <p><strong>শরীরচর্চা : </strong>নিয়মিত শরীরচর্চা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। এগুলো মাইগ্রেন প্রতিরোধে সাহায্য করে।</p> <p><strong>ওষুধ : </strong>মাইগ্রেনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করলে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।</p> <p><strong>সূত্র : </strong>যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস অবলম্বনে দাওয়াই ডেস্ক</p>