<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (সিইপিজেড) জেএমএস গার্মেন্টস ও মেরিমকো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৫০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, বেপজাসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার জেরে কারখানা দুটি আগামী তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে সিইপিজেড এলাকায় সংঘর্ষের এই ঘটনা শুরু হয়ে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। পরে সিইপিজেড এলাকায় পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হলে দুপুর দেড়টার দিকে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কারখানা দুটি সিইপিজেডের ৬ নম্বর সেক্টরে। এর মধ্যে জেএমএসে শ্রমিকসংখ্যা চার হাজার আর মেরিমকোতে পাঁচ হাজার। দুটিই তৈরি পোশাক কারখানা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একজন প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক আলী আহমেদ জানান, কয়েক দিন ধরে জেএমএসের শ্রমিকরা বার্ষিক বেতন-ভাতা ৯ শতাংশ বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। জেএমএস দুই দিন বন্ধ থাকার পর বিষয়টির সুরাহা হয়। গতকাল ফের কারখানাটি চালু হলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। অন্যদিকে গতকাল সকালে মেরিমকোর শ্রমিকরা দাবি আদায়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় ঢিল ছুড়ে তাঁরা একই স্থানে পাশাপাশি থাকা জেএমএস কারখানার কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে ফেলেন। তখন দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা গেছে। অনেকের মাথায় হেলমেটও ছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরেকজন শ্রমিক আবুল হোসেন জানান, সকালে জেএমএস কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এলে কারখানা দুটির প্রবেশপথ একটি হওয়ায় মেরিমকোর শ্রমিকরা দাবি আদায়ে পথটি বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে দুই কারখানার শ্রমিকদের হাতাহাতি হয়। পরে সেটা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আহত কয়েকজনকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের একজন মেরিমকোর ফিনিশিং ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা আলী আকরাম হোসেন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৯ শতাংশ বেতন বাড়ানোসহ আট দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন করছিলাম। আমাদের দাবি মেনেও নেয় কম্পানি। দুপুর ১টার মধ্যে কর্তৃপক্ষ কারখানা ছুটি দিয়ে দেয়। কারখানা থেকে বের হওয়ার সময় মাথায় হেলমেট পরা কয়েকজন আমাদের ওপর হামলা করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আহত আরেক শ্রমিক বেলাল উদ্দিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যারা হামলা করেছে, তাদের আমরা কখনো দেখিনি। বাইরে থেকে এসে হামলা করেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কারখানার মূল গেট খোলা নিয়ে এক কারখানার শ্রমিকের সঙ্গে আরেক কারখানার শ্রমিকদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর পরই তাদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঢিল ছুড়তে থাকে। এতে অনেকে আহত হয়েছে। আমরা অনেককে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতাল ও বেপজা হাসপাতালে পাঠিয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেএমএস ও মেরিমকো কারখানা দুটি সিইপিজেডের একই সেক্টরে। মূলত শ্রমিকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। দুই পক্ষের মালিক কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বুঝিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কারখানা দুটি আগামী তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p> </p>