<p>জর্জিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের সময় রাজধানী তিবিলিসিতে হাজারো বিক্ষোভকারী প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। গতকাল রবিবার ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির মিত্র সাবেক পেশাদার ফুটবলার মিখাইল কভেলাশভিলি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন।</p> <p>ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) জর্জিয়ার যোগদানের আবেদন সরকার স্থগিত করার পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট চলছে। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন কভেলাশভিলি।</p> <p>গত অক্টোবরে দেশটির পার্লামেন্টে নির্বাচনে ১২ বছর ধরে দেশ শাসন করে আসা জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি জয় পায়। তবে কারচুপির অভিযোগ ওঠায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে এবং তখন থেকেই রাজধানীর পথে পথে বিক্ষোভ শুরু হয়।</p> <p>জর্জিয়ার বিদায়ি প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিশফিরি রবিবার পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিজেকে ‘একমাত্র বৈধ প্রেসিডেন্ট’ বলে দাবি করেছেন। বাইরে জমায়েত লোকজনের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ছেড়ে যাচ্ছি। তবে উত্তরসূরিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে যাচ্ছি। বৈধ প্রেসিডেন্ট বসলেই কেবল এই ভবনটি প্রতীক হয়ে উঠবে।</p> <p>জর্জিয়ার প্রধান চার বিরোধী দল কভেলাশভিলিকে প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি পার্লামেন্ট বয়কট করেছে। ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া কভেলাশভিলি একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। এর আগে জুরাবিশফিরি এই নির্বাচনের নিন্দা জানিয়ে একে ‘প্রতারণা’ অভিহিত করেছিলেন। এই অচলাবস্থার সমাধান কিভাবে হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। জর্জিয়ায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু রয়েছে, দেশটিতে প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপ্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টের প্রধান। সূত্র : এএফপি</p> <p> </p>