<p>ব্যাটারকে জীবন দেওয়ার মূল্য বুঝল চট্টগ্রাম কিংস। বিশেষ করে পারভেজ হোসেন ইমন। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ক্যাচ ফেলে কী ভুলটাই না করেছেন তিনি। জীবন পেয়ে আর পেছন ফিরে তাকালেন না উইকেটরক্ষক ব্যাটার। বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে খুলনাকে এনে দিলেন ২০৩ রানের বিশাল সংগ্রহ। আগে ব্যাট করা দলগুলোর মধ্যে এবারে বিপিএলে প্রথম দল হিসেবে দুই শ করল খুলনা।</p> <p>মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল খুলনার। উদ্বোধনী জুটিতে ৪.৩ ওভারে ৩৭ রান এনে দিয়েছিলেন নাঈম শেখ ও উইলিয়াম বসিস্টো। ২৬ রানে নাঈমকে আউট করে চট্টগ্রাম কিংসকে প্রথম সাফল্য এনে দেন আলিস আল ইসলাম। খুলনার ওপেনার ফিরে গেলেও রানা চাকা সচলই থাকে।</p> <p>বলা ভালো আরো গতি পায়। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৭ বলে ৫১ রানের জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ ও বসিস্টো। তবে ১৮ রানে আউট হয়ে নাঈমের মতো খুলনার অধিনায়কও বসিস্টোকে একা রেখে যান। পরে আরো দুই সতীর্থের ফিরে যাওয়া দেখেন অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার। অন্যরা আসা- যাওয়ার মিছিলে থাকলেও নিজের কাজটা ঠিকিই করেছেন তিনি। বিপিএলে প্রথমবার খেলতে এসে তুলে নিয়েছেন প্রথম ফিফটি।</p> <p>১৫০.০০ স্ট্রাইকরেটে ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন বসিস্টো। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৮ চার ও ৩ ছক্কায়। খুলনার ইনিংসের অ্যাঙ্করের ভূমিকায় বসিস্টো থাকলে বিনোদন দিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শূন্য রানে ড্রেসিংরুমের পথ ধরার কথা ছিল তার। অফ স্পিনার আলিস আল ইসলামের বলে আম্পায়ার এলবিডব্লিউয়ের আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। জীবন পেয়ে পরের ওভারে শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যামিও ইনিংসের শুরুটা করেন।</p> <div style="text-align:center"> <figure class="image" style="display:inline-block"><img alt="33" height="600" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Bhanu/চড়া মূল্য.jpg" width="1000" /> <figcaption>পঞ্চম উইকেটে বিধ্বংসী ৮৬ রানে জুটি গড়ে খুলনাকে দুই শ স্কোর এনে দিয়েছেন বসিস্টো-অঙ্কন। ছবি : কালর কণ্ঠ, মিরপুর থেকে</figcaption> </figure> </div> <p>অবশ্য ১২ রানেই থেমে যেতে পারত অঙ্কনের ইনিংস। শামীমের ফিরতি বলেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লং অফে তা তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয়বার জীবন পেয়ে শরীফুল ইসলামের ওপর ঝড় বইয়ে দিলেন তিনি। ১৭তম ওভারের প্রথম দুই টানা ছক্কা হাঁকানোর পর পঞ্চম বলে আরেকটি হাঁকালেন। এভাবে একর পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটিটা তুলে নিলেন ১৮ বলে। শেষ পর্যন্ত যখন ইনিংস শেষ হলো তার নামের পাশে ৫৯ রান। সেটিও মাত্র ২২ বলে। ২৬৮.১৮ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে ছক্কা মেরেছেন ৬টি। আর চার মাত্র ১টি।</p> <p>পঞ্চম উইকেটে ৮৬ রানের জুটি গড়ে খুলনাকে বিশাল স্কোর এনে দিয়েছেন বসিস্টো-অঙ্কন। সেটি মাত্র ৩৫ বলে। এর মধ্যে ৫৯ রানই অঙ্কনের। তাদের এই ঝোড়ো জুটি না হলে ১৭০ করতে পারত কিনা একটা সময় সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কেননা ১১৭ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। ওভারে তখন ১৪.২ চলছিল। সেখান থেকে দুর্দান্ত এক ইনিংসে সব শঙ্কা দূর করে খুলনাকে প্রথম দল হিসেবে দুই শ স্কোর এনে দিয়েছেন অঙ্কন।</p>