ঢাকা, বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬
রাজশাহীর সিল্কপাড়া এবার জমেনি

সিলেটে ফুটপাতে জমজমাট ঈদ বাজার

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
সিলেটে ফুটপাতে জমজমাট ঈদ বাজার

সিলেটে সাধারণত মধ্য রমজান থেকে ফুটপাতে ঈদের বাজার জমে ওঠে। তবে এবার কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ২০ রমজানে এসে ঈদ বাজারে হাওয়া লেগেছে। এখন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের আনাগোনা চলছে।

যদিও বিক্রি গত বছরের তুলনায় কম। সিলেট নগরের চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকার ফুট ওভারব্রিজের পাশের ফুটপাতে বাচ্চাদের পোশাকের একটি দোকানে ছোট্ট তিন মেয়েকে নিয়ে এসেছেন কাদের মিয়া। পেশায় রিকশাচালক কাদের বলেন, মেয়েরা রমজানের শুরু থেকেই ঈদের কাপড় কেনার বায়না ধরেছে।

আজ নিয়ে আসলাম।

সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার ঠিক বিপরীতে ফুটপাতের একটি দোকানে জিন্স প্যান্ট দেখছিলেন হোসেন আকবর নামের এক ক্রেতা। একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করেন তিনি। আকবর বলেন, এবার ঈদে ছুটি পেয়েছি।

বাড়িতে যাব। তাই এক ফাঁকে ঈদের বাজার সেরে নিচ্ছি। নিজের জন্য এবং ছোট ভাইয়ের জন্য প্যান্ট কিনতে এসেছি। তবে তাঁর অভিযোগ, ফুটপাতেও এখন ৫০০ টাকার নিচে প্যান্ট কেনা যাচ্ছে না।

সিলেটের ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব বয়সীর পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।

ছেলের জিন্স, গেবাডিনের প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, জুতা, বাচ্চাদের জামা-জুতা পাওয়া যাচ্ছে। তবে সিলেটের ফুটপাতগুলোতে নারীদের জুতার দোকান পাওয়া গেলেও পোশাকের দোকান তেমন একটা চোখে পড়েনি।

ফুটপাতে হাঁটতে হাঁটতে থেকে থেকেই কানে আসে হকারদের ডাক—‘এক শ, এক শ, এক শ, দেইখ্যা লন-দেড় শ, বাইচ্ছা লন- দেড় শসহ সুরে সুরে নানা ডাক। ফুটপাতের কাপড় বিক্রেতা জসিম উদ্দীন বলেন, বিভিন্ন মার্কেটের তুলনায় ফুটপাতে ক্রেতাদের বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে। ক্রেতারা খুব বেশি দামাদামি করলেও বেচাকেনা বেশ ভালোই হচ্ছে।

নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার বিপরীতের ফুটপাতে কথা হয় মোহাম্মদ আকাশ নামের এক বিক্রেতার সঙ্গে। তাঁর দোকানে নানা ডিজাইনের টি-শার্ট বিক্রি হয় বেশি। তিনি বলেন, গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবার বিক্রিবাট্টা কম। তবে গত দুই দিন ধরে বিক্রি বাড়ছে। যদিও ক্রেতারা রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ভিড় করেন।

রাজশাহীর সিল্কপাড়া এবার জমেনি : বিভিন্ন উৎসবের আগে রাজশাহীর সিল্কপাড়া জমজমাট থাকে ক্রেতাদের পদচারণে। বিশেষ করে দুই ঈদ ঘিরে সরগরম থাকে আরো বেশি। আশপাশের জেলাসহ সারা দেশের ক্রেতাদের চাহিদা থাকে রাজশাহী সিল্কের তৈরি বাহারি পোশাকের। তবে এবার ঈদুল ফিতর ঘিরে তেমন জমেনি রাজশাহীর সিল্কপাড়া।

সাধারণত উৎসব ঘিরে সিল্কের পোশাকের চাহিদা বেশি থাকে। ক্রেতাদের চাহিদা ও পছন্দের দিকে খেয়াল রেখে প্রস্তুত করা হয় সিল্কের নজরকাড়া বাহারি পোশাক। শাড়ি, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি, কটি, হিজাবসহ নানা ধরনের পোশাকে যুক্ত করা হয় নতুন নতুন ডিজাইন। এবার ঈদ সামনে রেখেও ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল সিল্কের শোরুমগুলোর। প্রতিবছর ঈদের আগে এই সময় যেখানে ক্রেতার ভিড়ে পা রাখার জায়গা হয় না, সেখানে এবার অনেকটাই ফাঁকা শোরুমগুলো।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনেই (বিসিক) মূলত সিল্কের সবচেয়ে বেশি শোরুম অবস্থিত। বিক্রয়কেন্দ্রের সঙ্গে পোশাক উৎপাদনের কারখানা। কোনো কোনো শোরুমের সঙ্গে রয়েছে সিল্কের সুতা উৎপাদনের মূল উপাদান তুঁতবাগান ও পোলু পোকার চাষপ্রক্রিয়া। একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকে পরিধানের উপযোগী করে কাপড় প্রস্তুত করা হয়ে থাকে এই বিসিক থেকেই। পোশাক ক্রয় করতে আসা ব্যক্তিরা ঘুরে দেখেন সেসব উৎপাদন কর্মযজ্ঞ।

সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, শোরুমগুলোতে অলস সময় কাটছে বেশির ভাগ কর্মীর। পরিপাটী করে সাজানো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক শোরুমগুলো সেজেছে সিল্ক ও অন্যান্য ব্র্যান্ডের বাহারি পোশাকে। থরে থরে সাজানো নানা রং আর বাহারি ডিজাইনে প্রস্তুত করা পোশাক। তরিকুল ইসলাম এসেছেন নগরীর দড়িখড়বোনা থেকে। তিনি জানান, অনেক বছর তিনি এখান থেকে পোশাক নিজের ও পরিবারের জন্য কেনেন। এখানকার পোশাকের ডিজাইন ও মান ভালো, তাই সব উৎসবেই কিনে থাকেন।

রাজশাহী সপুরা সিল্ক মিল লিমিটেডের পরিচালক আশরাফ আলী বলেন, এবার ঈদ কিছুটা এগিয়ে এসে শীত ও গরমের মাঝামাঝি পড়েছে। তাই পোশাক আরামদায়ক করে মসলিন সিল্ক দিয়েই কাপড় তৈরি করেছি।

আমেনা সিল্ক শোরুমের ব্যবস্থাপক শরিফ হোসেন এবারের ঈদে বিক্রি সম্পর্কে বলেন, বিক্রি হচ্ছে, তবে আমরা যা আশা করেছিলাম তার চেয়ে অর্ধেক। এবার আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা কম।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আবহাওয়া পূর্বাভাস

শেয়ার
আবহাওয়া পূর্বাভাস

গতকালের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ : ঢাকা ৩৭.৮ ডিগ্রি সে.। চট্টগ্রাম ৩২.৯ ডিগ্রি সে.। রাজশাহী ৩৮.৪ ডিগ্রি সে.। রংপুর ৩৩.৮ ডিগ্রি সে.।

খুলনা ৩৮.৪ ডিগ্রি সে.। বরিশাল ৩৬.৫ ডিগ্রি সে.। ময়মনসিংহ ৩৫.৬ ডিগ্রি সে.। সিলেট ৩৫.০ ডিগ্রি সে.

গতকালের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন : ঢাকা ২৫.৪ ডিগ্রি সে.।

চট্টগ্রাম ২৫.০ ডিগ্রি সে.। রাজশাহী ১৯.৬ ডিগ্রি সে.। রংপুর ২৪.০ ডিগ্রি সে.। খুলনা ২৫.৫ ডিগ্রি সে.।
বরিশাল ২৫.৪ ডিগ্রি সে.। ময়মনসিংহ ২৩.০ ডিগ্রি সে.। সিলেট ২৪.৮ ডিগ্রি সে.

অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সূত্র : আবহাওয়া অধিদপ্তর

মন্তব্য

চীন সফর শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফেরেন

শেয়ার
চীন সফর শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফেরেন
চীন সফর শেষে গত রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফেরেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তোলা। ছবি : পিআইডি
মন্তব্য

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশির পা বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
শেয়ার
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশির পা বিচ্ছিন্ন

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তে মায়ানমারের ভেতর স্থলমাইন বিস্ফোরণে মোহাম্মদ সালাম (৪২) নামে এক বাংলাদেশির পা বিচ্ছিন্নের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চাকঢালা সীমান্তের ৪৪ নম্বর পিলারের শূন্য লাইনে পণ্য চোরাচালানের সময় ঘটনাটি ঘটে। আহত ব্যক্তি হচ্ছেন চাকঢালা সদর ইউনিয়নের চেরারমাঠ এলাকার মৃত আফজালের ছেলে মোহাম্মদ সালাম (৪২)। স্থানীয় লোকজন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের পণ্য পাচারকাজে জড়িত ছিলেন তিনি।

প্রতিদিনের মতো এদিন দুপুরে বাংলাদেশের চোরাই পণ্য নিয়ে মায়ানমার অভ্যন্তরে যান সালাম। ফেরার পথে চাকঢালা সীমান্তের ৪৪ নম্বর পিলারের শূন্য লাইনে আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায়। সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন।
আহত সালামকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

ড. ইউনূসকে ৫ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই : সারজিস আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ড. ইউনূসকে ৫ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই : সারজিস আলম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন স্টেটসম্যানকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার আজীবন থাকবে। সারজিস আরো বলেন, চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আজ (শনিবার) সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