ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬
মেয়র আতিক

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার দিয়ে বিটিআই প্রয়োগ করা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার দিয়ে বিটিআই প্রয়োগ করা হবে’
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় অগ্রাধিকার দিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংসকারী বিটিআই প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ বুধবার সকালে মিরপুর জাফনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানকালে এ কথা জানিয়েছেন।

শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র মিরপুর জাফনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্টুন বই বিতরণ করেন। পরে তিনি মিরপুর সিদ্ধান্ত স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝেও বইটি বিতরণ করেন।

দুটি স্কুলের প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বইটি বিতরণ করা হয়।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমাদের শিশুদের ডেঙ্গু থেকে মুক্ত রাখতে প্রতিনিয়ত স্কুলে স্কুলে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলছি। এডিস মশার কামড় থেকে বাঁচতে সবার সম্মিলিত সহযোগিতা চাই।

বিশেষ করে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহযোগিতা চাই। আমার কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছি, প্রতি শনি ও বুধবার নিজ নিজ এলাকার ইমাম, খতিব, শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে সভা করতে। সবাইকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক হিংস্র প্রাণী রয়েছে; কিন্তু মশা পুরো বিশ্বে আরো বেশি হিংস্র হয়ে গেছে।

প্রতিদিন মশার কামড়ে অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। অতএব এই মশার কামড় থেকে বাঁচতে আমাদের সচেতন হতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে মশা থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারব, শহরকে নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে।’

শিক্ষার্থীদের আহ্বান করে মেয়র বলেন, ‘মশার কামড় থেকে বাঁচতে তোমরা ফুলহাতা জামা পরবে, মশারির ভেতরে ঘুমাবে। মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদা-দাদি, নানা-নানিসহ আত্মীয়স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের জানাবে কোথাও যেন পানি জমে না থাকে।

বাসাবাড়ি, বারান্দা, ছাদ সবজায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’

এ সময় ডিএনসিসি মেয়র ট্রাকে উঠে এডিস মশার উৎসস্থলপরিত্যক্ত পাত্র, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, চিপসের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলো দেখিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন করেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিন দিনে এক দিন জমা পানি ফেলে দেওয়ার ও প্রতি শনিবার সকাল ১০টায় ১০ মিনিট বাসা-বাড়ি পরিষ্কার করার অঙ্গীকার করে।

স্কুলে প্রচারাভিযান ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ডিএনসিসি মেয়র ঘুরে ঘুরে জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রচারাভিযান শেষ করে ডিএনসিসি মেয়র কল্যাণপুরে রিটেনশন পন্ডের উদ্ধারকৃত জমি পরিদর্শন করেন। এ সময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়র বলেন, ‘এখানে দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অবৈধ দখল ছিল। আমরা অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে অনেকাংশ উদ্ধার করেছি। বাকি সকল অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করব। এখানে ইকো পার্কের পাশাপাশি বৃক্ষ হাসপাতাল ও প্রাণী হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। দ্রুতই কার্যক্রম শুরু হবে।’

প্রচারাভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুজিব সরোয়ার মাসুম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা ইতি প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চার গ্রেডে ভাগ হবে কওমি মাদরাসাগুলো

    কওমি মাদরাসাকে মূল ধারায় আনার উদ্যোগ কওমি শিক্ষকরা সরকারি বেতন-ভাতা পাবেন সরকারি বোর্ডের মাধ্যমে সনদ দেওয়ার প্রস্তাব
শরীফুল আলম সুমন
শরীফুল আলম সুমন
শেয়ার
চার গ্রেডে ভাগ হবে কওমি মাদরাসাগুলো
সংগৃহীত ছবি

সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা কওমি মাদরাসাগুলোকে মূলধারায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ‘বাংলাদেশের কওমি মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়ন রূপকল্প ২০২৫-২০৩৫’ নামে একটি কর্মসূচির খসড়ায় হাত দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। এই কর্মসূচির আওতায় বিদ্যমান ছয়টি বোর্ডকে এক করে একটি সরকারি বোর্ডের মাধ্যমে সনদ দেওয়া ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য সরকারি বেতন-ভাতা প্রদানেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু দাওরায়ে হাদিস পাস করা শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে এখনো মাস্টার্স ডিগ্রির মর্যাদা পান না। কওমি মাদরসার প্রকৃত সংখ্যা কত আর শিক্ষার্থী সংখ্যা কত, সে হিসাবও কারো কাছে নেই। কারণ দেশের গ্রামেগঞ্জে যেসব কওমি মাদরাসা গড়ে উঠেছে, সেগুলো মূলত নুরানি মক্তব, বেশি হলে হিফজ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।

বড় বড় মাদরাসার সাধারণত কিতাব বিভাগ রয়েছে। এই কিতাব বিভাগের শেষ শ্রেণি হচ্ছে দাওরায়ে হাদিস। তবে কেউ কেউ বলে থাকেন, দেশে কওমি মাদরাসার সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার হতে পারে। এসব মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৮০ থেকে ৯০ লাখ হতে পারে।

কওমি মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়ন রূপকল্পে এসব মাদরাসাকে মূলধারায় আনতে বেশ কিছু উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সব কওমি মাদরাসার হালনাগাদ তথ্যসহ ডাটাবেস প্রণয়ন; প্রতিষ্ঠানের জমি, অবকাঠামো, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীর তথ্য বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক ডাটাবেস প্রণয়ন; প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রী বিষয়ে পৃথক পৃথক তথ্যপঞ্জি প্রণয়ন এবং হালনাগাদকরণ; প্রাতিষ্ঠানিক কোড, ইআইআইএন নম্বর ইত্যাদি প্রদান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসার শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (মাদরাসার অনুবিভাগ) এস এম মাসুদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কওমি মাদরাসার উন্নয়ন রূপকল্প নিয়ে আমরা কাজ করছি। দশ বছরমেয়াদি একটি কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

আমরা কওমি মাদরাসার উন্নয়ন চাই, শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন চাই। সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলে আমরা এ ব্যাপারে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে খসড়া চূড়ান্ত করব।’

কওমি মাদরাসার জন্য চারটি গ্রেড বা শ্রেণি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

গ্রেড-১ : বর্তমানে পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যমান এবং গত ২৫ বছর বা তার বেশি পূর্বে স্থাপিত হয়ে ধারাবাহিকভাবে চলমান কওমি মাদরাসা।  গ্রেড-২ : বর্তমানে তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যমান এবং ১৫ বছর বা তার বেশি পূর্বে স্থাপিত হয়ে ধারাবাহিকভাবে চলমান কওমি মাদরাসা।  গ্রেড-৩ : বর্তমানে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যমান এবং পাঁচ বছর বা তার বেশি আগে স্থাপিত হতে ধারাবাহিকভাবে চলমান কওমি মাদরাসা। গ্রেড-৪ : অন্য সব মাদরাসা বা নতুন চলমান কওমি মাদরাসা।

কওমি মাদরাসাগুলোর জন্য সরকারিভাবে গ্রেডভিত্তিক মাসিক সম্মানি চালুকরণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। গ্রেড-১ ভুক্ত কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য শিক্ষক চারজন ও কর্মচারি একজনের জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি সাত হাজার টাকা সম্মানির প্রস্তাব করা হয়েছে। গ্রেড-২ ভুক্ত কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য প্রতি মাসে আট হাজার টাকা এবং অন্যান্য শিক্ষক চারজন ও কর্মচারী একজনের জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা সম্মানির প্রস্তাব করা হয়েছে। গ্রেড-৩ ভুক্ত কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা এবং অন্যান্য শিক্ষক চারজন ও কর্মচারী একজনের জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি তিন হাজার টাকা সম্মানির প্রস্তাব করা হয়েছে।

