রাজধানীতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে বৃষ্টি ঝরেছে। একই সঙ্গে বয়ে গেছে ঝোড়ো বাতাস। তবে কিছুক্ষণ পরেই থেমে যায় বৃষ্টি ও বাতাস।
গতকাল রাত পৌনে ৮টার দিকে শান্তিনগর, মালিবাগ, কাকরাইল, পল্টন, পান্থপথ, শুক্রাবাদসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হালকা বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া সন্ধ্যার দিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলেও বৃষ্টি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র। খুলনার কয়রা ও পাইকগাছাতেও বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বেশ কিছু স্থানে গতকাল বৃষ্টি ঝরেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি ঝরার সঙ্গে সঙ্গে বইতে পারে বাতাস।
তা আবার কিছুক্ষণের মধ্যে গায়েবও হয়ে যেতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশের তাপমাত্রায় সামগ্রিকভাবে তেমন কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা গতকাল মঙ্গলবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বছরের এই সময়টায় স্থানীয়ভাবে মেঘ তৈরি হয়ে যেকোনো অঞ্চলেই কিছু সময়ের জন্য হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা বাতাসও থাকতে পারে।
অনেক অঞ্চলে দেখা যাবে বৃষ্টি না হলেও বাতাস বয়ে যাবে।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ বুধবার কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরদিন শুক্রবার বৃষ্টিপাতের বিস্তৃতি কিছুটা বাড়তে পারে, ছড়াতে পারে আট বিভাগেই।
এদিন দেশের সব বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আগামী কিছুদিন শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর ডিমলায়, ১১ ডিগ্রি। ঢাকায় এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২১.৩ ডিগ্রি। অন্যদিকে গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে, ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।