<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুলিশ সংস্কার কমিশন তিন মাস কাজ করে তাদের প্রতিবেদন (রিপোর্ট) চূড়ান্ত করেছে। আগামীকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হবে। ৫০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে থাকছে বেশ কিছু সুপারিশ ও মন্তব্য। সুপারিশে মানবিক পুলিশ গঠনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সুপারিশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা, পুলিশ, সাধারণ মানুষের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যরা দেশ-বিদেশের আইন ঘেঁটে ভালো দিকগুলো নিয়ে প্রস্তাব তৈরি করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কমিশনের এক সদস্য গতকাল সোমবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুলিশ কর্মকর্তারা পুলিশ কমিশনের পক্ষে। তবে আমরা বলছি, পুলিশ কমিশন কখনো পুলিশ সদর দপ্তরের বিকল্প হতে পারে না। পুলিশ কমিশন করা হলে পুলিশ সদর দপ্তর বাতিল হয়ে যাবে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা দুটিই রাখতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একই ধরনের কাজ করার জন্য দুটি প্রতিষ্ঠান রাখা যাবে না বলে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলো থাকছে প্রতিবেদনে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি জানান, প্রতিবেদনে বর্তমান পুলিশ আইনের সীমাবদ্ধতা ও ভালো দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশকে দেখে মানুষ যেন অনিরাপদ না ভাবে, ভয় না পেয়ে বন্ধু ভাবে এবং পুলিশ যাতে জনগণকে শ্রদ্ধা করে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এসব বিষয় থাকছে প্রতিবেদনে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুলিশ সংস্কার কমিশনের আরেক সদস্য কালের কণ্ঠকে জানান, ৫৪ ধারা এবং ১৬৭ ধারায় রিমান্ডের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় রয়েছে। ১০ বছর আগে এই রায় হলেও সেটি কার্যকর হয়নি। পুলিশ সংস্কার কমিশনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিবেদনে এ বিষয়ও থাকছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সূত্র জানায়, কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের মধ্যে থাকছে ফৌজদারি মামলার তদন্ত থানা পুলিশকে দিয়ে না করিয়ে একটি আলাদা সংস্থা দিয়ে করানোর ব্যবস্থার বিষয়। থানা-পুলিশ শুধুই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে। আর তদন্তের জন্য গঠিত সংস্থার কাজ হবে শুধুই তদন্ত। এতে তদন্ত কর্মকর্তাকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে হবে না। ফলে তদন্তের গুণগত মান বাড়বে। পর্যাপ্ত সময় নিয়ে তদন্ত করায় বিচারপ্রার্থী পাবেন সুবিচার।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত ৩ অক্টোবর </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুলিশ সংস্কার কমিশন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> গঠন করে সরকার। কমিশনের প্রধান করা হয় সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনকে। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ সাজ্জাদ আলী, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ মো. গোলাম রসুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, মানবাধিকারকর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান ও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কমিটি গঠনের পরই সদস্যরা কাজে নেমে যান। একের পর এক বৈঠক করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে। এর মধ্যে ইউএনডিপির প্রতিনিধি, পুুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে মতবিনিময়সভা, কার্টার সেন্টার বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক, মার্কিন দূতাবাস ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট গ্লোবাল ক্রিমিনাল জাস্টিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা, সিআইডির সঙ্গে সভা করে তাদের মতামত নেন। এ ছাড়া ৩১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং ওই কমিশনের সদস্যসচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কেমন পুলিশ চাই</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> শিরোনামে জনমত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১৫ নভেম্বরের মধ্যে ২৪ হাজার ৪৪২ জন মতামত দেন। এতে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯.৫ শতাংশ উত্তরদাতা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চান ৭৭.৯ শতাংশ উত্তরদাতা। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে চরম মানবিকতার লঙ্ঘন বিবেচনায় অপরাধী পুলিশকে জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আনার পক্ষে মত দেন ৭৪.৯ শতাংশ উত্তরদাতা। ভুয়া বা গায়েবি মামলার অপসংস্কৃতির সংস্কার চান ৯৫ শতাংশ উত্তরদাতা। ভুয়া বা গায়েবি মামলার ভয়ভীতির মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা চান ৮১.৯ শতাংশ উত্তরদাতা। আর মৃত ব্যক্তি, অনিবাসী বা নিরপরাধ ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়েরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চান ৭৪.৫ শতাংশ।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>