<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আসগর জামানের বাড়ি নাটোর শহরে। তাদের শহরে এক ব্যক্তি মাদরাসা প্রতিষ্ঠার জন্য এক খণ্ড জমি ওয়াফক করেছেন। এখন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা চাচ্ছেন সেখানে প্রথমে একটি মসজিদ করতে। এরপর তাঁরা প্রথমে বালক মাদরাসা এবং সবশেষে বালিকা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করবেন। আসগর জামানের প্রশ্ন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মাদরাসার জন্য ওয়াকফকৃত জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করা যাবে?</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, ওয়াকফকৃত সম্পদ ওয়াকফকারীর নিয়ত অনুসারে ব্যবহার করা আবশ্যক। যেহেতু ভূমিটি মাদরাসার নিয়তে ওয়াকফ করা হয়েছে, তাই সেটা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা বৈধ হবে না। এমনকি মসজিদও নির্মাণ করা যাবে না। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যদি মনে করেন তাঁরা এখানে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমে একটি মুসল্লা বা নামাজের স্থান প্রস্তুত করবেন, তা জায়েজ আছে। তবে তা শরিয়ত অনুমোদিত স্বাভাবিক মসজিদের সমমর্যাদাসম্পন্ন হবে না। এই মুসল্লায় ইতিকাফ করা শুদ্ধ হবে না। সেখানে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করলে জামাতের সওয়াব পাওয়া গেলেও শরয়ি মসজিদে নামাজ আদায়ের সওয়াব পাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে কাছাকাছি যদি কোনো মসজিদ থাকে, তবে মুসল্লা নির্মাণ না করাই উত্তম হবে। সেই মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করবে। আর মসজিদের বেশি প্রয়োজন হলে ব্যক্তিগত বা সামগ্রিক উদ্যোগে মসজিদের জন্য পৃথক জমি ওয়াকফ করবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইমাম শামি (রহ.) বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কোনো ব্যক্তি যদি তার সুস্থতার সময় দরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য এক খণ্ড ভূমি ওয়াকফ করে এবং তা মুতাওয়াল্লির হাতে হস্তান্তর করে, অতঃপর মৃত্যুর সময় তার অসিকে (যার কাছে অসিয়ত করে যায়) বলে, উক্ত ভূমির ফসল থেকে অমুক অমুক ব্যক্তিকে দাও, তবে তার এই দেওয়াটা বাতিল বলে গণ্য হবে। কেননা এই ভূমি দরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত হয়ে গেছে। সুতরাং সে তাদের অধিকার বাতিল করার অধিকার রাখে না। ব্যতিক্রম হলো, সে যদি ওয়াকফ করার সময় এটা বলে যে এই জমির ফসল যেকোনো ব্যক্তির জন্য ব্যয় করা যাবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(ফাতাওয়ায়ে শামি : ৪/৩৬০)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইমাম শামি (রহ.) আরো বলেছেন, ওয়াকফকারীর শর্ত শরিয়ত প্রণেতার সুস্পষ্ট বক্তব্যের মতো অপরিহার্য। সুতরাং ফকিহরা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে ওয়াকফকারীদের উদ্দেশ্যের অনুসরণ করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৪/৩৬৬)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আল্লাহ সব বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন। </span></span></span></span></span></p> <p> </p>