<p>পাকিস্তানি সুফি গায়ক রাহাত ফতেহ আলী খান সংস্কৃতিকে বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসা জাগিয়ে তোলার একটি বৈপ্লবিক উপাদান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।</p> <p>তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত ‘চ্যারিটি কনসার্ট’ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকা সফরে আসেন। ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনারের বাসায় এক সংবর্ধনার ফাঁকে বাসসকে তিনি এক একান্ত সাক্ষাৎকার দেন। ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে দেওয়া এ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দেশের প্রত্যেক মানুষের ভ্রাতৃত্ব ও অন্যের প্রতি ভালোবাসা থাকা উচিত।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কাওয়ালিও শান্তি ও শৃঙ্খলার বার্তা দেয়। বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক।’</p> <p>ফতেহ আলী খান তাঁর বিখ্যাত চাচা নুসরাত ফতেহ আলী খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাওয়ালিসহ সুফি ভক্তিমূলক বিভিন্ন গান বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিচ্ছেন।</p> <p>ফতেহ আলী বলেন, ‘আমরা কোনো যুদ্ধ বা ধ্বংস চাই না...অতীতে যেসব বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর লক্ষ্য ছিল শান্তি প্রতিষ্ঠা।’</p> <p>সুফি গানের এই শিল্পী ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানে এমন একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যে পরিবারের সদস্যরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আধ্যাত্মিক গানের মাধ্যমে, বিশেষত কাওয়ালির মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার আবেগ-অনুভূতি ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে নিজেদের নিবেদিত করে আসছে এবং এর জন্য এ পরিবার ‘কাওয়াল পরিবার’ উপাধি অর্জন করে।</p> <p>তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, আমি আহতদের দ্রুত সুস্থতা এবং আল্লাহর দরবারে নিহতদের পরিবারকে এই ক্ষতি সহ্য করার মতো শক্তি কামনা করছি।’</p> <p>ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী হারমোনিয়ামে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছেন। গজল ও শাস্ত্রীয় গানের জন্যও আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন এবং উর্দু ও হিন্দি চলচ্চিত্রের সংগীতেও কণ্ঠ দিয়েছেন।</p> <p>অভিনেতা শবনম, নাদিম বেগ, রবিন ঘোষ এবং পরে সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার মতো সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি তারকাকে স্মরণ করে রাহাত ফতেহ আলী খান তাঁর দেশ ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধনের উপাদান হয়ে উঠবে বলে আশা করেন।</p> <p>তিনি বলেন, ‘এটি সাংস্কৃতিক ঐক্য, একটি বিপ্লবও...এটি সাংস্কৃতিক শিল্পের জন্যও কল্যাণময়।’</p> <p> </p>