<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গাজীপুর মহানগরের জরুন এলাকায় অবস্থিত কেয়া গ্রুপের চারটি কারখানা আগামী ৫ মে থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গত বুধবার রাতে কেয়া গ্রুপের পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান (নিট কম্পোজিট ডিভিশন) স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকে নোটিশটি টানিয়ে দেওয়া হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নোটিশে বলা হয়েছে, বাজারের অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের হিসাবের অমিল, কাঁচামালের অপর্যাপ্ততা ও উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে কারখানাগুলো বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। কারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার মাধ্যমে বেকার হবেন প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কারখানা চারটি হলো</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কেয়া নিট কম্পোজিট, কেয়া নিটিং, কেয়া স্পিনিং ডিভিশন ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নোটিশে বলা হয়েছে, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ফ্যাক্টরিতে কর্মরত সব শ্রমিক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা (২৬) শ্রম ২০১৫, ২০১৮ এবং ২০২২-এর বিধি অনুযায়ী সব পাওনা কারখানা বন্ধের পরবর্তী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে দেওয়া হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসের বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে কেয়ার শ্রমিকরা গত ৬ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। অব্যাহত আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ দেয়। পরে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় আলোচনার মাধ্যমে দাবিগুলো মেনে নেয় মালিকপক্ষ। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িক বন্ধ থাকা কারখানা ১ জানুয়ারি খুলে দিয়ে ওই দিন রাতেই নতুন করে স্থায়ীভাবে বন্ধের নোটিশ দেওয়া হলো। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জানা গেছে, একসময়ের রপ্তানিমুখী কেয়া গ্রুপ বর্তমানে রুগ্ণ ও খেলাপি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। কয়েক মাস ধরে অর্থ সংকটে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সমস্যা হচ্ছিল। শ্রমিকরা শ্রম আদালতে গিয়ে বেতন আদায়ের লড়াইয়ে নামেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কারখানার এইচআর ম্যানেজার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামালের অপর্যাপ্ততা এবং কারখানার উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে আগামী ১ মে থেকে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক ধাপে শ্রমিকদের সব পাওনা শ্রম আইন অনুযায়ী পরিশোধ করা হবে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>