রয়টার্সের প্রতিবেদন

১০ হাজারের মধ্যে ২৯৪ ইউএসএআইডি কর্মী রাখবে ট্রাম্প প্রশাসন

  • চারটি সূত্র রয়টার্সকে ইউএসএআইডির কর্মী ছাঁটায়ের বিষয়টি জানিয়েছে
  • বিশ্বব্যাপী সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হবে
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
১০ হাজারের মধ্যে ২৯৪ ইউএসএআইডি কর্মী রাখবে ট্রাম্প প্রশাসন
ছবিসূত্র : এএফপি

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিশ্বব্যাপী ইউএসআইডি সংস্থাটির ১০ হাজারের বেশি কর্মীর মধ্যে ৩০০ জনেরও কম কর্মী রাখার পরিকল্পনা করছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার চারটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ জানুয়ারি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটনের মানবিক সহায়তা সংস্থাটি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি সরকারি পুনর্গঠন কর্মসূচির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

এই পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত চারটি সূত্র জানিয়েছে, সংস্থার মাত্র ২৯৪ জন কর্মীকে তাদের চাকরি বহাল রাখার অনুমতি দেওয়া হবে, যার মধ্যে আফ্রিকা ব্যুরোতে মাত্র ১২ জন এবং এশিয়া ব্যুরোতে আটজন রয়েছেন।

ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউএসএআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জে. ব্রায়ান অ্যাটউড। তিনি বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত জঘন্য কাজ।’ তিনি আরো বলেন, ‘কর্মীদের গণহারে ছাঁটাই কার্যকরভাবে এমন একটি সংস্থাকে হত্যা করবে, যা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করেছে।’

তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষ বেঁচে থাকবে না।

’  ব্রায়ান অ্যাটউড এখন ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটসন ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র ফেলো। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।

ট্রাম্প এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্ক ইউএসএআইডি কর্মীদের অপরাধী বলে অভিযোগ তুলে বহু কর্মীকে ছুটিতে পাঠিয়েছেন। শত শত অভ্যন্তরীণ ঠিকাদারকে ছাঁটাই করা হয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে জীবন রক্ষাকারী কর্মসূচিকে অচলাবস্থায় ফেলে দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার প্রশাসন ঘোষণা করেছে, তারা বিশ্বব্যাপী সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত সব ইউএসএআইডি কর্মীকে ছুটিতে পাঠাবে এবং বিদেশে কর্মরত হাজার হাজার কর্মীকে প্রত্যাহার করবে।

সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিও বলেছিলেন, প্রশাসন এমন প্রগ্রামগুলো চিহ্নিত এবং মনোনীত করছে, যা এই কর্মবিরতি আদেশ থেকে অব্যাহতি পাবে। এই কর্মসূচিগুলো বিশ্বব্যাপী রোগের বিস্তার বন্ধ, দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ এবং অন্যথায় দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

আরো পড়ুন
বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ছুটিতে পাঠাল মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি

বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ছুটিতে পাঠাল মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি

 

স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মবিরতি আদেশের কারণে ইউএসএআইডির বাস্তবায়নকারী অংশীদাররা আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই সংস্কার হাজার হাজার কর্মী এবং তাদের পরিবারের জীবনকে বিপর্যস্ত করবে।

প্রশাসনের লক্ষ্য হলো- রুবিওর নেতৃত্বে ইউএসএআইডিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে একীভূত করা, যাকে ট্রাম্প ভারপ্রাপ্ত ইউএসএআইডি প্রশাসক করেছেন। তবে কংগ্রেস ভোট না দিলে তিনি সংস্থাগুলোকে একীভূত করতে পারবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। যেহেতু আইনের মাধ্যমে ইউএসএআইডি তৈরি হয়েছিল।

কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস) অনুসারে, ইউএসএআইডি বিশ্বজুড়ে ১০ হাজারের বেশি লোককে নিয়োগ করেছে, যাদের দুই-তৃতীয়াংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে। এটি ২০২৩ অর্থবছরে ৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ দিয়েছে, যার জন্য সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থার ঘটনাবলীর সঙ্গে পরিচিত সূত্র জানিয়েছে, কিছু কর্মী চাকরিচ্যুতির নোটিশ পেতে শুরু করেছেন। ইউএসএআইডি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে শুধু মিশনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে, মূল নেতৃত্বে এবং বিশেষভাবে মনোনীত কর্মসূচিগুলোর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বাদে সব ইউএসএআইডির সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের বিশ্বব্যাপী প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হবে।

