শরীয়তপুরে বিনামূল্যে চক্ষুরোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও লংকা বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড। ডামুড্যা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বুড়িরহাট মুন্সিবাড়ীতে সালেহা মমতাজ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই চিকিৎসাশিবির অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দিনব্যাপী এই চিকিৎসাসেবা চলে।
জানা গেছে, সালেহা মমতাজ ফাউন্ডেশন ও বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও লংকা বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের সার্বিক সহযোগিতায় সালেহা মমতাজ ফাউন্ডেশনের বুড়িরহাটে মুন্সিবাড়ী অফিসকক্ষে শরীয়তপুরের রুদ্রকর, ভেদরগঞ্জের ছয়গাঁও এবং ডামুড্যা উপজেলার তিন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার এক হাজার মানুষ এই চিকিৎসাসেবা নেয়।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ক্যাম্প অর্গানাইজার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মোহাম্মদ আবু তোয়াবের তত্ত্বাবধানে ডা. কাজী আদনান, ডা. নুসরাত লুবনাসহ আটজনের একটি দল চিকিৎসাসেবা দেয়। চিকিৎসা নিতে আসা ওমর আলী, সালমা বেগম ও নসিমনচালক হাছেন খান বলেন, ‘আমরা মাইকে খবর হুনছি যে, বসুন্ধরা আলারা ও সালেহা ফাউন্ডেশন আলারা মিল্লা টাহা ছাড়া চোখের চিকিৎসাসেবা দিব। এর লাইগা আইছি। আইয়া দেখি ডাক্তার, ওষুধপত্র, মেশিন বেক কিছুই অনেক ভালো। অহন চশমা দিছে, ওষুধপত্র দিছে। আবার অপারেশন লাগলে কইছে, ঢাকায় নিয়া ফ্রি চিকিৎসা দিব। আল্লায় বসুন্ধরা আলাগো ভালো করুক। সারা বছর যেন তারা আমাগো মতো অসহায়দের পাশে দাঁড়ায়।’
বসুন্ধরা আই হসপিটালের ক্যাম্প অর্গানাইজার মো. আবু তোয়াব বলেন, ‘ব্যাপক সাড়া পড়েছে প্রত্যন্ত এই এলাকায়। বসুন্ধরা আই হসপিটাল শুরু থেকেই এই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও আমরা দিয়ে যাব।’
বসুন্ধরা আই হসপিটালের কনসালট্যান্ট ডা. নুসরাত লুবনা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে চোখ পরীক্ষা করে চশমা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে যাদের চোখে ছানি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা রয়েছে, তাদের বিনামূল্যে অপারেশনের জন্য ঢাকার বসুন্ধরা আই হসপিটালে নেওয়া হবে।
এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পেয়ে এই জনপদের মানুষ খুবই আনন্দিত।’
সালেহা মমতাজ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহিবুর রহমান বলেন, ‘বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট লংকা বাংলা সালেহা মমতাজ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের যৌথ সার্বিক সহযোগিতায় নিজ এলাকায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার আয়োজন করতে পেরে আমি আনন্দিত। অসংখ্য রোগী আসছে চিকিৎসা নিতে। বসুন্ধরা গ্রুপের হাসপাতালের চিকিৎসকরা খুবই যত্ন নিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। রোগীরাও খুশি। আমরা চেষ্টা করব, ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজন করতে।’