<p>বরিশাল জেলা অটোরিকশা, অটোটেম্পো, মিশুক, সিএনজি, মাহিন্দ্রা চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের নামে সড়ক বিভাগের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশের সড়ক বিভাগের জমি দখল করে সংগঠনটির একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে অন্তত ১০টি দোকানঘর তোলা হয়।</p> <p>দখলদারদের নেতৃত্বে রয়েছেন মাহিন্দ্রা শ্রমিক ইউনিয়ন আহ্বায়ক আলী হোসেন। তিনি ও তার স্বজনরা ১০টি দোকানঘর তুলেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে। জানা গেছে, এসব জমি অবৈধ দখলদাররা কথিত মালিক সেজে দখল করেছেন। দখলদারদের মধ্যে রয়েছেন মাহিন্দ্রা শ্রমিক ইউনিয়ন আহ্বায়ক আলী হোসেন, তার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন, বারেক মিয়া, মো. আলম, কালু মিয়া, আলী হোসেনের ভাইয়ের ছেলে শহীদ, ভাগ্নি জেসমিন ও পপি। তারা প্রত্যেকে আলাদাভাবে ঘর তুলেছেন।</p> <p>মাহিন্দ্রা শ্রমিক ইউনিয়ন আহ্বায়ক আলী হোসেন বলেন, ‘শ্রমিক ইউনিয়নের জন্য একটি ঘর তৈরি করতে যাচ্ছিলাম। তখন আমার নিকটাত্মীয়রাও ঘর তুলতে শুরু করে। তিনি বলেন, ওই জমি আমার দাদা আজহার আলীর ছিল। সড়ক ও জনপথ বিভাগ জমি অধিগ্রহণ করে, কিন্তু আমাদের কোনো অর্থ দেয়নি।’</p> <p>সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দখলদারদের মাধ্যমে দখল হয়ে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথের জমি। বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসব অবৈধ দখল বাণিজ্য চললেও এটি দেখভাল করার দায়িত্ব যাদের সেই সড়ক ও জনপথের  কর্তাব্যক্তিরাই নীরব ভূমিকায় রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই এসব দখল বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন দখলদাররা।</p> <p>স্থানীয় লোকজন বলছে, রহমতপুর এলাকায় প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। যে কারণে গত বছর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। এর কয়েক মাসের মাথায় আবারও এসব জমি দখলে নিয়েছেন তারা।</p> <p>এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল-আমিন বলেন, ‘বিষয়টি বরিশাল জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করেছি। তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রশাসন দিলেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’</p> <p> </p>