<p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিষয়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে থাকছে না। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইন উপদেষ্টা প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ায় বিভিন্ন হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, সাংবাদিক, দেশি-বিদেশি আইনজীবীর মতামত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সব মতামতের ভিত্তিতে একটি খসড়া করে উপদেষ্টা পরিষদে উত্থাপন করা হয়েছিল। খসড়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আইনের যে সংশোধনীটি করা হয়েছিল, সেখানে রাজনৈতিক দলকে শাস্তি দেওয়ার বিধান ছিল। খসড়ায় বলা ছিল, </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">আদালত যদি মনে করেন তারা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কনসার্নড অথরিটির (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) কাছে সুপারিশ করতে পারেন।</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span> </span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আরো জানান, উপদেষ্টা পরিষদ এই বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চায় না। রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্ন এলে এই আইনকে অযথা প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সেই সুযোগ দিতে চায় না। ডিসেন্টওয়েতে/ফেয়ারওয়েতে বিচারটি করতে চায়। এ জন্য প্রভিশনটি বাতিল করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ এটি উপলব্ধি করেছে যে যদি কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবি সমাজে ওঠে, তাহলে দেশে অন্যান্য আইন আছে। এটি ঠিক যে সরকার চাইলে প্রচলিত আইনেই বিদ্যমান দল বা সংগঠন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। </span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তার বিচার হওয়া উচিত। কারণ আদর্শভিত্তিক রাজনীতি, সুশাসন ও দেশের উন্নয়ন হাত ধরাধরি করে চলে। আদর্শচ্যুত রাজনীতির কাছ থেকে সমাজ ও দেশ কিছু আশা করতে পারে না, তাতে বরং গণতান্ত্রিকচর্চা বিঘ্নিত হয়। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা না থাকলে জবাবদিহি থাকে না। রাজনীতির গুণগত মান প্রশ্নবিদ্ধ হয়। রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতা দল ও নেতৃত্বকে পরিশুদ্ধ করে। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়ে এসে দেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ধ্বংসের চেষ্টাও যে হয়নি, তা নয়। স্বার্থান্বেষী রাজনীতির সুযোগ নিয়ে বিস্তৃত হয়েছে পেশিশক্তি। অনেকের জন্য রাজনীতি হয়ে ওঠে বিত্তবৈভব অর্জনের হাতিয়ার। তখন সমষ্টির কল্যাণের চেয়ে ব্যক্তির উদরপূর্তিই হয়ে ওঠে রাজনীতির ধারা। জনস্বার্থ উপেক্ষিত হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে রাজনীতির ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়েছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অসুস্থ ধারার অনুপ্রবেশ ঘটে।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন ঘটাতে হবে। রাজনীতির গুণগত মানের পরিবর্তন ও উদারনৈতিকতা দেশের রাজনীতিকে ঋদ্ধ করবে। আমরা চাই, দেশের রাজনীতি পরিশুদ্ধ হোক। জনকল্যাণে পরিচালিত হোক রাজনীতি। জনসম্পৃক্ত রাজনীতি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।</span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>