<p>ভারতের আসাম রাজ্যের ডিমা হাসাও জেলার পরিত্যক্ত কয়লাখনি থেকে শনিবার তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে উদ্ধার হওয়া মরদেহের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার। এ ছাড়া খনির ভেতরে এখনো আটকে রয়েছেন পাঁচজন। </p> <p>মৃতদের মধ্যে একজনের নাম লিগেন মগর। বছর সাতাশের ওই তরুণ ডিমা হাসাও জেলার কালামাটি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। অপর দুই মৃতের নাম-পরিচয় এখনো প্রকাশ্যে আসেনি।</p> <p>গত সোমবার ডিমা হাসাওয়ের উমরাংসোয় ওই পরিত্যক্ত খনিতে কয়লার খোঁজে নেমেছিলেন শ্রমিকরা। তাদের মধ্যে ছিলেন জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দাও। কিন্তু হঠাৎ ওই খনিতে পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে ভেতরেই আটকে পড়েন ৯ জন শ্রমিক। বুধবার তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। গঙ্গাবাহাদুর শ্রেষ্ঠা নামের ওই শ্রমিক নেপাল থেকে গিয়েছিলেন কাজ করতে। এই নিয়ে চতুর্থ মরদেহ উদ্ধার হলো আসামের ওই খনি থেকে। </p> <p>এদিকে কয়লাখনির ভেতরে শ্রমিকরা কী অবস্থায় রয়েছেন, তা-ও জানা যাচ্ছে না। সময় যত এগোচ্ছে আটকে পড়া শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগ তত বাড়ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী, আসামের বিপর্যয় মোকাবেলা দল, ভারতীয় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। শনিবার উদ্ধার অভিযান ষষ্ঠ দিনে পড়েছে। এদিন সকালে উদ্ধারকাজ শুরুর পর খনিতে জমা পানি ওপর মগরের মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে ডুবুরিরা মরদেহটি বের করে আনেন।</p> <p>ডিমা হাসাও জেলার এ খনি অবৈধ বলেও দাবি করা হচ্ছে। তবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, অবৈধ নয়, এটি পরিত্যক্ত খনি। ১২ বছর ধরে খনিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে এবং তিন বছর আগে পর্যন্ত সেটি আসাম খনিজ উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে ছিল।</p> <p>এর আগে বুধবারই উমরাংসোয় পৌঁছয় নৌবাহিনীর একটি বিশেষ দল। বিশাখাপত্তনম থেকে তাদের নেওয়া হয় উদ্ধারকাজের জন্য। দলে একজন কর্মকর্তা ও ১১ জন নাবিক রয়েছেন। প্রত্যেকেরই ডাইভিং ও জটিল উদ্ধার অভিযানের প্রশিক্ষণ রয়েছে।</p> <p>সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা</p>