<p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অটিস্টিক এক ধরনের মানসিক বিকাশজনিত সমস্যা। অটিজমে আক্রান্তদের অটিস্টিক বলা হয়। সাধারণত জন্মের প্রথম তিন বছরের মধ্যে শিশুদের এ সমস্যার আশঙ্কা থাকে। এ সমস্যার কারণে শিশুদের ইন্দ্রিয়গুলোর গঠনমূলক গুণ অক্ষুণ্ন থাকে ঠিকই, কিন্তু কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। একে বাংলায় বলে আত্মসংবৃতি বা আত্মলীনতা। ইংরেজিতে একে বলে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিস-অর্ডার। অটিস্টিক<span style="letter-spacing:.1pt"> শিশুরা শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে। চিকিৎসকদের মতে, অটিজম মূলত শিশুর মনোবিকাশগত জটিলতা বা সমস্যা, তবে মানসিক রোগ নয়। বিভিন্ন কারণে অটিজম হতে পারে। পরিবেশগত ও বংশগত কারণে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিভিন্ন দেশে অটিজম আক্রান্ত (অটিস্টিক) শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণাও বেড়েছে। শিশু অটিজমে আক্রান্ত কি না তা কিছু লক্ষণ দেখে আঁচ করা যায়। যেমন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:.1pt">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:.1pt">সাধারণত ১৮ মাস থেকে দুই বছর বয়সেও কথা বলতে সমস্যা হওয়া, তাদের মনোযোগ ও কাজের সক্ষমতা বা আগ্রহ কমে যাওয়া, শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি অস্বাভাবিক হওয়া প্রভৃতি। পাশাপাশি তারা দেখা, শোনা, গন্ধ, স্বাদ অথবা স্পর্শের প্রতি অতি সংবেদনশীল অথবা প্রতিক্রিয়াহীন হয়। বিষণ্নতা, উদ্বিগ্নতা, মনোযোগে ঘাটতিসহ তাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left; text-indent:.2in"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:.1pt">অটিস্টিক ছেলের সংখ্যা মেয়ের চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি হয়ে থাকে। তাদের কথা শিখতে দেরি হয় এবং আদর-যত্নের প্রতি তারা আগ্রহ না দেখিয়ে উদাসীন হয়। তবে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু ধীরে ধীরে তাদের মাতাপিতা বা বিশেষ কোনো ব্যক্তির প্রতি আকর্ষণ দেখায়। অনেকে কোনো অর্থহীন বা অন্যের উচ্চারিত কোনো শব্দ বারংবার উচ্চারণ করে। কেউ কেউ কোনো বিশেষ শব্দের প্রতি ভীত হয়। ব্যথায় ও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে এদের মধ্যে স্বাভাবিক সাড়ার অনুপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়, যদিও তাদের মধ্যে ভাবাবেগের কোনো অভাব দেখা যায় না। অনেককে ছন্দোময় শরীর বা শরীরের কোনো অংশ দোলাতে বা হাততালি দিতে বিভোর দেখা যায়। যদিও অটিজমের সঠিক কারণ জানা নেই, মাতৃগর্ভে মস্তিষ্কের পরিপূর্ণ বিকাশের অসম্পূর্ণতাই এর কারণ বলে ধারণা করা হয়। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left; text-indent:.2in"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:.1pt">উন্নত দেশে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা প্রতি ১০ হাজার জনে ১০ থেকে ২০ জন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে অটিস্টিক বা অটিজম শব্দটি এখনো তেমন পরিচিতি লাভ করেনি। অটিস্টিক শিশুদের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণে বাংলাদেশে এরই মধ্যে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু এবং সমিতি গঠিত হয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></p>