<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্রহীন স্বৈরাচারী কিংবা কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোথাও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। গণমাধ্যম কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও নির্বিঘ্নভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সেটি না থাকলে ওপরে ওপরে জল ঢেলে কোনো গাছের গোড়ায় কিংবা শিকড়ে পৌঁছানো যাবে না। এগুলো হচ্ছে কতগুলো মৌলিক বিষয়, যা দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের নিরিখে পর্যালোচনা করা যায়। কারণ কোনো সমাজেই শাসক ও শাসিত কিংবা মালিক ও শ্রমিকের স্বার্থ এক হতে পারে না। কোনো কায়েমি স্বার্থের মূলে আঘাত করলে যেমন স্বার্থবাজরা বা শোষকরা এক পর্যায়ে ফণা তোলে, তেমনি আদর্শবিচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসকরাও খড়্গহস্ত হয়ে ওঠে। এখানে বিষয়টি হচ্ছে নিজ নিজ স্বার্থসংক্রান্ত। আন্তরিকভাবে কেউ চায় না তার স্বার্থে কোনো আঘাত লাগুক। এতে অন্যের স্বার্থ কিংবা অধিকার লঙ্ঘিত হলেও কোনো পরোয়া নেই। কিন্তু এ পর্যায়েই আসে গণমাধ্যম কিংবা সংবাদপত্রের কাঙ্ক্ষিতভাবে ভূমিকা পালনের বিষয়টি। জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা কিংবা অপশাসন, শোষণ, লুণ্ঠন ও অনৈতিক বিষয়াদি থেকে তাদের প্রতিরক্ষা দেওয়া।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিতে তাত্ত্বিকরা যাকে বলে শ্রেণিস্বার্থ, পুঁজিবাদী দৃষ্টিতে তা ভিন্ন। তথাকথিত পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক সমাজে সম্পদের সুষম বণ্টনের কোনো তাগিদ নেই। ফলে পুঁজি বা অর্থ-সম্পদের মালিক দিনে দিনে আরো বিত্ত-বৈভবের অধিকারী হয় আর শ্রমজীবী মানুষ দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হতে থাকে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে সত্যিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার তা বরদাশত করার কথা নয়। সে অর্থে প্রকৃত গণমাধ্যম শোষণ, দুর্নীতি, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া অত্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিষয়। কিন্তু বর্তমান আধুনিক করপোরেট ব্যবস্থায় সংবাদপত্র প্রকাশনা এখন আর কোনো ক্ষুদ্র শিল্পের পর্যায়ে নেই। বৃহৎ বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান কিংবা বিশাল বিশাল করপোরেট হাউসের অংশে পরিণত হয়েছে। এবং সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কিংবা করপোরেট হাউস তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থেই ক্ষমতার অধিকারী কিংবা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে নির্বিবাদে হাত মেলায়। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের স্বার্থ এক ও অভিন্ন।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে ব্রতী হোক কালের কণ্ঠ" height="290" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11. january/10-01-2025/0.jpg" style="float:left" width="320" />সার্বিক ব্যবস্থায় কিছু ব্যতিক্রম সর্বত্রই পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। সংবাদপত্র শিল্পও তেমনই একটি ক্ষেত্র, যেখানে অর্থ-বিত্ত উপার্জন ও নীতি-আদর্শগতভাবে ন্যায়-নিষ্ঠা পালনের একটি বিভেদ রেখা রয়েছে। ন্যায়ের প্রশ্নে কিংবা অধিকার আদায় ও রক্ষার প্রশ্নে কোনো আপস হতে পারে না। তাহলে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গণমাধ্যম কিংবা সংবাদপত্র তার অভীষ্ট লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে অনেক দূরে সরে যাবে। এখানেই তাঁবেদারি সাংবাদিকতা এবং জবাবদিহিমূলক, স্বচ্ছ ও প্রতিবাদী সাংবাদিকতার মূল পার্থক্য বিরাজ করে। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে প্রতিবাদী সাংবাদিকতার কোনো বিকল্প নেই। সেটি আছে বলেই শিল্পসমৃদ্ধ এবং পুঁজিবাদী পশ্চিমা বিশ্বে এখনো গণমাধ্যমের একটি বিশ্বাসযোগ্যতা কিংবা গ্রহণযোগ্যতা বলবৎ রয়েছে, যা ক্রমে ক্রমে আমরা হারাতে বসেছি। এর অন্যতম কারণ সচেতনতার অভাব এবং পেশাগত দক্ষতা না থাকা। রাজনৈতিক কিংবা বাণিজ্যিক স্বার্থের কারণে আজকাল অনেকেই পূর্বাপর না ভেবে একটি পত্রিকা প্রকাশ কিংবা টেলিভিশন চ্যানেল খুলে বসেন। সেগুলো উপরোল্লিখিত বিভিন্ন কারণে বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তা ছাড়া সত্যিকার অর্থে কারো স্বার্থও কাঙ্ক্ষিতভাবে অর্জিত হয় না। এতে দুঃখ-দুর্দশা বাড়ে পেশাজীবী সাংবাদিক কিংবা গণমাধ্যমকর্মীদের। আলু, পেঁয়াজের ব্যবসা এবং গণমাধ্যম খোলা কিংবা পত্রপত্রিকা প্রকাশের লক্ষ্য কোনো দিনই এক হতে পারে না। দুটি দুই ভিন্ন জগৎ।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদপত্র প্রকাশনা কিংবা গণমাধ্যমের জগৎ বুদ্ধিবৃত্তিক এবং বিশ্বব্যাপী সংবাদ ও প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদানের দিক থেকে এক সীমাহীন ব্রহ্মাণ্ড। কোনো সীমার বাঁধনে এই জগেক আটকানো সম্ভব নয়। এই জগতে যুগে যুগে কিংবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষণজন্মা কিংবা অত্যন্ত প্রতিভাবান মানুষের আগমন ঘটে। তাঁরা প্রত্যেকেই স্বমহিমায় বিভিন্ন দিকদর্শন নিয়ে আসেন। ব্রিটিশ ভারতে তেমন কয়েকজন মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাঁদের মধ্যে শ্বেতাঙ্গ মানুষ ছাড়া ভারতীয়রাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। পত্রপত্রিকা প্রকাশনার ক্ষেত্রে ভারতে বসবাসকারী ব্রিটিশ আইরিশম্যান জেইম অগাস্টাস হিকির নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৭৮০ সালে কলকাতা থেকে বেঙ্গল গেজেট নামে সর্বপ্রথম একটি সাময়িকী প্রকাশ করেছিলেন। এরপর ১৮১৮ সালে শ্রীরামপুর থেকে প্রকাশিত হয়েছিল উপমহাদেশের প্রথম বাংলা সাপ্তাহিকী সমাচার দর্পণ। হিকি ১৭৮০ সালে কলকাতা থেকে যে সাময়িকী প্রকাশ করেছিলেন, তা পরের বছরই তৎকালীন উপনিবেশবাদী ইংরেজ সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল। এর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল উপনিবেশবাদীদের স্বার্থের সংঘাত। তারা তাদের দখলকৃত উপনিবেশে শাসনগতভাবে কোনো জবাবদিহির সম্মুখীন হতে প্রস্তুত ছিল না। বেঙ্গল গেজেটে হিকি বিভিন্ন সংবাদ বা তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের কিছু সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা ও দাবিদাওয়া নিয়ে যখন কথা বলতে শুরু করেছিলেন, ঠিক তখনই সাময়িকীটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পারস্য লুণ্ঠন ও শোষণকারী ইংরেজরা সে ব্যাপারে তাদের স্বদেশি কাউকেও সহ্য করতে রাজি ছিল না। সে ঘটনার ৩৮ বছর পর অর্থাৎ ১৮১৮ সালে শ্রীরামপুরের খ্রিস্টান মিশনারিদের সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রথম বাংলা নিয়মিত সাপ্তাহিকী সমাচার দর্পণ প্রকাশিত হয়েছিল। তারপর অবশ্য কলকাতা ও ঢাকা থেকে পর্যায়ক্রমে বেশ কিছু সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছিল। সেসব পত্রিকায় কিছু সাধারণ খবরের বাইরে বিনোদনমূলক কিছু লেখা প্রকাশ করা হতো। সেগুলো ছিল সমাজের উচ্চ পর্যায়ের মানুষের চিত্তবিনোদনের লক্ষ্যে প্রকাশিত, তাতে কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কোনো তথ্য বা খবরাখবর প্রকাশিত হতো না। ছাপা হতো না কোনো প্রতিবাদী খবর।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লিখিত অবস্থায় অর্থাৎ সেই সামাজিক পরিস্থিতিতে ১৮৬৩ সালে তৎকালীন পূর্ব বাংলার কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে গ্রাম পর্যায়ের একজন দরিদ্র স্কুল শিক্ষক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার গ্রামবার্তা প্রকাশিকা নামে একটি ভিন্নধর্মী সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন। গ্রামবার্তা প্রকাশিকার উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন ইংরেজ সরকার বা প্রশাসনের কাছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা ও দুঃখ-দারিদ্র্যের কথা তুলে ধরা। তা ছাড়া কাঙাল হরিনাথ মজুমদার গ্রামগঞ্জে সংঘটিত বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও শোষণ-বঞ্চনার