আরো পড়ুন
তাইওয়ান দ্বীপের কাছে ৬ চীনা বেলুন শনাক্ত

তাইওয়ান দ্বীপের কাছে ৬ চীনা বেলুন শনাক্ত

 

সংস্থাটি ২০২৩ সালে প্রায় ১৩০টি দেশে সহায়তা প্রদান করেছে, যার মধ্যে অনেক দেশ সংঘাতে ভেঙে পড়েছে এবং  দরিদ্র। সিআরএস রিপোর্ট অনুসারে, শীর্ষ সহায়তা প্রাপক ছিল ইউক্রেন, তারপরে ইথিওপিয়া, জর্দান, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, সোমালিয়া, ইয়েমেন এবং আফগানিস্তান।

এদিকে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডিকে অপরাধমূলক সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। সংগঠনটিকে উগ্র বাম মার্ক্সবাদীদের একটি ‘সাপের বাসা’ বলেও অভিহিত করেছেন এবং এটি বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন। 

সূত্র : রয়টার্স
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ট্রাম্পকে ঘৃণার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রাম্পকে ঘৃণার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও (বাঁয়ে) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম রাসুল ডোনে)। ছবিসূত্র: এভলিন হকস্টাইন / পুল / এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পকে ‘ঘৃণা’ করার অভিযোগ এনে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম রাসুলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অত্যন্ত বিরল পদক্ষেপ।

 সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে আমাদের মহান দেশে আর স্বাগত জানানো হবে না।

হোয়াইট হাউস এক্স অ্যাকাউন্ট হ্যান্ডেল থেকে ট্রাম্পের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইব্রাহিম রাসুল একজন বর্ণবাদী রাজনীতিবিদ, যিনি আমেরিকাকে ঘৃণা করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ঘৃণা করেন।' 

তিনি আরো বলেন, ‘তার সঙ্গে আমাদের আলোচনা করার কিছু নেই, তাই তাকে পারসোনা নন গ্রাটা (অবাঞ্চিত বা অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি) হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’ 

আরো পড়ুন
অবশেষে আটকে পড়া মহাকাশচারীদের ফেরাতে রওনা দিল মহাকাশযান

অবশেষে আটকে পড়া মহাকাশচারীদের ফেরাতে রওনা দিল মহাকাশযান

 

ওয়াশিংটন ও প্রিটোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় সর্বশেষ সংযোজন এই পদক্ষেপ। গত ফেব্রুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় মার্কিন সহায়তা বন্ধ করে দেন।

দেশটির একটি আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন, সেখানে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের কাছ থেকে জমি দখল করার অনুমতি রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার শ্বেতাঙ্গদের জমি ‘বাজেয়াপ্ত’ করছে বলে অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে গত সপ্তাহে ট্রাম্প উত্তেজনাকে আরো উস্কে দেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষকদের যুক্তরাষ্ট্রে বসতি স্থাপনের জন্য স্বাগত জানান।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যেকোন কৃষক (পরিবারসহ) নিরাপত্তার কারণে সেই দেশ থেকে পালাতে চাইলে, দ্রুত নাগরিকত্বের প্রদানের সুযোগ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একজন হলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী ধনকুবের ইলন মাস্ক, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সরকারকে ‘প্রকাশ্যে বর্ণবাদী মালিকানা আইন’ প্রয়োগের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় জমির মালিকানা একটি বিতর্কিত বিষয়। বর্ণবাদের অবসানের তিন দশক পরেও বেশিরভাগ কৃষিজমি এখনো শ্বেতাঙ্গদের মালিকানাধীন এবং দেশটির সরকার সংস্কার বাস্তবায়নে চাপের মধ্যে রয়েছে।

গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায়  জি-২০ এর একটি অনুষ্ঠানে রামাফোসা বলেছিলেন, জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তার সঙ্গে ‘চমৎকার’ কথা হয়েছে। কিন্তু পরে সম্পর্ক ‘কিছুটা খারাপ হয়ে গেছে বলে মনে হয়েছে’ তার।