রূপকল্পে কওমি মাদরাসার একাডেমিক ডিগ্রি (সনদ) প্রদানের জন্য বিদ্যমান ছয়টি বোর্ডের বদলে একটি সরকারি বোর্ড প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ জন্য কওমি মাদরাসার সমন্বিত বোর্ডের অর্গানোগ্রাম চূড়ান্তকরণ, নিয়োগ ও কার্যকর করা; কওমি মাদরাসা বোর্ডের অবকাঠামো নির্মাণ ও চালু করা; কওমি মাদরাসার বোর্ড কর্তৃক প্রদানযোগ্য সনদ এবং সমমান নির্ধারণ ও কার্যকর করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কওমি মাদরাসার জন্য কারিকুলাম, সিলেবাস-পাঠ্যক্রম ইত্যাদি পুনর্নির্ধারণ; ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করা; শিক্ষার্থীদের জন্য মিড-ডে মিল বা টিফিন চালু করা; কওমি মাদরাসার প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো উন্নয়ন; কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও চালু করা; কওমি মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
পলিসি ডায়লগে বিশেষজ্ঞরা

নবায়নযোগ্য জ্বালানিই বাসযোগ্য শহরের নিশ্চয়তা দিতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নবায়নযোগ্য জ্বালানিই বাসযোগ্য শহরের নিশ্চয়তা দিতে পারে
'রোল অফ রিনিউয়েবল এনার্জি ফর এ লিভঅ্যাবল সিটি' শীর্ষক আলোচনা সভা

জীবাশ্ম জ্বালানির (গ্যাস, তেল, কয়লা) পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানিই বাসযোগ্য শহরের নিশ্চয়তা দিতে পারে। তাই দ্রুত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর বাংলামোটরে 'রোল অফ রিনিউয়েবল এনার্জি ফর এ লিভঅ্যাবল সিটি' শীর্ষক একটি পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি যৌথ আয়োজক ছিলেন বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি), বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক), সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এবং জেট নেট বিডি।

পলিসি ডায়ালগে ঢাকার প্রধান সমস্যা উল্লেখ করে বাসযোগ্য নগরী গড়তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খানের সভাপতিত্ব এবং সঞ্চালনায় পলিসি ডায়ালগে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টেট ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের প্রধান ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী। ডায়ালগটিতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। 

আরো পড়ুন
তিন ঘণ্টায় ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি ‘ধর্ষণের শিকার’ ৪ শিশু-কিশোরী

তিন ঘণ্টায় ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি ‘ধর্ষণের শিকার’ ৪ শিশু-কিশোরী

 

অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে, যেখানে শিল্পায়ন ও নগরায়ণ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্য।

এই নির্ভরশীলতাই দেশের বর্তমান বায়ুমান পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে যা ক্রমশই আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। আইকিউ এয়ার ২০২৪ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধান শহর রাজধানী ঢাকা বায়ু দূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান সবসময়ই নিম্নমানের থাকে।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বায়ু দূষণ প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটায় এবং সেইসাথে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুস ক্যান্সার এবং শ্বাসতন্ত্রের রোগসহ বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করে বসবাস যোগ্য শহর নিশ্চিত করতে হবে।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী বলেন, প্রথম কথা হল অবশ্যই সাধ্যমত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। এটি শুধু সরকার বা সরকারি সংস্থা বা কেবলমাত্র নীতিমালার বিষয় নয়। এটি সচেতন সংস্কৃতির বিষয়- তা প্রত্যেকটি নাগরিকের দায়িত্ব-যা' স্বভাবে পরিণত হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সৃষ্ট বায়ু দূষণ বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা, যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

তবে, সঠিক নীতি গ্রহণ ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ইতিমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে সকল মন্ত্রণালয়কে একযোগে কাজ করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চাপ প্রয়োগ করেও সবাইকে একত্রিত করে কাজ করানো সম্ভব হচ্ছে না। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের তাৎক্ষণিক কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের যে সকল নীতিমালা রয়েছে সেগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

আরো পড়ুন
মাঝরাতে রুমে গিয়ে প্রস্তাব, অক্ষয়কে ফিরিয়ে দেন আয়েশা

মাঝরাতে রুমে গিয়ে প্রস্তাব, অক্ষয়কে ফিরিয়ে দেন আয়েশা

 

পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, পরিবহন ও শিল্পখাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে আমরা একটি সুস্থ ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। এটি শুধুমাত্র বর্তমান প্রজন্মের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যও একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের (ডব্লিউবিবিটি) পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প নাই। বাংলাদেশ বায়ু দূষণ, শব্দদূষণ, নদী দূষণ কমাতে জীবাশ্ম জালানির ব্যবহার কমিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশেদুজ্জামান মজুমদার বলেন, জ্বালানি নিয়ে এই পর্যন্ত অনেকগুলো পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু কোনটাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন টার্গেট পূরণ করতে পারেনি। আমাদের সবগুলো জ্বালানি নীতির মধ্যে সমন্বয় করতে হবে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২৫ এর আলোকে জ্বালানি মহাপরিকল্পনা ২০২৩ কে সংশোধন করতে হবে।

অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে কিন্তু বিদ্যুতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেল গ্যাস এলএনজি আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভয়াবহ লোডশেডিং এ পতিত হয়েছিল দেশ। নবায়নযোগ্য জ্বালানিই তাই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

পলিসি ডায়ালগে আলোচক হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ, সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্সের সেক্রেটারি সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, বারসিক'র সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, ৭১ টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মো হাবিবুর রহমান, বারসিক'র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান সাগর, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনেরর (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্টের কো-অর্ডিনেটর ওয়াসিউর রহমান তন্ময়, মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি এবং সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) রিসার্চ অফিসার ইলমি তাবাচ্ছুম। 
 

মন্তব্য

পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সচিব হলেন ১৯২ কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সচিব হলেন ১৯২ কর্মকর্তা
সংগৃহীত ছবি

১৯২ জন উপসচিবকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পদোন্নতির আদেশে উল্লিখিত কর্মস্থল হতে কোনো কর্মকর্তার দপ্তর/কর্মস্থল ইতিমধ্যে পরিবর্তন হলে কর্মরত দপ্তরের নাম/ঠিকানা উল্লেখ করে তিনি যোগদানপত্র দাখিল করবেন। পরবর্তীতে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো বিরূপ/ভিন্নরূপ তথ্য পাওয়া গেলে তার ক্ষেত্রে এই আদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন/বাতিল করার অধিকার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।

এতে বলা হয়, যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের যোগদানপত্র সরাসরি সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর অথবা অনলাইনে ইমেইল (sa1@mopa.gov.bd) দাখিল করতে পারবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কওমি মাদরাসার শিক্ষকরা সরকারি বেতন-ভাতা পাবেন

    কওমি মাদরাসাকে মূল ধারায় আনার উদ্যোগ সরকারি বোর্ডের মাধ্যমে সনদ দেওয়ার প্রস্তাব চারটি গ্রেডে ভাগ হবে মাদরাসাগুলো
শরীফুল আলম সুমন
শরীফুল আলম সুমন
শেয়ার
কওমি মাদরাসার শিক্ষকরা সরকারি বেতন-ভাতা পাবেন
সংগৃহীত ছবি

সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা কওমি মাদরাসাগুলোকে মূলধারায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ‘বাংলাদেশের কওমি মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়ন রূপকল্প ২০২৫-২০৩৫’ নামে একটি কর্মসূচির খসড়ায় হাত দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। এই কর্মসূচির আওতায় বিদ্যমান ছয়টি বোর্ডকে এক করে একটি সরকারি বোর্ডের মাধ্যমে সনদ দেওয়া ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য সরকারি বেতন-ভাতা প্রদানেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু দাওরায়ে হাদিস পাস করা শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে এখনো মাস্টার্স ডিগ্রির মর্যাদা পান না। কওমি মাদরসার প্রকৃত সংখ্যা কত আর শিক্ষার্থী সংখ্যা কত, সে হিসাবও কারো কাছে নেই। কারণ দেশের গ্রামেগঞ্জে যেসব কওমি মাদরাসা গড়ে উঠেছে, সেগুলো মূলত নুরানি মক্তব, বেশি হলে হিফজ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।

