(আয়াত : ৫৭-৫৮)
৯. শারীরিক সুস্থতা আল্লাহর ইচ্ছাধীন। (আয়াত : ৬৬)
১০. কোরআন কোনো কাব্য নয় এবং আলেমদের জন্য কাব্যচর্চা শোভনীয় নয়। (আয়াত : ৬৯)
১১. পাপীদের কথায় ব্যথিত হয়ো না। (আয়াত : ৭৬)
১২. নিজের অস্তিত্বের কথা ভুলে যেয়ো না। (আয়াত : ৭৭)
১৩. আল্লাহর উপমা সৃষ্টি কোরো না। (আয়াত : ৭৮)
১৪. সর্বময় ক্ষমতা আল্লাহর জন্য।
(আয়াত : ৮৩)
সুরা সাফফাত
সুরা সাফফাতের মধ্যে প্রধানত তিনটি গায়েবি বিষয় যথা—ফেরেশতা, জিন ও পরকাল সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। শুরুতেই ফেরেশতাদের শক্তিমত্তা এবং আল্লাহর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। এরপর জিনদের বিষয় আনা হয়েছে। জিনদের একটি দল ফেরেশতাদের পারস্পরিক কথাবার্তা জানার জন্য আকাশে ওঠার চেষ্টা করে। আর তখনই জ্বলন্ত উল্কা তাদের ধাওয়া করে। এই সুরায় কাফিরদের কিয়ামতের দিনের করুণ পরিণতির কথা বর্ণনা করা হয়েছে। উপদেশের জন্য নুহ, ইবরাহিম, ইসমাঈল, হারুন, ইলিয়াস, লুত ও ইউনুস (আ.)-এর ঘটনার কিছু অংশ আনা হয়েছে। ফেরেশতাদের প্রশংসা করে সুরাটি শেষ করা হয়েছে।
আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত
১. মন্দ লোকেরাই উপদেশ গ্রহণ করে না। (আয়াত : ১৩)
২. আল্লাহর নিদর্শন নিয়ে উপহাস কোরো না। (আয়াত : ১৪-১৫)
৩. আল্লাহ একনিষ্ঠ বান্দাদের সম্মানিত করবেন। (আয়াত : ৪০-৪১)
৪. পূর্বসূরিদের ভ্রান্তপথ পরিহার করো। (আয়াত : ৬৯-৭০)
৫. আল্লাহর কাছে বিশুদ্ধ মনে উপস্থিত হও। (আয়াত : ৮৪)
৬. সুসন্তান লাভের জন্য প্রার্থনা করো। (আয়াত : ১০০)
৭. আল্লাহর সাহায্যেই মানুষ বিজয়ী হয়। (আয়াত : ১১৬)
সুরা সাদ
এই সুরায় দাউদ, সুলায়মান, আইয়ুব ও আদম (আ.)-এর ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যান্য মাক্কি সুরার মতো এই সুরায়ও তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। মুশরিকদের ভ্রান্ত আকিদা খণ্ডন করা হয়েছে। জান্নাতের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও জাহান্নামের আজাবের ভয়াবহতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। নুহ (আ.)-এর জাতি, ফেরাউনের জাতি, আদ জাতি, সামুদ জাতি, লুত (আ.)-এর জাতি ও মাদিয়ানবাসীদের ধ্বংসের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আনা হয়েছে ইয়াকুব, ইসমাঈল, ইয়াসআ ও জুলকিফল (আ.)-এর ঘটনা। একেবারে শেষের দিকে আদম (আ.)-এর ঘটনা আনা হয়েছে।
আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত
১. কোরআন উপদেশপূর্ণ কিতাব।
(আয়াত : ১)
২. কোরআন অবিশ্বাসকারীদের জন্য রয়েছে শাস্তি। (আয়াত : ৮)
৩. সৃষ্টিজগৎ আপন কাজের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করে। (আয়াত : ১৮)
৪. ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক জ্ঞানী ও বাগ্মী হবে। (আয়াত : ২০)
৫. শরিকদের প্রতি অবিচার কোরো না। (আয়াত : ২৪)
৬. মুমিন ভুল স্বীকার করে অনুতপ্ত হয়। (আয়াত : ২৪)
৭. খেয়ালখুশির অনুসরণ মানুষকে সত্যচ্যুত করে। (আয়াত : ২৬)
৮. আল্লাহর কোনো সৃষ্টিই অনর্থক নয়। (আয়াত : ২৭)
৯. কোরআন নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করো এবং অনুধাবনের চেষ্টা করো।
(আয়াত : ২৯)
১০. আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে দান করো। (আয়াত : ৩৯)
১১. বিপদে আল্লাহকে স্মরণ করো।
(আয়াত : ৪১)
১২. পাপের উপলক্ষ হইয়ো না।
(আয়াত : ৬১)
১৩. নিষ্ঠাবানরাই শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচতে পারে।
(আয়াত : ৮২-৮৩)
গ্রন্থনা : মুফতি আতাউর রহমান