<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেছেন তাঁর স্ত্রী আসমা আল-আসাদ। বিচ্ছেদের পর তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে যেতে চেয়েছেন বলে তুরস্ক ও আরব গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জেরুজালেম পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। তবে এই বিচ্ছেদের আবেদনের বিষয়টি গতকাল সোমবার নাকচ করে দিয়েছে ক্রেমলিন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেরুজালেম পোস্টের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সপরিবারে রাশিয়ায় পালিয়ে যান আসাদ। কিন্তু মস্কোর জীবন নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন আসমা। তিনি রাশিয়া ত্যাগ করার বিশেষ অনুমতি চেয়ে দেশটির একটি আদালতে আবেদন করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আসমার জন্ম লন্ডনে ১৯৭৫ সালে। তাঁর মা-বাবা অবশ্য সিরিয়ান। আসমা আল-আসাদের ব্রিটিশ-সিরিয়ার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। তিনি লন্ডনের কিংস কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ফরাসি সাহিত্যে ডিগ্রি অর্জন করে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদকে বিয়ে করেন আসমা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাফেজ, জেইন ও করিম নামের এই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। সিরিয়ার বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে আসমা তাঁর সন্তানদের নিয়ে লন্ডনেই আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাশার আল-আসাদ বর্তমানে রাশিয়ার রাজনৈতিক আশ্রয়ে মস্কোতে অবস্থান করছেন। রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ তাঁর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে আসাদের আশ্রয়ের অনুরোধ গ্রহণ করলেও তাঁর মস্কো ত্যাগ করার বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ তাঁর সম্পদও জব্দ করেছে। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে ২৭০ কিলোগ্রাম সোনা, দুই বিলিয়ন ডলার নগদ এবং মস্কোতে থাকা ১৮টি স্থাবর সম্পত্তি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি সিরিয়ার বিদ্রোহীরা দেশটির উত্তর-পশ্চিমের ইদলিবে তাদের ঘাঁটি থেকে সরকারবিরোধী বিস্ময়কর অভিযান শুরুর পর বহু বছরের শাসন শেষে বাশার আল-আসাদের পতন হয়েছে। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহ আগেও এটি ছিল অচিন্তনীয়। এটিই সিরিয়ার জন্য টার্নিং পয়েন্ট। ২০০০ সালে বাবার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় এসেছিলেন বাশার আল-আসাদ এবং তিনি বাবার মতোই শক্তভাবে দেশ শাসন করেছেন। আসাদের বাবা উনত্রিশ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন। সূত্র : বিবিসি, এনডিটিভি, এরাব নিউজ</span></span></span></span></span></p>