<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উত্তর গাজায় গত আড়াই মাসে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মাত্র ১২ ট্রাক খাবার ও পানি বিতরণ সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম গত রবিবার এ কথা জানায়। উত্তর গাজায় এত সামান্য ত্রাণ যাওয়ায় সেখানকার মানবিক পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটার আশঙ্কা জানায় সংস্থাটি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উত্তর গাজায় গত শনিবার পর্যন্ত ত্রাণ সরবরাহের হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে এক বিবৃতিতে অক্সফাম জানায়, গত আড়াই মাসে মাত্র ৩৪ ট্রাক খাবার ও পানি উত্তর গাজায় সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু  ইসরায়েলি বাহিনীর ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবস্থাপনা বিলম্ব ও  বাধার  কারণে মাত্র ১২ ট্রাক খাবার ও পানি ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিতরণ করা গেছে। অক্সফাম আরো জানায়, এগুলোর মধ্যে তিনটি ট্রাকের খাবার ও পানি একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের মাঝে বিতরণ করা হয়। কিন্তু ত্রাণ বিতরণ শেষে লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে গোলাবর্ষণ করা হয়। অক্সফাম বলছে, চলতি বছরের ৬ অক্টোবর থেকে তারাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংগঠনগুলো উত্তর গাজায়  জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সরবরাহে অব্যাহতভাবে বাধা পাচ্ছে। ওই সময় থেকে উত্তর গাজায় বোমা বর্ষণ তীব্র করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালানো শুরু করার পর থেকেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিকে ত্রাণ প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে রেখেছে। তাদের দাবি, ত্রাণ সংস্থাগুলো বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামলানো ও বিতরণ করতে অক্ষম। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পোলিও টিকা নেওয়ার পরই বোমায় পা হারাল শিশুরা</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> : গাজায় দেইর আল বালাহ শহরের একটি হাসপাতালে তিন বছর বয়সী হানান আল ডাক্কি ও তার ২২ মাস বয়সী ছোট বোন মিস্ক গত চার মাস ধরে চিকিৎসাধীন। হানান প্রায়ই তার মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করে। সেই সঙ্গে তার পা কোথায় তাও জানতে চায়। ছোট্ট হানানের প্রশ্নে নির্বাক হয়ে থাকে তার ফুফু শেফা আল ডাক্কি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ২ সেপ্টেম্বর সকালবেলায় হানান আর মিস্ককে পোলিও টিকা দেওয়া হয়েছিল। পোলিও টিকা দেওয়ার পর দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছিল তাদের মা শাইমা আল ডাক্কি। সেদিনই দুপুরের খাবার খাওয়া মাত্র শেষ করেছিল তাদের পুরো পরিবার। এরপরই দেইর আল বালাহর বাড়িটিতে বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিন ইসরায়েলি বোমায় নিহত হন শাইমা। আর তার পরিবারের বাকি সদস্যরা আহত হয়। দুই ছোট্ট শিশু হানান ও মিস্ক গুরুতর আহত হয়। হামলায় হানান তার দুটি পা হারায়। তার সারা গায়ে বোমার ক্ষতচিহ্ন রয়ে গেছে। অন্ত্রের কিছু অংশ অপসারণের জন্য অপারেশন করাতে হয় তার। অন্যদিকে হানানের চেয়েও ছোট মিস্কের বাঁ পা কেটে ফেলতে হয়েছে। দুই শিশুর করুণ মুখের দিকে তাকাতে বুক ফেটে যায় ফুফু শেফার। তিনি বলেন, শিশুদের পোলিও থেকে রক্ষা করতে তাদের টিকা দেওয়া হলো। আর তারপরই ইসরায়েলি বোমা হামলায় তারা পা হারাল। তাহলে এই টিকা দিয়ে তাদের জীবনে কি লাভ হলো জানতে চান শেফা।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র : আলজাজিরা, এএফপি</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>