<p>শয্যার সংখ্যা ২৩। রোগী আছে ৪৮ জন। কক্ষের ভেতরেই অনেকে মেঝেতে অবস্থান নিয়েছেন। আবার কারো অবস্থান কক্ষের বাইরে। ভেতরে হাঁটাচলা তো দূরের কথা, দম ফেলাও যেন দায়। পর্যাপ্ত আলো-বাতাসেরও যেন অভাব রয়েছে। এই অবস্থা ২৫০ শয্যার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে। স্পর্শকাতর এই ওয়ার্ডটি বেশ অবহেলিত। একজন প্রসূতি ও নবজাতক জন্মের পর সে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকার কথা সেটি সম্ভব হচ্ছে না এখানে।</p> <p>গাইনি বিভাগে দায়িত্বরত সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. শরীফ মাসুমা ইসমত নিজেই এ নিয়ে অস্বস্তির কথা জানালেন। বললেন, ‘একজন নবজাতককে যে পরিবেশ দেওয়ার কথা সেটা আমরা পারছি না। গাইনি ওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও বরাবরই অবহেলিত। আমরা চাই এই ওয়ার্ডের সেবার মান বাড়ানো হোক। যে পরিবেশ আছে, সেটার পরিবর্তন খুবই দরকার। ওয়ার্ডটিতে অনেকটা বদ্ধ পরিবেশ। সোমবার ছিল ৪৬ জন, মঙ্গলবার ৪৮ জন ভর্তি আছে। অথচ এখানে ২৩ জনকে সেবা দেওয়ার শয্যা আছে।’</p> <p>গত মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপের (এসিজি) উদ্যোগে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সহযোগিতায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় শরীফ মাসুমা এ কথাগুলো বলেন। ওই চিকিৎসকের কথার সূত্র ধরে দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে এসবের সত্যতা মেলে।</p> <p>সরেজমিনে দেখা যায়, গাইনি ওয়ার্ডটি হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত। ওয়ার্ডের প্রবেশের মুখেই দুজন প্রসূতি ও তাঁদের স্বজনরা চাটাই বিছিয়ে বসে আছেন। প্রবেশের পর প্রধান দরজার ডানে-বামেও একই অবস্থা দেখা যায়। এমনিতেই প্রসূতি মায়ের সংখ্যা বেশি এর ওপর রোগীদের স্বজনদের কারণে ওয়ার্ডটিতে চলাফেরারও উপায় নেই। একপাশে জানালা বন্ধ থাকায় ঠিকমতো আলো-বাতাসও প্রবেশ করছে না।</p> <p>চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে সভায় জানানো হয়, গাইনি বিভাগটি অন্ত্যত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে প্রসূতি মায়েদের ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়া হয়। প্রয়োজনে গভীর রাতে কিংবা ভোরবেলাও সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। তবে ওয়ার্ডটি ততটা উন্নত নয়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রতন কুমার ঢালী বলেন, ‘আমি যোগদানের পর চেষ্টা করছি মানসম্মত সেবা দেওয়ার।’</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>