বড় বড় মাদরাসার সাধারণত কিতাব বিভাগ রয়েছে। এই কিতাব বিভাগের শেষ শ্রেণি হচ্ছে দাওরায়ে হাদিস। তবে কেউ কেউ বলে থাকেন, দেশে কওমি মাদরাসার সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার হতে পারে। এসব মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৮০ থেকে ৯০ লাখ হতে পারে।

কওমি মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়ন রূপকল্পে এসব মাদরাসাকে মূলধারায় আনতে বেশ কিছু উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সব কওমি মাদরাসার হালনাগাদ তথ্যসহ ডাটাবেস প্রণয়ন; প্রতিষ্ঠানের জমি, অবকাঠামো, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীর তথ্য বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক ডাটাবেস প্রণয়ন; প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রী বিষয়ে পৃথক পৃথক তথ্যপঞ্জি প্রণয়ন এবং হালনাগাদকরণ; প্রাতিষ্ঠানিক কোড, ইআইআইএন নম্বর ইত্যাদি প্রদান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসার শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (মাদরাসার অনুবিভাগ) এস এম মাসুদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কওমি মাদরাসার উন্নয়ন রূপকল্প নিয়ে আমরা কাজ করছি। দশ বছর মেয়াদি একটি কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

আমরা কওমি মাদরাসার উন্নয়ন চাই, শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন চাই। সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলে আমরা এ ব্যাপারে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে খসড়া চূড়ান্ত করব।’

কওমি মাদরাসার জন্য চারটি গ্রেড বা শ্রেণি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

গ্রেড-১ : বর্তমানে পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যমান এবং গত ২৫ বছর বা তার বেশি পূর্বে স্থাপিত হয়ে ধারাবাহিকভাবে চলমান কওমি মাদরাসা।  

গ্রেড-২ : বর্তমানে তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যমান এবং ১৫ বছর বা তার বেশি পূর্বে স্থাপিত হয়ে ধারাবাহিকভাবে চলমান কওমি মাদরাসা।  

গ্রেড-৩ : বর্তমানে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যমান এবং পাঁচ বছর বা তার বেশি আগে স্থাপিত হতে ধারাবাহিকভাবে চলমান কওমি মাদরাসা।

গ্রেড-৪ : অন্য সব মাদরাসা বা নতুন চলমান কওমি মাদরাসা।

কওমি মাদরাসাগুলোর জন্য সরকারিভাবে গ্রেডভিত্তিক মাসিক সম্মানি চালুকরণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। গ্রেড-১ ভুক্ত কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য শিক্ষক চারজন ও কর্মচারি একজনের জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি সাত হাজার টাকা সম্মানির প্রস্তাব করা হয়েছে। গ্রেড-২ ভুক্ত কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য প্রতি মাসে আট হাজার টাকা এবং অন্যান্য শিক্ষক চারজন ও কর্মচারী একজনের জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা সম্মানির প্রস্তাব করা হয়েছে। গ্রেড-৩ ভুক্ত কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা এবং অন্যান্য শিক্ষক চারজন ও কর্মচারী একজনের জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি তিন হাজার টাকা সম্মানির প্রস্তাব করা হয়েছে।

রূপকল্পে কওমি মাদরাসার একাডেমিক ডিগ্রি (সনদ) প্রদানের জন্য বিদ্যমান ছয়টি বোর্ডের বদলে একটি সরকারি বোর্ড প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ জন্য কওমি মাদরাসার সমন্বিত বোর্ডের অর্গানোগ্রাম চূড়ান্তকরণ, নিয়োগ ও কার্যকর করা; কওমি মাদরাসা বোর্ডের অবকাঠামো নির্মাণ ও চালু করা; কওমি মাদরাসার বোর্ড কর্তৃক প্রদানযোগ্য সনদ এবং সমমান নির্ধারণ ও কার্যকর করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কওমি মাদরাসার জন্য কারিকুলাম, সিলেবাস-পাঠ্যক্রম ইত্যাদি পুনর্নির্ধারণ; ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করা; শিক্ষার্থীদের জন্য মিড-ডে মিল বা টিফিন চালু করা; কওমি মাদরাসার প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো উন্নয়ন; কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও চালু করা; কওমি মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