<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী তিন দিনে শতাধিকবার বোমা হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় নিহত হয়েছে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি। এদিকে এসব হামলার মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে কাতারে হামাসের সঙ্গে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে গত বছর ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় আট শতাধিক মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে ফিলিস্তিনের আওকাফ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজার চিকিৎসাকর্মীরা ও ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গাজায় গত শনিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ৩০টি পৃথক হামলায় এক পরিবারের ১১ জনসহ অন্তত ৮৮ জন নিহত হয়েছে। গাজা সিটির আল-গৌল পরিবারের বাড়িতে চালানো হামলায় একই পরিবারের অন্তত ১১ জন সদস্য নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাতজনই শিশু। এ হামলায় আল-গৌল পরিবারের বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাড়িটির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া কেউ বেঁচে আছে কি না তা নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনিরা সেখানে অনুসন্ধান চালাচ্ছিল। হামলার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরও বাড়িটির পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্র থেকে ধোঁয়া উঠছিল। এ ঘটনার বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরে গাজা সিটির আরেকটি বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় আরো পাঁচজন নিহত হয়। ফিলিস্তিনি ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বাড়িটির ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত ১০ জন আটকা পড়ে আছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে আরেকটি হামলায় আরো পাঁচজন নিহত হয়। এর পাশাপাশি ছিটমহলটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় ছয় ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হন। নিহত রক্ষীরা মানবিক ত্রাণ সরবরাহ ও বিতরণে নিরাপত্তা দিতে কর্মরত ছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে গাজায় ইসরায়েলের চলমান এসব হামলার মধ্যেই দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাত্জ কাতারে হামাসের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আলোচনা ফের শুরু হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরো</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রায়</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২৫০ জনকে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কােজর কার্যালয় থেকে বলা হয়, হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলের নারী সেনা সদস্য লিরি আলবাগের স্বজনদের মন্ত্রী বলেছেন, জিম্মিদের মুক্ত করে আনার চেষ্টা চলছে। জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য গত শুক্রবার ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধিদল কাতার গেছে বলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলমান আলোচনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাত্জ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসেম ব্রিগেড একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তারিখবিহীন সাড়ে তিন মিনিটের ভিডিওটিতে দেখা যায়, ১৯ বছর বয়সী আলবাগ হিব্রু ভাষায় ইসরায়েল সরকারকে তাঁর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলছেন। অবশ্য বার্তা সংস্থা এএফপি স্বাধীনভাবে</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওই</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওই ভিডিও প্রকাশের পর তাঁর পরিবার নেতানিয়াহুর কাছে একটি আবেদন করেছে। তারা বলে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আপনার নিজের সন্তানেরা সেখানে আছে, এমন মনে করে সিদ্ধান্ত নিন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজায় এখনো ৯৬ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজায় প্রায় ১৫ মাস ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। উপত্যকাটিতে রক্তপাত বন্ধে কয়েক মাস ধরে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আলোচনা থেকে কোনো ফলপ্রসূ সমাধান আসেনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ২০২৪ সালে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ৮১৫টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস এবং আরো ১৫১টি মসজিদ আংশিক ধ্বংস করেছে বলে ফিলিস্তিনের আওকাফ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী ১৯টি কবরস্থানও ধ্বংস করেছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা, এএফপি</span></span></span></span></span></p>