প্রতিবাদী তথ্য তুলে ধরতেন। সেসব প্রতিবাদী প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিনি প্রশাসনের কাছে তার প্রতিকার দাবি করতেন। সমাজে বিরাজিত বিভিন্ন অনাচার ও অবিচারের অবসান ঘটাতে তিনি সরকারের অবগতির জন্য জরুরিভাবে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করতেন। সে কারণে সমগ্র বাংলায় তাঁর পত্রিকাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে তার চাহিদা বেড়ে যায়। সেই সময় অন্যান্য সমসাময়িক পত্রপত্রিকা ইংরেজদের দালালি ও চাটুকারবৃত্তির কারণে বন্ধ হয়ে গেলেও কাঙাল হরিনাথের প্রতিবাদী প্রতিবেদন কিংবা সাংবাদিকতার কারণে তাঁর পত্রিকাটি বেশ কিছু সময় ধরে প্রকাশিত হয়েছিল। কাঙাল হরিনাথ প্রথম প্রতিবাদী সংবাদপত্রের প্রকাশক হিসেবে সমগ্র উপমহাদেশে অনেকটা অমরত্বই লাভ করেছেন; দালাল, চাটুকার ও তোষামোদকারী প্রকাশক কিংবা সম্পাদকরা নন। ক্ষমতাসীনদের পদলেহনকারী কিংবা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে দেখা গেছে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমান </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">করপোরেট কালচারে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বাংলাদেশে ইদানীং অনেক চৌকস পত্রপত্রিকা এবং টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে সেগুলোর বেশির ভাগই সরকারি আনুকূল্য এবং বিজ্ঞাপন লাভের আশায় এ শিল্পে এসেছিল। তাদের উল্লেখযাগ্য অংশ বর্তমানে প্রস্থানের পথে। অর্থের অভাবে তাদের প্রকাশনা কিংবা টিভি চ্যানেল প্রায় বন্ধ হওয়ার হুমকিতে পড়েছে। এর অন্যতম কারণ বিজ্ঞাপন সংকট। অনেকে সরকারি আনুকূল্যে প্রচুর পরিমাণে ব্যাংক লোন বা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় এখন দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আর যাঁরা দেশে এখনো অবস্থান করছেন, তাঁদের অনেকে তাঁদের পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছেন বলে কানাঘুষা রয়েছে। করপোরেট হাউসের পত্রপত্রিকার মধ্যে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া সেন্টার প্রকাশিত কালের কণ্ঠ নিঃসন্দেহে একটি জনপ্রিয় দৈনিক। আজ ১০ জানুয়ারি এই পত্রিকাটির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। বিভিন্ন কঠিন বাস্তবতা ও চরম চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে এই জনপ্রিয় পত্রিকাটি দেড় দশক সময় পার করে এসেছে। দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খানের হাত ধরে যে পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়েছিল, তাতে সম্পাদক হিসেবে অন্যদের মধ্যে কাজ করেছেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন এবং শাহেদ মুহাম্মদ আলী। বর্তমানে সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক হাসান হাফিজ। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কালের কণ্ঠ একটি বলিষ্ঠ দিকদর্শন ও পেশাদারির পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছে। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা মোটামুটি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। কালের কণ্ঠের মালিকপক্ষ কিংবা প্রকাশনা সংস্থাটি অত্যন্ত সচ্ছল বিধায় কোনো রাজনৈতিক ঘেরাটোপের মধ্যে প্রবেশ না করে নিজেদের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সংবাদ পরিবেশন করা সহজ হচ্ছে। সে কারণে আশা করা যায়, বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতিতে বস্তুনিষ্ঠ, জনবান্ধব ও দেশের স্বার্থের অনুকূলে সংবাদ পরিবেশন করে এই জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে সক্ষম হবে কালের কণ্ঠ। প্রতিবাদী সাংবাদিকতার মাধ্যমে সব বৈষম্য ও আর্থ-সামাজিক ব্যবধান ঘুচিয়ে একটি সৃষ্টিশীল রাষ্ট্র গঠনে আমাদের ঘুণে ধরা রাজনীতির সংস্কার সাধনে ব্রতী হবে কালের কণ্ঠ।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক একুশে পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">gaziulhkhan@gmail.com</span></span></span></span></p> <p> </p>