<p>৩০ আগস্ট শুধু থানায় হামলা নয়, পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতির পরে বরিশালে কিশোর গ্যাং আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। কয়েকটি এলাকায় আবার রাজনৈতিক ব্যানারে এসব কিশোর গ্যাং সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করছে, যাদের অনেককেই আওয়ামী লীগ সরকারের ছাত্র ও যুব সংগঠনের বিভিন্ন মিছিল ও সমাবেশে দেখা যেত। এসব কিশোর গ্যাং এরই মধ্যে শহরের আশপাশের কেবল টিভি ব্যবসার দখল নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কিশোর গ্যাং মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।</p> <p>সরকারের পালাবদলের পরে নগরীর অনেক এলাকার ফুটপাতের দোকানে তারা চাঁদাবাজির খাতা খুলেছে। নবগ্রাম রোড-চৌমুহনীর লেকের পারের পথখাবারের দোকানগুলোতে তারা বিনা পয়সায় খাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।</p> <p>জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, ত্রিশ গোডাউন, বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক), জিলা স্কুল এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া ভাটিখানা, দপ্তরখানা, কাঠপট্টি, কাউনিয়া, পলাশপুর, কেডিসি, বিএম স্কুল, কলেজ রোড, কাশীপুর, নথুল্লাবাদ, রূপাতলী, আমতলার মোড়, বাংলাবাজারে একাধিক কিশোর গ্যাং রয়েছে বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নিশ্চিত করেছে।</p> <p>আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী এই গ্রুপগুলো হলো গরিয়াড়পারের রিফাদ-রিয়াদ গ্রুপ, চৌমাথার সাগর-শাহরুখ গ্রুপ, নিউ সার্কুলার রোডের জিহাদ গ্রুপ, বাংলাবাজারের মুন্না-সামির গ্রুপ, কালুশাহ সড়কের হিরা গ্রুপ, বটতলা এলাকার স্টারলিং গ্রুপ, পলিটেকনিক রোডের শাওন রাব্বি-নাঈম গ্রুপ, ওকডিসির এনা-ওলু বাহিনী, চাঁদমারীর আল আমিন গ্রুপ। এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ থাকলেও তা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কোনো কাজে আসছে না। সরকার পতনের পর তাদের নেতৃত্বেও পরিবর্তন আসছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।</p> <p>নারী নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে এসব ছেলে আরো বেপরোয় হয়ে উঠছে। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে এদের নিয়ন্ত্রণ করা না হলে শুধু মামলা দিয়ে এদের সংশোধন করা সম্ভব নয়।</p> <p>সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম বলেন, দেশে এখন একটি ট্রানজিশনাল পিরিয়ড চলছে। তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। এই আর্থ-সামাজিক অবস্থায় কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়, তবে এর পেছনে নেপথ্য শক্তি থাকে। তারা এদের ব্যবহার করে।</p> <p> </p> <p> </p>