<p>শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আট বছর ধরে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষিত ব্যক্তির নিষেধাজ্ঞাও কখনো প্রত্যাহার করেনি দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট প্রশাসন। অথচ সেই রিজওয়ান বিন ফারুক এখন অবলীলায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্দরমহলে ঢুকে পড়ার ছাড়পত্র পেয়ে গেছেন। তাঁকে রাখা হয়েছে চলতি বিপিএলের জন্য গঠিত ১১ সদস্যের ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে।</p> <p>এই কমিটিতে ছয়জন পরিচালকের পাশাপাশি বিসিবির বাইরের যে পাঁচজন আছেন, রিজওয়ান তাঁদের অন্যতম। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের সময় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসিডেন্ট বক্সে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার প্রেসসচিব মাহফুজ আলমের মধ্যকার আলোচিত বাকবিতণ্ডার পর এই কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ বিপিএল পরিচালনার জন্য গভর্নিং কাউন্সিল থাকতে এটি গঠনের উদ্দেশ্য কী, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় এতে জায়গা পাওয়া একাধিক বিসিবি পরিচালকও।</p> <p>নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁদের একজন বলছিলেন, ‘দেখেছি যে কমিটিতে আমাকে রাখা হয়েছে। কিন্তু কাজ কী, সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই।’</p> <p>বোর্ড সভাপতির গঠন করা কমিটিতে রিজওয়ানের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অবশ্য কেউ কথা বলতে চাননি। ২০১৬ সালে মিরপুরে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চের পাশে রিজওয়ান অস্বাভাবিক অবস্থায় চড়াও হয়েছিলেন টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হক চৌধুরীর ওপর।</p> <p>সেই ঘটনায় বিসিবি দ্রুত ব্যবস্থাও নিয়েছিল। ওই বছরের এপ্রিলে বিসিবির সাবেক পরিচালক ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির প্রধান আ জ ম নাসির সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘এই ঘটনা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সে জন্যই আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। তাঁকে (রিজওয়ান) আমরা বাংলাদেশের সব স্টেডিয়ামে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। তিনি এমনকি বিসিবি পরিচালিত কোনো টুর্নামেন্টে কোনো ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গেও যুক্ত হতে পারবেন না।’</p>