আরো পড়ুন
পাকিস্তানের অভিযোগের জবাব দিল আফগানিস্তান ও ভারত

পাকিস্তানের অভিযোগের জবাব দিল আফগানিস্তান ও ভারত

 

মার্কো রুবিও তার এক্স পোস্টে রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্টের একটি প্রতিবেদন লিংক করেছেন। এতে শুক্রবার অনুষ্ঠিত বৈদেশিক নীতি সম্পর্কিত একটি সেমিনারে রাসুলের মন্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

ব্রেইটবার্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাসুল সেমিনারে বলেছেন, শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ বিশ্বের ‘বর্তমান আধিপত্য ব্যবস্থার’ জন্য ট্রাম্পের ‘অসম্মান’কে অনুপ্রাণিত করছে। ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আন্দোলন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্যের প্রতি একটি শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী প্রতিক্রিয়া।’

যৌবনে বর্ণবাদ বিরোধী প্রচারক রাসুল গাজায় যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলি সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে নিউজসাইট জেটিওর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘বর্ণবাদী শাসনামলে দক্ষিণ আফ্রিকানরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তা ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে স্টেরয়েড হিসেবে কাজ করেছে।’

সূত্র: এএফপি
 

মন্তব্য

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে : ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে : ট্রাম্প
সংগৃহীত ছবি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভালো এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া এক পোস্টে এই কথা জানান। খবর বিবিসির।

রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ট্রাম্প লেখেন, ‘এই ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মস্কোতে ভ্লাদিমির পুতিন ও বিশেষ মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে বৈঠকের পর ক্রেমলিন বলেছে, তারা শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলাপ করেছে। রাশিয়া জানিয়েছে, তারাও যুক্তরাষ্ট্রের মতো আশাবাদী, তবে 'সতর্কভাবে'। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফ থেকে ওই মন্তব্য এলো।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন যে, ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আলোচনাকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে খেলতে দেওয়া যাবে না।

আরো পড়ুন
নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক সেই শি‌বির নেতা‌কে বহিষ্কার

নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক সেই শি‌বির নেতা‌কে বহিষ্কার

 

গত সপ্তাহে ইউক্রেন মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে, যা রাশিয়া এখনো মেনে নেয়নি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার পুতিন বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতির ধারণা সঠিক এবং আমরা এটিকে সমর্থন করি। তবে এর কিছু বিষয়ে রয়েছে।

পুতিন এই শান্তি চুক্তির জন্য বেশ কয়েকটি কঠিন শর্ত আরোপ করেছেন। জেলেনস্কি এই প্রতিক্রিয়াকে ‘কারচুপি’ বলে অভিহিত করেছেন।

মন্তব্য

অবশেষে আটকে পড়া মহাকাশচারীদের ফেরাতে রওনা দিল মহাকাশযান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অবশেষে আটকে পড়া মহাকাশচারীদের ফেরাতে রওনা দিল মহাকাশযান
চার মহাকাশচারী আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন ক্রু-১০। ইনসেটে আটকা পড়া সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। ছবি : এক্স থেকে নেওয়া

দীর্ঘ ৯ মাস পর অবশেষে মহাকাশে আটকে পড়া সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোরকে ফিরিয়ে আনতে পৃথিবী থেকে রওনা দিয়েছে  মহাকাশযান। নাসা এবং স্পেসএক্স আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রকেটটি উৎক্ষেপণ করেছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রওনা দিয়েছে রকেটটি। এই ক্রু-১০ মিশনটি মহাকাশচারী জুটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রথম পদক্ষেপ।

 

স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটটি সন্ধ্যা ৭টা ০৩ মিনিটে ফ্লোরিডার নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে চারজন নভোচারীকে নিয়ে উড্ডয়ন করে। উইলমোর এবং উইলিয়ামসের স্থলাভিষিক্ত হবেন তারা। দুইজনেই নাসার অভিজ্ঞ নভোচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন নৌবাহিনীর পরীক্ষামূলক পাইলট এবং বোয়িং (বিএডটিএন)-এর প্রথম বিমান উড়িয়েছিলেন।

আরো পড়ুন
দুই দেশের মাঝখানে বসবাস তাদের, অভিজ্ঞতা কেমন?

