আমরা প্রায়ই মশকরা করে বলি, ‘বুদ্ধি তো হাঁটুতে থাকে’। কিন্তু কিছু প্রাণী আছে, যাদের মস্তিষ্ক সত্যিই পায়ে থাকে। আবার কিছু প্রাণী রয়েছে, যাদের একাধিক মস্তিষ্ক থাকে। শুনতে অবাক লাগলেও, এটি একেবারে সত্যি।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি অদ্ভুত প্রাণী সম্পর্কে, যাদের মস্তিষ্কের গঠন সাধারণ প্রাণীর তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন।
অক্টোপাস
অক্টোপাস সাধারণত তার আটটি শুঁড়ের জন্য পরিচিত। এই প্রাণীর মাথায় একটি কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক থাকে। কিন্তু প্রতিটি শুঁড়ের নিজস্ব একটি ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক রয়েছে।
এতে অক্টোপাস তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাধীনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং তার শুঁড়গুলো মস্তিষ্ক থেকে সংকেত ছাড়াই চলতে পারে।
জোঁক
জোঁক কেবল তার রক্তচোষা স্বভাবের জন্যই নয়, বরং তার অদ্ভুত স্নায়ুতন্ত্রের জন্যও বিখ্যাত। জোঁকের দেহে ৩২টি স্নায়ু কোষের গুচ্ছ থাকে, যা তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
স্টারফিশ
স্টারফিশের কোনো কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক নেই।
তাদের মুখের চারপাশে একটি স্নায়ু বলয় থাকে এবং প্রতিটি হাতের সঙ্গে একটি স্নায়ুজাল থাকে। যা তাদের পরিবেশের পরিস্থিতি অনুভব করতে সাহায্য করে।
কাটলফিশ
কাটলফিশের একটি বৃহৎ কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক এবং হাতে অতিরিক্ত স্নায়ু ক্লাস্টার থাকে। এটি তাদের ত্বকে রং পরিবর্তন করতে সাহায্য করে, যা তাদের শিকার থেকে বাঁচতে বা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে সহায়তা করে।
মাকড়সা
বিশেষ করে ট্যারান্টুলার মতো বৃহৎ মাকড়সার পায়ে গ্যাংলিয়া নামক বিস্তৃত স্নায়ুতন্ত্র থাকে।
এই স্নায়ুব্যবস্থা মাকড়সাকে তার চারপাশের বিপদ অনুভব করতে এবং নিঃশব্দে শিকার ধরতে সাহায্য করে।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা