<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের শিক্ষা খাত কি কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি মেনে চলে, নাকি নিজেদের মতো করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ম তৈরি করে? সেই নিয়মে তাদের প্রাপ্তিযোগ ঘটে অথবা নিজেদের পকেট ভারী করার জন্যই নিয়ম তৈরি হয়। এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার আগে এমন খবর প্রায়ই আসে যে দেশের অনেক অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেদের মতো করে পরীক্ষার ফি আদায় করে। বলার অপেক্ষা রাখে না, বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে অনেক বেশি টাকা আদায় করা হয়। এই টাকা আদায় করা হয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের পকেট ভরার জন্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আদায় করা বাড়তি টাকা শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেন বলেও অভিযোগ আছে। অনেক সময় বাড়তি টাকা দিতে না পারলে শিক্ষার্থীদের হেনস্তাও হতে হয়। ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজের পাবলিক পরীক্ষায় বড় অঙ্কের ফি দিতে হয়। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণ ফি থেকে ১১ শিক্ষা বোর্ডের আয় হয়েছে ৪২৯ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণ ফি বাবদ বোর্ডের আয় হয়েছে প্রায় ৩০৭ কোটি টাকা। দুই পরীক্ষার ফি হিসাব করলে দাঁড়ায় ৭৩৬ কোটি টাকা। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকার নির্ধারিত বেতন-বোনাসের বাইরে ইচ্ছামতো ভাতা ও সম্মানী নিচ্ছেন, যা অনেক ক্ষেত্রে বেতনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। শিক্ষার্থীদের দেওয়া পরীক্ষার উচ্চ ফি থেকে তারা বাড়তি আয় করছেন। ১২ মাসে নিচ্ছেন আটটি বোনাস। সরকার নির্ধারিত বোনাস হচ্ছে দুই ঈদে মূল বেতনের সমান দুটি উৎসব ভাতা এবং মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী উৎসব ভাতা। কিন্তু দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেরা নিয়ম করে মূল বেতনের সমপরিমাণ আরো পাঁচটি উৎসব ভাতা নিয়ে থাকেন। এর বাইরে বোর্ডগুলোতে প্রায় প্রতিদিন কর্মকর্তাদের একাধিক বৈঠক থাকে। অফিসের নির্ধারিত সময়ে সেসব বৈঠক হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা সম্মানী নেন। বোর্ডের আইনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আলাদা করে বিভিন্ন ভাতা নেওয়ার বা সনদ ও নম্বরপত্রে স্বাক্ষরের জন্য টাকা নেওয়ার বিধান নেই। কিন্তু বোর্ড সভা ও অর্থ কমিটিতে নিজেরাই এসব ভাতা ও স্বাক্ষরের জন্য টাকার অঙ্ক নির্ধারণ করে নিয়েছেন। পরে তা মন্ত্রণালয় থেকেও অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বোর্ডগুলোর ফান্ডে শত শত কোটি টাকা রয়েছে। এই টাকার সঠিক ব্যবহার হলে পরীক্ষার ফি অনেক কমানো যায়। শুধু শিক্ষা বোর্ড নয়, আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের আছে কোটি কোটি টাকা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে শত শত কোটি টাকা রয়েছে। এর পরও তারা পরীক্ষার ফি বাড়িয়ে যাচ্ছে। এনটিআরসিএর ফান্ডেও বড় অঙ্কের টাকা জমা হয়েছে। তাদেরও পরীক্ষার ফি কমানোর কোনো উদ্যোগ নেই।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষা খাতের সব প্রতিষ্ঠান নিয়ম-নীতি মেনে চলবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>