দুই দেশের মাঝখানে বসবাস তাদের, অভিজ্ঞতা কেমন?

 

উৎক্ষেপণের পর সাংবাদিকদের নাসার আইএসএস প্রগ্রামের ডেপুটি ম্যানেজার ডিনা কনটেলাম বলেন,  উইলমোর এবং উইলিয়ামস স্টেশনে তাদের দৈনন্দিন সময়সূচিতে ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ক্রু-১০ উৎক্ষেপণ হয়েছে।

শনিবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ১০ মহাকাশচারীর আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস)-এ পৌঁছানোর কথা রয়েছে মহাকাশযানটি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বুধবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারেন সুনীতা ও ব্যারি। বুধবার ভোর ৪টায় (০৮০০ জিএমটি) নাসা মহাকাশচারী নিক হেগ এবং রাশিয়ান মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গর্বুনভের সঙ্গে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে তাদের। 

এই মহাকাশযানটিতে এতে আরো চার মহাকাশচারী আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন।

তাদের মধ্যে নাসা ছাড়াও জাপান এবং রাশিয়ার প্রতিনিধি রয়েছেন।

আরো পড়ুন
গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ লাগবেই: ন্যাটো প্রধানকে ট্রাম্প

গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ লাগবেই : ন্যাটো প্রধানকে ট্রাম্প

 

প্রায় ছয় মাস স্টেশনে অবস্থানকারী ক্রু-১০ ক্রুদের মধ্যে রয়েছেন, নাসার অ্যান ম্যাক্লেন, নিকোল আইয়ার্স, জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার প্রতিনিধি টাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রতিনিধি কিরিল পেসকভ।

প্রঙ্গত, গত বছরের জুন মাসে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। আট দিন পরেই তাদের পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু যে যানে চড়ে তারা গিয়েছিলেন, সেই বোয়িং স্টারলাইনারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে।

ফলে তাতে সুনীতাদের প্রত্যাবর্তন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নাসার সিদ্ধান্তে তাদের ছাড়াই সেটি খালি অবস্থায়ই পৃথিবীতে ফেরানো হয়। 

সূত্র : রয়টার্স
 

মন্তব্য

৪৩ দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৪৩ দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশ্বের ৪৩টি দেশের নাগরিকদের ওপর নানা মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এই তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত একটি খসড়া তালিকা তৈরি করেছেন। তবে চূড়ান্ত প্রস্তাবে আরো কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কূটনীতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা একটি লাল তালিকা প্রস্তাব করেছেন। এই তালিকায় থাকা ১১টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। এই দেশগুলো হলো—আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন।

এ ছাড়া, একটি ‘কমলা’ তালিকাও আছে।

এই তালিকায় থাকা ১০টি দেশের নাগরিকদের আংশিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হবে। এ ক্ষেত্রে দেশগুলোর ধনী ব্যবসায়ীরা প্রবেশ করতে পারলেও অভিবাসী বা পর্যটন ভিসায় আসা ব্যক্তিরা পারবেন না। এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো—বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান এবং তুর্কমিনিস্তান।

প্রস্তাবে একটি খসড়া ‘হলুদ’ তালিকাও অন্তর্ভুক্ত আছে।

যেখানে ২২টি দেশকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রাপ্ত তথ্যগত ঘাটতি দূর করার জন্য বলা হয়েছে, যদি তারা তা না করতে পারে তবে তারা অন্য কোনো তালিকায় স্থানান্তরিত হতে পারে। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো—অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বেনিন, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, কেপ ভার্দে, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডোমিনিকা, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, মালি, মৌরিতানিয়া, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাও টোমে ও প্রিন্সিপে, ভানুয়াতু এবং জিম্বাবুয়ে।

আরো পড়ুন
ইউক্রেন সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ পুতিনের

ইউক্রেন সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ পুতিনের

 

এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেই একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে। সেই আদেশে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে কোন কোন দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন বা সীমিত করা প্রয়োজন তা চিহ্নিত করতে বলা হয়। তিনি ৬০ দিনের মধ্যে হোয়াইট হাউসে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলেছিলেন।

অর্থাৎ, আগামী সপ্তাহেই জমা দিতে হবে এই প্রতিবেদন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